সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

পয়লা বৈশাখের মিষ্টি এখনও ফ্রিজে রয়ে গিয়েছে। যদিও আমি আর সেগুলিকে কাউকে খেতেও দিতে চাইছি না। বাড়িশুদ্ধ লোকজন চেঁচামেচি জুড়ে দিয়েছেন এমনকি এই মানুষ গুলোকে দেখে আমার বেড়ালরাও নানা সুরে মিয়াঁও জুড়ে দিয়েছে ওই মিষ্টি খাবে বলে। কিছু বেড়াল মিষ্টি খেতে ভালোবাসে। তাই দেখে কিছু মানুষ আরও রেগে যায়।আপনারা হয়তো বলবেন, আমি কেমন! বেঁচে যাওয়া মিষ্টি খেতে দিচ্ছি না কাউকে! আবার কারও কারও মনে পড়বে বাড়িতে শাশুড়ি, ননদ, দিদি, ঠাকুমাদের এরকম কাজ করতে। যদিও তাঁরা পরে বাড়ির আদরের নাতি বা ছেলেদের খাইয়ে দিতেন। আমি সে পথে হাঁটছি না। আমার পন্থা আলাদা।

এবার আপনারা হয়তো আন্দাজ করতে পারছেন, আজকে আমি বাড়ির খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে যে লিঙ্গ রাজনীতি জড়িয়ে থাকে তাই নিয়ে আলোকপাত করতে চাইছি। আর আমার বাড়ির লোকজনদের বেশি মিষ্টি খাওয়া চিকিৎসকের বারণ আছে। তাই খেতে দিচ্ছি না। সবাই শুধু খাইখাই করে বেড়ায়। খাওয়াদাবার পর শরীর খারাপ হলে এই কে আছিস জোয়ানের আরক নিয়ে আয়, এটা-ওটা নিয়ে এসো—এই সব চলতে থাকে। কিন্তু এই যে আমি খেতে দিচ্ছি না, তাই আমিও বাড়ির লোকজনের কাছে আমি নাকি ক্ষমতার অপব্যাবহার করছি!

আসলে খাদ্যাভ্যাস বিষয়টি নিয়ে মানুষ তার জীবনের যে সময়টাতে প্রথম ভাবতে শুরু করে সেই সময় টা হল বয়ঃসন্ধির সময়। এই সময় থেকে কে ছেলে আর কে মেয়ে হয়ে সমাজে অস্তিত্ব বজায় রাখবে, সেই বিষয়টির ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়ে যায়। এই অস্তিত্ব বিষয়টির একটি বাহ্যিক রূপ আছে। আর সেই রূপের বহিঃপ্রকাশ শারীরিক কাঠামোর মধ্যে দিয়ে হয়ে থাকে। যিনি পুরুষ হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করবেন তিনি নিজেকে শক্তিশালী, বলশালী বানাতে চাইবেন। সেই সঙ্গে বিষয়টির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে খাবারও তিনি খাবেন। পরিবার তার এই দাবি বিনা বাধাতে মেনে নেবে। কারণ, এই পুরুষ তাঁদেরকে বিপদের সময়ে রক্ষা করবে। পরিশ্রম করে খাবার জোগাড় করে আনবেন। তাই পুরুষের খাবার নিয়ে কোন দ্বন্দ্ব বা বাড়িতে খাবারের ভান্ডার কমে যাবে এই নিয়ে কেউ ভাবে না।
এর বিপরীত চিত্র দেখা যায় ওই বয়ঃসন্ধিতে পড়া মেয়েটির ক্ষেত্রে। ওই মেয়েটিকে তখন শেখানো হয় কম খেতে। ক্যালরির হিসেব দেখলে দেখা যাবে, মেয়েটি অনেক কম ক্যালোরির খাবার খাচ্ছে। কারণ, জিজ্ঞেস করলে জানবেন মোটা যাতে না হয়ে যায় তার জন্য এই ব্যবস্থা। আরও তলিয়ে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন, বাড়িতে তাকে সবসময় বলা হয়ে থাকে অমুক মাসি, পিসি, দিদি, কাকিমা, বন্ধুদের বিয়ে হতে সমস্যা হচ্ছিল। তাদের হাত মোটা, শরীর ভারী, গাল ফোলা, পা মোটা ইত্যাদি না না কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সঙ্গে দোসর হিসেবে গায়ের রঙ তো আছেই। অর্থাৎ একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয় যাতে মেয়েরা কম পরিমাণে খাবার খায়। ফলে খাবার খাওয়ার ইচ্ছে অনিচ্ছার দোলাচলে মেয়েরা ভোগে বেশি। কম এবং দীর্ঘক্ষণ পরে খাবার খাওয়ার ফলে শরীর খারাপ হতে শুরু করে খুব অল্প বয়েস থেকে।

একটি গ্রামীণ কলেজে পড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এই সব মেয়েরা সবচেয়ে বেশি ভোগে রক্তাল্পতাতে। *তারপর অতিরিক্ত রোগা থাকার চেষ্টার জন্য বেশ কিছু জটিল শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। বেশকিছু সংখ্যক মেয়েকে বাড়ির কাজ করতে হয় বলা হয়, কারণ তাঁদের মায়েরা সব অল্প বয়েসে মা হওয়ার জন্য এবং অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে একটা বয়েসে এসে নার্ভের অসুখ, হাড়ের ক্ষয় জনিত অসুখে ভুগতে থাকেন। এই মায়েরা বাড়িতে কোনও কাজ একটানা করতে পারে না। কিন্তু অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে এই সব অতিরিক্ত রোগা, পরিশ্রম করতে বাধ্য মেয়েদের অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে সন্তান উৎপাদনকারী অঙ্গের-এর বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। অনিয়মিত ঋতু চক্র একটি প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়।

কম খাবার খাওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকতে পারার কারণে তাদের এই সব বিষয়ে টাকা-পয়সা খরচের অনুমতি নেই ফলে অন্যান্য অনেক কারণের সঙ্গে বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই এই সব মেয়েদের এক অন্ধকারাছন্ন পরাধীন জীবন কাটানোর প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে যায়। এই মেয়েরাই প্রথমে অসুস্থ মায়েদের কাজ করতে করতে, তারপর একদিন বিয়ে হয়ে যায় খুব কম বয়সে। বিয়ের পর বাড়ির কাজে অনেক বেশি সময় দিতে হয়। অনেক পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু সেই অনুপাতে খাবার তাঁরা পান না। কারণ শ্বশুরবাড়িতে শুরু হয় অন্য এক সংগ্রাম, যা মূলত শুরু হয় রান্নাঘরকে কেন্দ্র করে।
আরও পড়ুন:

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-১৫: অসুখের শরীর, সমাজের কাছে ভয় নারীর

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-১: রাজার ছেলেদের রাজনীতি-কূটনীতি শেখানোর জন্যই লেখা হয়েছিল এই গ্রন্থ

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৫১: সর্বত্র নিরবিচ্ছিন্ন প্রচার প্রয়োজন, তবেই বাড়বে মাছ নিয়ে সচেতনতা, উপকৃত হবে আমজনতা

আমি আমার ঠাকুমার খাওয়ার কথা পিসিদের কাছে শুনেছিলাম, বাবা কাছে নয়। তারপর শাশুড়ির কথা শুনলাম দু’ রকম ,কারণ তিনি বিধবা হয়েছিলেন। তাই বিধবা হওয়ার আগে পরের খাওয়াদাওয়া, অর্থাৎ সমাজে নারীরা কী খায় আর কীভাবে খায় সবটাই পুরুষের অগোচরে হয়ে থাকে। বউমার কাছে শাশুড়ির খাওয়ার গল্প যত অনায়াসে শোনা যায়, তত সহজে ছেলের কাছে মায়ের খাওয়ার গল্প শোনা যায় না। ব্যাতিক্রম থাকতে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েদের খাওয়া নিয়ে পুরুষের মধ্যে খুব একটা আগ্রহ দেখা যায় না। কারণ নির্ণয় করতে গেলে দেখবেন মেয়েরা বাড়িতে হেঁশেল সামাল দিলেও, সেটা কায়িক পরিশ্রমের কাজ। ভান্ডার ঘরের চাবি থাকে পিতৃতন্ত্রের হাতে। তিনি নামে শাশুড়ি হতে পারেন, কিন্তু তাঁর দর্শন হল পুরুষকেই ক্ষমতাবান দেখানো। ফলে তিনি তাঁর শাশুড়ির হাত থেকে শুধু চাবি নয় এই দর্শনটিকেও গ্রহণ করেছেন দুই হাত বাড়িয়ে যে—বাড়ির মেয়েদের, বউদের কম খেতে হয় এবং কম রসদে কাজ চালাতে হবে। অর্থাৎ গোড়াতেই বেড়াল মারার মতো মেয়েদের খাবারের অধিকারকে খর্ব করে দাও। রসদে অধিকার কম থাকলে সে খাবে কম, তাহলেই সে শারীরিক ভাবেই দুর্বল থাকবে সবসময়। ফলে নারী সব কিছুতেই পরাধীন এবং পরনির্ভরশীল।

এই যে একটু আগেই বললাম আমার শাশুড়ির দু’ রকম জীবনের দু’ রকম খাবারের গল্প শুনেছি, আবার সেই গল্পে ফিরে আসছি। সেই গল্প কোনও নতুন গল্প নয়। এই গল্প আমরা সীতার জীবন থেকেই শুনে আসছি, পড়ে আসছি। কিন্তু কোনও পরিবর্তন সে ভাবে চোখে পড়েনি। সীতা সন্তানসম্ভবা হওয়ার পরও জঙ্গলে জীবন কাটিয়েছেন, তাই তাঁর সে ভাবে যত্ন নেওয়াই হয়নি। ভালো খাবারও পাননি।
আরও পড়ুন:

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১৫: সারদা দাদার থেকে চিল্পিঘাটি

বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-১২: স্ট্যানলি ম্যাথুজ— একজন কিংবদন্তি, লড়াই আবেগ আর মেহনতী জনতার বন্ধু

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১০: তত্ত্বতালাশ

নবনীতা দেবসেনের সীতায়ন পড়ে দেখবেন কীভাবে সীতা কষ্ট করে সন্তানদের জন্ম দিয়েছিলেন। আমার শাশুড়িমা তাঁর সন্তানকে জানিয়েছিলেন, তিনি কীভাবে খিদেতে কষ্ট পেতেন, যখন তিনি নিজে সন্তানসম্ভবা ছিলেন। কিন্তু বাড়ির বউ হয়ে বলতে পারতেন না নিজের কষ্টের কথা। কখনও কখনও তিনি আড়ালে ভাতের ফ্যান খেতেন খিদে মেটানোর জন্য। বাড়ির লোকজন বুঝতেই পারতেন না যে, এক একজনের খিদে এক একরকমের। এই রকম বাড়ির বউ হয়ে নিজের খিদের কথা বলতে না পারা মেয়েদের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ।

এই বউমার খিদে না বোঝার চেষ্টার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় সেই প্রথা যেখানে বলা হয় পুরুষরা আগে খেয়ে উঠে যাবে, তারপর মেয়েরা খাবে। আমার ঠাকুমা বলতেন, পুরুষদের খাবারের পর বিশেষ কিছু বেঁচে থাকতো না। তখন তাঁরা মাটির উনুনে শাশুড়িকে লুকিয়ে আলু, বেগুন, লঙ্কা পুড়িয়ে নিয়ে নিজেদের খাবার জোগাড় করতেন। তাই হয়তো এখনও মেয়েরা খুব সামান্য উপাদান দিয়ে রান্না করে এই লকডাউনেরকালে পরিবারগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছিলেন। মেয়েরা খাবার থেকে, সম্পদ থেকে, অর্থাৎ সব রকম অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হতে যখন প্রতিবাদ করার বদলে পিতৃতন্ত্রের দর্শনকে হাতে তুলে নেন, বউমাকে রান্নাঘরে ঢুকতে দিতে চায় না, রান্নার শৈলী পর্যন্ত নিজের মত বজায় রাখতে চায় শুধু মাত্র নিজের ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য, তখন বিরোধ জবানী কে নতুন করে ভাবনা ভাবতে হয় বৈকি জে কেন নারী প্রদিবাদি সত্তা কে টিকিয়ে রাখতে পারছে না।

রান্নাঘর এখনও অবধি আমাদের সমাজে মেয়েদের কাছে এমন একটি জায়গা, যার সঙ্গে আবেগ এবং রুটিন রান্না বা একই কাজ করার জায়গা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। এই রুটিন কাজ করতে করতে মেয়েদের একটি পরিচিতি এবং সেই সঙ্গে নিজেদের ক্ষমতার বিষয়টি জড়িয়ে যায়। এই পরিচিতির পাশাপাশি রান্নাঘরের সঙ্গে একাত্ব অনুভব করার বিষয়টি নারীর সঙ্গে ততক্ষণ থাকে, যতক্ষণ তার আচরণের উপর, খাবারের উপর বিধিনিষেধ আরোপিত না হচ্ছে। বিষয়টিকে আরও একটু বিস্তারিত ভাবলে দেখবেন, নারী পরিবারের পুরুষদের কথা ভেবেই তাদের আনা বাজার দিয়েই রান্না করছেন। সেই কাজের মধ্যে ছেদ তখন পড়ছে, যখন তাঁর স্বামীর মৃত্যু হচ্ছে।
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৭: পঞ্চমের কথা মতো ড্রাম ছেড়ে অমরুতের পিঠের উপর স্যাম্পল রিদম বাজাতে শুরু করলেন ফ্রাঙ্কো!

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩২: কি ‘উপহার’ সাজিয়ে দেব

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১৬: গরমে কক্ষনও ডিম খেতে নেই?

যদি ছেলের বিয়ের আগেই তার জীবনে বৈধব্য নেমে আসে তখনও তিনি রান্না করছেন কিন্তু সেখানেও ছেলেকে নিজের প্রতি সজাগ রাখার প্রয়াস থেকেই। নিজে নিরামিষ খাচ্ছেন কিন্তু ছেলেকে আমিষ রান্না করে দিচ্ছেন। ছেলেও এই রুটিন মেনে নিচ্ছে। কখনও ছেলে বা বাকি সন্তানরা আমিষ খাওয়ার কথা বললেও তিনি বলেন, তাঁর আর খেতে ইচ্ছে করে না আমিষ। আর যদি তিনি আমিষ খাওয়া আগের মতোই বজায় রাখেন, তাহলে আত্মীয় এবং পাড়া প্রতিবেশী সেসব নিয়ে চর্চা শুরু করে দেবেন। অর্থাৎ পিতৃতন্ত্রের প্রভাব চলতেই থাকে, তাঁর আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। সেই উলটো চাপের কারণে বউমাকে রান্নাঘরে ঢুকতে দিলেও নিজে হাতে রান্না করে খাব বলে ,নিজেকে পবিত্র মনে করে আলাদা পরিচিতি তৈরি করার চেষ্টা চলতেই থাকে।

আবার এমন দেখা যায়, শাশুড়ি নিজের ছেলে এবং নাতি-নাতনিদের জন্য খাবার তৈরি করে দিয়ে কোনও বিশেষ দিনে নিজের স্বতন্ত্রতা বজায় রাখছেন। কিন্তু পিতৃতন্ত্রের ঘেরাটোপ থেকে নিজেকে আলাদা করতে পারেন না। নিজেদের এই স্বতন্ত্রতা যে তিনি বিধবা বলে আলাদা, বা বাড়ির কর্তৃ বলে আলাদা, এই বিষয় টি বজায় রাখার মূল চালিকাশক্তি করে নেন এটো, শকড়ি, ছোঁয়া, ছানি ইত্যাদি বিষয়গুলকে।এই গুলো পালনের মধ্যে দিয়ে কোথাও নিজেকে আলাদা করা , ক্ষমতাশালী দেখানো এবং বৌমা কে প্রতি পদে হীনমন্যতায় ভোগানোর চেষ্টা করা । কোথাও একটা পবিত্র-অবিত্র এই সীমারেখা টেনে নিয়ে পিতৃতন্ত্রের ঘেরাটোপ দিয়ে নিজেদের আটকে রেখে দিচ্ছে ফলে একটা ছোট রান্না ঘরে অনেক গুলো অদৃশ্য ঘর তৈরি হয়ে যাচ্ছে। কেউ কাউকে কোনো ঘরে বসাতে পারছে না। এ যেন এক অদ্ভুত খেলা , যেখানে ছোঁয়া যাবে না হাঁড়ি খুন্তি। একটা খুন্তি বা হাতের ছোঁয়া কত অনর্থ ডেকে নিয়ে আসবে, অথচ অসুস্থ হলে ওই হাতের সেবা নিতে কোনো আপত্তি নেই। আর তারা মনে করছেন ওই রান্না ঘরের মধ্যেই একে অন্যের অপরিচিত দুই নারী, শাশুড়ি আর বৌমা ক্রমেই ক্ষমতা দখলের লড়াইতে যুযুধান দুই পক্ষ। আর অন্যদিকে পিতৃতন্ত্রের তরবারি নারীদের রান্না করার কৌশল শিখে নিয়ে ব্যবসায়িক ব্যবস্থায় নিজেদের দক্ষ শ্রমিক করে গড়ে তুলে আরও বেশি করে খাবার খাওয়া, না খাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে।

* প্রবন্ধের বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।
* বৈষম্যের বিরোধ-জবানি (Gender Discourse): নিবেদিতা বায়েন (Nibedita Bayen), অধ্যাপক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পি আর ঠাকুর গভর্নমেন্ট কলেজ।

Skip to content