শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

আমরা গত ২৬ জানুয়ারি একসঙ্গে সরস্বতী পুজো এবং ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস একসঙ্গে পালন করলাম। একসঙ্গে দেবীর আরাধনা এবং নাগরিকের দ্বারা পরিচালিত গণতন্ত্রের সাড়ম্বর উদযাপন করলাম সবান্ধবে, আত্মীয় পরিজন দের নিয়ে। এই উদযাপনকে আমি উপলব্ধি করব বলে দুপুরে বেরোলাম বাড়ি থেকে আর দেখলাম আমাদের তিরঙ্গা জাতীয় পতাকা উড্ডীয়মান নীল আকাশে আর পতাকার পদতলে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সারিবদ্ধ ছবি। কিন্তু কোথাও কোনও নারী স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছবি আমি দেখতে পাইনি।
সহজ চলাফেরাতে দেখতে পাইনি বলে ধরে নিলাম নারী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আমরা মনে রাখি না। কিংবা এই রকম অনুষ্ঠানে সবার মাঝে তুলে ধরতে পারি না । আমরা এই ভাবনাতেই অভ্যস্ত যে, নারী মানেই অন্তঃপুরের বাসিন্দা। তার অবদান আলাদা করে উল্লেখের দাবি করে না। কারণ, মা তার সন্তানের জন্য সবসময় বলিপ্রদত্ত—এটাই প্রকৃতি। আমরা বাঙালিরা মেয়েদের মায়ের জাত বলেই মনে করে থাকি। এরকম এক মা ছিলেন সরলা দেবী চৌধুরাণী। তার কথা খুব মনে পড়ছে আজকের দিনে। তিনি নারী-পুরুষ আলাদা করেননি। বরং কীভাবে যৌথ ভাবে জাতিসত্তা গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে সজাগ ছিলেন। তিনি লিঙ্গ নির্মাণ প্রক্রিয়া নিয়ে জুডিথ বাটলারের মতো তত্ত্বের কথা বলেননি। কিন্তু একটি বিষয় পরিষ্কার করে বলেছিলেন যে, আমাদের ভিতরে জ্বালার ধর্ম থাকলেও তা উস্কে না দিলে বাইরে জ্বলতে পারি না। আর আমাদের জ্বলার অভ্যেসটা না তৈরি হলে নিজেকে নিজে জ্বালাবার উদ্যম আসে না। আমরা যদি শিকলে থাকাই অভ্যেস করে ফেলি, আমরা যদি পিতৃতান্ত্রিক সমাজের মধ্যেই নিজেদের অভ্যস্ত করে ফেলি তাহলে সারাজীবন শুনে যেতে হবে যে, আমরা মেয়েরা অন্যের দ্বারা রক্ষিত হই। কিন্তু নিজেদের রক্ষা করতে পারি না।
আরও পড়ুন:

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-৪: যা পুরুষ নন, তাই হলেন নারী

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫০: লুকোনো বই পড়ার জন্য রবীন্দ্রনাথ বাক্সের চাবি চুরি করেছিলেন

সরলা দেবী চৌধুরাণীর লেখা অনন্য জীবনী ‘জীবনের ঝরাপাতা’তে স্বাধীন ভারতের নাগরিক হয়ে ওঠার জন্য নারীরা সেই সময় নিজেদের কীভাবে তৈরি করেছিলেন তার এক উৎসাহ বর্ধক বর্ণনা পাওয়া যায়। কীভাবে তাঁরা সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারীদের স্বাধীন দেশের যোগ্য নাগরিক হওয়ার জন্য বিভিন্ন অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন সেই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া বাঙালি যুবকরাও যাতে স্বাধীন ভারতের নতুন ভাবনার,কর্মদ্যগি নাগরিক হয়ে উঠতে পারে তার জন্য নিজ অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন।
আরও পড়ুন:

রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৪: ভাবলাম এ যাত্রায় কোনও রকমে বাঁচা গেল, কিন্তু এতো সবে সন্ধ্যে! রাত তখনও অনেক বাকি…

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২২: স্বপ্নের সারথি পাঠিয়েছেন ‘বকুল’ ফুল

কিন্তু আজ ২০২৩ সালে এসেও যখন দেখি নারীকে এখনও সীতার মতো অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে নিজের সতীত্ব প্রমাণ করতে হয়, স্বামীকে টাকা খরচের হিসেব দিতে হয় ,ইনস্যুরেন্স কোম্পানি বলে মাতৃত্ব এবং ইনফারটিলিটি সংক্রান্ত চিকিৎসা বিষয়ে কখনওই টাকা দেবে না, তখন মনে হয় আমরা কি নাগরিক নই? আমরা কি মানুষও নই? আমরা কি কোনওদিনও নাগরিক হয়ে উঠতে পারবো না? আমরা নিজেদের নিয়ে কোনওদিনই সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারব না?

আজকে সরলা দেবী চৌধুরাণীর এই আত্মজীবনী একটি প্রামাণ্য দলিল, যা আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে কীভাবে রাষ্ট্র পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোর ধারক এবং বাহক হয়ে ওঠে। গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্র যখন পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোর সীমাবদ্ধতা থেকে বেরতে পারে না, তখন নাগরিক সমাজ বিপন্ন হয় এবং ক্রমেই লিঙ্গ সাম্য বিষয়টি গুরুত্ব হারায়।
আরও পড়ুন:

ডায়েট ফটাফট: সব খাবারের সেরা সুপারফুড কিনোয়া খান, ওজন কমান

স্বাদে-গন্ধে: মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে করছে? বাড়িতে ঝটপট বানিয়ে ফেলুন জিভে জল আনা ক্ষীর মাধুরী

সরলা দেবী চৌধুরাণীর এই আত্মজীবনীর অনেকাংশে সেই সময়ের মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত সমাজের নারীদের কথা বললেও, তিনি বহু প্রেক্ষাপটে সমাজের নিচু তলায় থাকা নারীদের প্রসঙ্গও এনেছেন। সরলা দেবী প্রথমেই নিজের মায়ের তৈরি ‘সখি – সমিতি’র কথা বলেছেন। ১৮৮৯ সালে তৈরি হওয়া এই প্রতিষ্ঠানকে বলতে পারি অন্যতম নাগরিক অনুদান নির্ভর প্রতিষ্ঠান, যার মূল লক্ষ্য ছিল অবিবাহিত, বিপন্না বিধবাদের বৃত্তি দিয়ে পড়ানো। আর পড়াশুনো শেষ হলে তাঁদের বাড়ির মহিলাদের জন্য গৃহশিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ করা।

এ ভাবে নারীদের স্বনির্ভর করার চেষ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা। এই প্রচেষ্টার গুরুত্ব লুকিয়ে রয়েছে নারীদের শিক্ষিত করে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করার মধ্য দিয়ে। নারীকে দিয়ে বড়ি, আচার তৈরি করে কাউকে দিয়ে বিক্রি করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। নারীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে আরও মানুষকে শিক্ষিত করে ‘সখি বাহিনী’ গড়ে তুলতে। এখানেই সীমাবদ্ধ ছিল না সখি-সমিতির কাজ। মফঃস্বল শহরে ধর্ষিতা মেয়েদের আইনি লড়াইতে উকিল দিয়ে মামলা চালনোতে সাহায্য করাও ছিল এই সমিতির কাজ। অর্থাৎ এমন একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করা যেখানে সব স্তরের নারীরাই সব রকমের সাহায্য পাবে।
আরও পড়ুন:

দশভুজা: দু’শো বছর আগে হলে তিনি ইঞ্জিনিয়ারের বদলে সতী হতেন

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৫: সত্যিই কি মায়ের দয়ায় পক্স হয়?

এই প্রতিষ্ঠান কালের নিয়মে দুর্বল হয়ে পড়লে স্বর্ণকুমারী দেবীর বড় মেয়ে দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসেন বিধবা শিল্পাশ্রম নাম নিয়ে। সেই সময়ের নারীদের অনুভুতি ছিল যে, নারীদের সমাজে যেন সমানাধিকার থাকে। তাঁরা যেন নিজের অধিকার সম্বন্ধে সচেতন হয়ে ওঠেন। সরলা দেবী বেথুন স্কুলে পড়াকালীন নিজের দিদির সঙ্গে মিলে পাঠশালা খুলেছিলেন নিজের বাড়িতেই। নিজেদের বাড়ির আশপাশের বাল্য বিধবা বা কুমারী, যাদের মধ্যে অনেকেই গরিব ছিলেন এবং সারাদিন বাড়ির কাজ করেই দিন কেটে যায়, তাঁদের নিয়ে বৈকালিক পাঠশালা খুলেছিলেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল পাঠশালার পাঠ্যসূচি। বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক এবং সেলাই। এখন প্রাইমারি শিক্ষা ব্যবস্থাতে যা পড়ানো হয়ে থাকে তাই-ই তাঁরা দেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই চালু করেছিলেন উপযুক্ত নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে।
আরও পড়ুন:

ষাট পেরিয়ে, পর্ব-২৩: শীত হোক বয়স্কদের জন্যও উপভোগ্য/২

হেলদি ডায়েট: আপেল খেতে ভালোবাসেন? পুষ্টিগুণ বেশি পেতে দিনের কোন সময়ে খেতে হবে জানেন?

সরলা দেবী নিজেই বলেছিলেন যে, নারীরা গৃহ নির্মাণ করে। নারীরা, তাঁর মতে কতগুলি আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পরিবারকে বেঁধে রাখে। তাই যখন তিনি তাঁর পাঠশালার পাঠ্যসূচি নির্বাচন করেছিলেন ভাষা, অঙ্ক এবং সেলাই, তখন বুঝতে হবে তিনি মনে করেছিলেন ভাষার শিক্ষা দিলে, অঙ্ক শেখালে সেই বাঁধন আরও শক্তিশালী হবে। নিজেদের ভিতরের সাহসকে কাজে লাগিয়ে কাজ করতে পারবে, নিজেদের জীবনের রাশকে অনেকটাই নিজেদের হাতে রাখতে পারবে। নিজের পরিবারের সেই সব নারীদের কথা তাই তিনি বারংবার উল্লেখ করেছেন যারা নিজেদের অন্তরে থাকা উচ্চ ভাবনা, আদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক ছিলেন। কিন্তু কারও অযথা হুকুম শুনে তাঁরা চলেননি।
আরও পড়ুন:

পর্দার আড়ালে, পর্ব-২৫: নচিকেতা ঘোষ দেখলেন শান্তাপ্রসাদের হাতের সঙ্গে বোল মিলছে না, সুরকার নিরুপায় হয়ে ডাকলেন তবলা বাদক রাধাকান্তকে

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-৪: সবুজের নেশায় অভয়ারণ্য/২

সরলা দেবী নিজে স্বদেশী মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছিলেন যখন ইলবার্ট বিল নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। বয়েসে বড় স্কুলের দিদিদের নেতৃত্বে যখন কালো রঙের ফিতে বাঁধলেন হাতে তখন তাঁর মনে হল একটি বৃহত্তর কিছুর সঙ্গে তিনি নিজেকে সংযুক্ত করতে পেরেছেন। অর্থাৎ যে জাতীয়তাবোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা, সেই বোধ জাগরিত হয়েছিল। সেই সঙ্গে স্বজাতির প্রতি সহবেদনা। এই সহবেদনা তিনি প্রতিটি মানুষের মধ্যে মূলত নতুন প্রজন্মের মধ্যে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সরলা দেবী বুঝেছিলেন মানব সমাজকে টিকিয়ে রাখতে গেলে সহানুভতিশীল হওয়া বেশী দরকার। দেশে কলেরার প্রকোপ বাড়লে দেখা গেলো মানুষ নিজের আপনজনকেই ফেলে রেখে চলে গেছেন শুশ্রূষার ব্যবস্থা না করে। আমরা মানুষ হয়ে মানুষের প্রতি সহানভূতিশীল হতে পারছি না। তাহলে আমরা ঐক্যবদ্ধ হব কী করে?
আরও পড়ুন:

ইংলিশ টিংলিশ: জেনে নাও Unseen Comprehension এ কীভাবে পাবে ফুল মার্কস এবং পড়বে কোন Phrasal Verbগুলো

বাড়িতে যখন জিজ্ঞেস করা হচ্ছে সাহেবের সার্কাস না বাঙালির সার্কাস কোনটি দেখতে চান, উনি বলেছিলেন বাঙালি নোংরা হতে পারে, কিন্তু যে কষ্ট করে তাঁরা নিজেদের দাঁড় করিয়েছেন সেই কারণে তাঁদের পাশে থাকা উচিত। এই পাশে থাকার মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে এর পর সরলা দেবী বাঙালি যুবকদের মধ্যে থেকে মানসিক এবং শারীরিক দুর্বলতা দূর করার জন্য সমিতি তৈরি করলেন। প্রতাপাদিত্য উৎসব চালু করলেন। রবীন্দ্রনাথের থেকে সমালোচনা এল এই কারণে যে, প্রতাপাদিত্যের পিতৃব্য হননের মতো ঘটনা আছে যা, সমর্থন যোগ্য নয়।

সরলা দেবী যুক্তি দিলেন তিনি শিবাজির মতো বীর খুঁজেছেন প্রতাপাদিত্যের মধ্যে, কারণ প্রতাপাদিত্য একা লড়াই করে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। নিজের নামে মুদ্রা প্রচলন করার সাহস দেখিয়েছিলেন। নিজে সেই সাহসে ভর করে একটি যুবসভাকে নেতৃত্ব দেন। বাঙালির যে কাপুরুষ বদনাম আছে সেটা মুছে দিতে চেয়েছিলেন। সেই সঙ্গে বাঙালিরা শুধু চাকরির উপর ভরসা না রেখে স্বাধীন জীবিকা কীভাবে গড়ে তুলতে পারে তার জন্য ঋণ দিতেও প্রস্তুত হয়েছিলেন। তিনি বাঙালির জাতীয় চরিত্রের মধ্যে বদল আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু বাঙালিরা যে সেই বদল পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারেনি সে কথাও লিখে গিয়েছেন। বাঙালির যে পিতৃতান্ত্রিক সমাজের বেড়ি খুলে বাঙালি কিন্তু নারীদের এগোতে দিতে পারেনি! সখি-সমিতিতে মেয়েদের বৃত্তি দিয়ে লেখাপড়া শেখানো হতো যাতে, তাঁরা নিজেরাই শিক্ষিকা হয়ে মেয়েদের পড়াতে পারেন।
আরও পড়ুন:

অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-৫: ভক্তের আন্তরিকতা ও প্রার্থনা, ভগবানকে রেশম সুতোয় বেঁধে রাখে

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৪০: শুধু খাল-বিল ঝিল নয়নজুলিতে মৌরালা মাছ করে প্রায় ২০ লক্ষ শিশুর অনুপুষ্টির ঘাটতি মেটানো সম্ভব

কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সেই মেয়েরা শিক্ষিকা হতে চাইল না, উলটে তাঁদের সখি-সমিতিতে পড়ার কারণে তাঁদের ভালো বিয়ে হতে শুরু করল। সখি-সমিতির নিয়ম ছিল মেয়েরা শিক্ষা লাভের পর নির্দিষ্ট সময় অবধি সখি-সমিতিতে কাজ করবে। না কাজ করলে বৃত্তির টাকা ফেরত দিতে হবে। এই শর্ত কাগজে অভিভাবকদের সই করতে হতো। কেউ কেউ টাকা ফেরত দিলেও বেশির ভাগই তা দেননি। পিতৃতান্ত্রিক সমাজ যে আসলে শুধু নারীকেই নিয়মের জালে বাঁধতে চায়, পুরুষ সেখানে কি করে নিয়ম মেনে নিজেকে বদল করবে সেই বিষয়টাই প্রমাণ করে দিয়েছিল মহিলাদের কাজ করতে না দিয়ে আর শর্ত মেনে না নিয়ে। তাঁরা মনে করতেন এটা তো মহিলা চালিত প্রতিষ্ঠান, তাই নিয়মও সহজেই ভেঙ্গে দেওয়া যায়। পিতৃতান্ত্রিক সমাজ পরিচালিত রাষ্ট্র যে আসলে নারীকে সঙ্কটের সময় ব্যবহার করে এবং পরিস্থিতি বদলালে গৃহবন্দি করে রাখতে চায় সেটাই বোঝা যায়। সরলা দেবীর পনেরো বছর পর গান্ধীজি স্বদেশী আন্দোলন শুরু করে জাতির জনক হলেও দুর্ভাগ্যবশত সরলা দেবী বাঙালি জাতির মাতা হয়ে উঠতে পারেননি আজও।

* প্রবন্ধের বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।
* বৈষম্যের বিরোধ-জবানি (Gender Discourse): নিবেদিতা বায়েন (Nibedita Bayen), অধ্যাপক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পি আর ঠাকুর গভর্নমেন্ট কলেজ।

Skip to content