ছবি প্রতীকী
আমরা অনেকেই নিত্যদিন বিভিন্ন কারণে লোকাল ট্রেন বা বাসে উঠি। এর মধ্যে বাসে প্রায়শই একটি কথা শোনা যায়— আস্তে লেডিস! বা এটা লেডিস সিট। আবার, ট্রেনের ক্ষেত্রে ‘লেডিস কম্পার্টমেন্ট উঠিস না, পুলিশ ধরবে’ এমন কথাও খুবই পরিচিত।
এই সব কথা শুনে কী মনে হয়? মহিলারা কি আলাদা? তাঁরা কী পুরুষদের সঙ্গে বসতে ভয় পান? নাকি মহিলাদের ভয় দেখানোর জন্য এত আলাদা আয়োজন করা হয়? নাকি তাঁরা সমাজে খুব ক্ষমতাশালী।
উত্তর খোঁজার কাজ কিন্তু সহজ নয়। সময় সাপেক্ষ। প্রতি পদক্ষেপে ভুল বোঝাবুঝির সম্ভবনা প্রবল। এক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা ইতিহাসমুখী হতে হবে। আবার কিছুটা আশপাশের ঘটনার সমালোচনামূলক পর্যালোচনাও করতে হবে।
এই সব কথা শুনে কী মনে হয়? মহিলারা কি আলাদা? তাঁরা কী পুরুষদের সঙ্গে বসতে ভয় পান? নাকি মহিলাদের ভয় দেখানোর জন্য এত আলাদা আয়োজন করা হয়? নাকি তাঁরা সমাজে খুব ক্ষমতাশালী।
উত্তর খোঁজার কাজ কিন্তু সহজ নয়। সময় সাপেক্ষ। প্রতি পদক্ষেপে ভুল বোঝাবুঝির সম্ভবনা প্রবল। এক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা ইতিহাসমুখী হতে হবে। আবার কিছুটা আশপাশের ঘটনার সমালোচনামূলক পর্যালোচনাও করতে হবে।
তাহলে বিষয়টিকে কীভাবে বোঝা সম্ভব?
বিষয়টি আমাদের ধাপে ধাপে বুঝতে হবে। তবে চিন্তিত হবেন না, কারণ, তা এভারেস্টে ওঠার মতো এত কঠিনও নয়। কেন এখনও আমরা এই ধরনের বিভাজনে বিশ্বাস করছি? কেনই বা আমরা এখনও এই বিভাজনের খেলা থেকে বেরতে পারছি না? এই বিভাজনের কী কোনও প্রামাণ্য ভিত্তি আছে? নাকি পুরোটাই একটা মানুষের তৈরি রাজনীতি। এই রাজনীতি বিষয়টি আবার ক্ষমতা আর কর্তৃত্ব নিয়ে খেলতে খুব ভালোবাসে। অর্থাৎ নারী ক্ষমতাশালী হবে, নাকি পুরুষ।
প্রাচীন সভ্যতার বিশ্লেষণে আবার মাতৃতান্ত্রিক সামাজের কথাও শোনা গিয়েছে। সেখানে মা মানে মেয়েরা ক্ষমতাধারী। ঐতিহাসিকরা মনে করেন, নারীদের সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল না মানুষের মধ্যে। মানুষ ভাবতেন এই জন্ম দেওয়ার ব্যাপারটি খুব জটিল এবং ঈশ্বর বা কোনও দৈবশক্তির বড় ভূমিকা আছে। না হলে নারী শরীর থেকে কীভাবে জন্ম নিতে পারে সন্তান? নারীর শরীরকে নিয়ে তাঁদের মনে আগ্রহ তৈরি হল। নারীর শরীরের ভেতরে এমন কী আছে সেটা বোঝার চেষ্টা করতে লাগল তাঁরা।
বিষয়টি আমাদের ধাপে ধাপে বুঝতে হবে। তবে চিন্তিত হবেন না, কারণ, তা এভারেস্টে ওঠার মতো এত কঠিনও নয়। কেন এখনও আমরা এই ধরনের বিভাজনে বিশ্বাস করছি? কেনই বা আমরা এখনও এই বিভাজনের খেলা থেকে বেরতে পারছি না? এই বিভাজনের কী কোনও প্রামাণ্য ভিত্তি আছে? নাকি পুরোটাই একটা মানুষের তৈরি রাজনীতি। এই রাজনীতি বিষয়টি আবার ক্ষমতা আর কর্তৃত্ব নিয়ে খেলতে খুব ভালোবাসে। অর্থাৎ নারী ক্ষমতাশালী হবে, নাকি পুরুষ।
প্রাচীন সভ্যতার বিশ্লেষণে আবার মাতৃতান্ত্রিক সামাজের কথাও শোনা গিয়েছে। সেখানে মা মানে মেয়েরা ক্ষমতাধারী। ঐতিহাসিকরা মনে করেন, নারীদের সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল না মানুষের মধ্যে। মানুষ ভাবতেন এই জন্ম দেওয়ার ব্যাপারটি খুব জটিল এবং ঈশ্বর বা কোনও দৈবশক্তির বড় ভূমিকা আছে। না হলে নারী শরীর থেকে কীভাবে জন্ম নিতে পারে সন্তান? নারীর শরীরকে নিয়ে তাঁদের মনে আগ্রহ তৈরি হল। নারীর শরীরের ভেতরে এমন কী আছে সেটা বোঝার চেষ্টা করতে লাগল তাঁরা।
আরও পড়ুন:
অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-১: অমৃতের সন্ধানে…
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১: স্নানের আগে রোজ সর্ষের তেল মাখেন?
অন্যদিকে, নারী বছরে একবারের বেশি সন্তান জন্ম দিতে পারে না। ফলে একজন নারী গোষ্ঠীর জন্য অধিক সান্তানের জন্ম দেওয়া সম্ভব হল না। ফলে পুরুষ ক্রমশ বহুগামি হয়ে পড়ল। মানুষ যত গোষ্ঠী-বিভক্ত হল, ততই নারীর সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়টির উপর আগ্রহ এবং সেই অঙ্গকে ক্ষমতার আওতায় আনতে চাইল। ফলে নারী শারীরিক এবং মানসিক ভাবে বঞ্চিত হতে লাগল। আবার ততদিনে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিষয়টি ভালো ভাবে জায়গা করে নিতে থাকল সমাজে। তখন, সেই সম্পত্তিকে রক্ষা করার এবং ভোগ করে যাওয়ার বাসনা তৈরি হল। মানুষের মনে নিজের মতো যে জন তিনি অত্মজন, যার মধ্যে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখা যায় তার মধ্যে দিয়ে সম্পত্তি রক্ষা করা যাবে। এই আত্মসুখের ভাবনা থেকে প্রাথমিক ভাবে পরিবার তৈরির বিষয়টি ক্রমশ দানা বাঁধল মানুষের মধ্যে।
আরও পড়ুন:
চলো যাই ঘুরে আসি: মধ্যপ্রদেশ বা ছত্তিশগড় নয়, আমাদের এই বাংলাতেই রয়েছেন ডোকরা শিল্পীরা
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-১৮: দেখা-অদেখা চেনা-অচেনায় ‘মরণের পরে’
আবার নারী-পুরুষের বিয়ে হলে পরিবার হয়, আর সমাজেও শৃঙ্খলা বজায় থাকে, না হলে অজাচার আমাদের সমাজকে ছারখার করে দেবে। ফলস্বরূপ পরিবার কাঠামোর মধ্যে নারীকে আবদ্ধ করে রাখার জন্য চালু হল নানা রকম নিময় নীতি। নারীকে ক্রমশ চার দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলা হল। নারীকে শুধু পুত্রসন্তানের জন্মদাত্রী করে রাখার জন্য কৃষিকাজ তাঁদের হাত থেকে নিয়ে নেওয়া হল। নারীর অস্তিত্ব অনেক বেশি পুরুষ নির্ভর করে তোলা হল।
আমরা পরিবার গড়ি কারণ, সমাজের মূল ভিত্তি, যা কিনা এই নারী পুরুষের সম্পর্কের উপর দাঁড়িয়ে আছে, লুকিয়ে থাকে পরিবারের মধ্যে। সমাজের মূল নীতি, নৈতিকতা পরিবারেরই শেখানোর দায়িত্ব থাকে শিশুদের। এ ভাবেই বারংবার শেখানো এবং মানানোর মধ্যে দিয়ে সমাজ টিকে থাকে যেমন করে সে চায়। তাই ভারতীয় সমাজ যা কিনা পিতৃতান্ত্রিক, সেই সমাজ চাইবেই মেয়েরা সমাজ তথা বংশ রক্ষার্থে যেন পুত্র সান্তানের জন্ম দিয়ে থাকে। সমাজের প্রয়োজনে তাই সন্তানের জন্মের আগে থেকেই ভাবতে থাকি, প্রশ্ন করতে থাকি ছেলে হবে না মেয়ে? নানা রকম টোটকা প্রয়োগ করতেও দেখা যায় সন্তানের লিঙ্গ জানার জন্য। আপাত দৃষ্টিতে এই উত্তর খোঁজার ইচ্ছে স্বাভাবিক। কারণ, ভারতীয়দের এটা কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য। সমস্যা এই বিভাজিত উত্তরে নয়, সমস্যা পুত্র সন্তান চাই, বংশ রক্ষা করতে হবে এই ধারণাকে মনে মেনে নেওয়ার মধ্যে দিয়ে। আমরা জানি নারী সন্তানের জন্ম দিতে পারে। আবার সেই নারীকেই যখন বলছি পুত্র সন্তানের জন্ম দিতে হবে, তখন তাঁকে আমরা আর মানুষ মনে করছি না।
আমরা পরিবার গড়ি কারণ, সমাজের মূল ভিত্তি, যা কিনা এই নারী পুরুষের সম্পর্কের উপর দাঁড়িয়ে আছে, লুকিয়ে থাকে পরিবারের মধ্যে। সমাজের মূল নীতি, নৈতিকতা পরিবারেরই শেখানোর দায়িত্ব থাকে শিশুদের। এ ভাবেই বারংবার শেখানো এবং মানানোর মধ্যে দিয়ে সমাজ টিকে থাকে যেমন করে সে চায়। তাই ভারতীয় সমাজ যা কিনা পিতৃতান্ত্রিক, সেই সমাজ চাইবেই মেয়েরা সমাজ তথা বংশ রক্ষার্থে যেন পুত্র সান্তানের জন্ম দিয়ে থাকে। সমাজের প্রয়োজনে তাই সন্তানের জন্মের আগে থেকেই ভাবতে থাকি, প্রশ্ন করতে থাকি ছেলে হবে না মেয়ে? নানা রকম টোটকা প্রয়োগ করতেও দেখা যায় সন্তানের লিঙ্গ জানার জন্য। আপাত দৃষ্টিতে এই উত্তর খোঁজার ইচ্ছে স্বাভাবিক। কারণ, ভারতীয়দের এটা কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য। সমস্যা এই বিভাজিত উত্তরে নয়, সমস্যা পুত্র সন্তান চাই, বংশ রক্ষা করতে হবে এই ধারণাকে মনে মেনে নেওয়ার মধ্যে দিয়ে। আমরা জানি নারী সন্তানের জন্ম দিতে পারে। আবার সেই নারীকেই যখন বলছি পুত্র সন্তানের জন্ম দিতে হবে, তখন তাঁকে আমরা আর মানুষ মনে করছি না।
আরও পড়ুন:
ইংলিশ টিংলিশ: ‘হাসি’ মানে শুধুই ‘Laugh’ বা ‘কান্না’ মানে শুধুই ‘Cry’ নয় — শিখে নাও আরও নতুন শব্দ!
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৪৬: ছোটদের, একান্তই ছোটদের ‘ভাই-বোন সমিতি’
এই চাওয়ার মধ্যে দিয়ে তাঁকে মনে করতে শিখিয়েছি, সে একটি ‘যন্ত্র’ মাত্র। সন্তান উৎপাদন করার জন্য। এই মেয়েদের শরীর আছে, কিন্তু চিন্তা করার ক্ষমতা নেই। বুদ্ধি নেই, আছে শুধু মনোরঞ্জন করার অধিকার। এই যন্ত্ররূপী নারীকে আমরা সমাজে নির্মাণ করি। এ কি বাড়ি নাকি? যে নির্মাণ করতে হবে?
হ্যাঁ, আমরা যাঁদের নারী বলি সমাজে তাঁদের মধ্যে কতগুলো বিশেষ বিশিষ্ট আমরা খুঁজতে থাকি। যাকে বলে উপাদান। লক্ষ্মীর পাঁচালী তো অনেকেই প্রতি বৃহস্পতিবার পড়েন। সেখানেই বলা আছে— নারীকে কীভাবে পরিবারের জন্য নিজেকে সমর্পণ করে দিতে হবে। কারণ, তাঁর বাবা তাঁকে সম্প্রদান করে দান করে দিয়েছেন।
মেয়েদের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর আগে এ ভাবে পাঁচালি শুনিয়ে তাঁদেরকে সমাজের আদর্শ নারী করে তোলার চেষ্টা করা হতো। সেই সঙ্গে শেখানো হল, তাঁর কর্তব্য পালনের উপর নির্ভর করছে স্বামী এবং পরিবারের বাকিদের মৃত্যু পরবর্তীকালে স্বর্গ যাত্রার মতো বিষয়। এই ভাবনা এতটাই ভারতীয় নারীদের আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল যে, তাঁরা সতী প্রথা বিনা প্রতিবাদে গ্রহণ করে নিয়েছিলেন। আর আমাদের সমাজের দিক নির্দেশকারি শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতরা দয়াহীন ভাবে তা সমর্থন করে গিয়েছিলেন যতদিন না রাম মোহন রায় এই প্রথার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
হ্যাঁ, আমরা যাঁদের নারী বলি সমাজে তাঁদের মধ্যে কতগুলো বিশেষ বিশিষ্ট আমরা খুঁজতে থাকি। যাকে বলে উপাদান। লক্ষ্মীর পাঁচালী তো অনেকেই প্রতি বৃহস্পতিবার পড়েন। সেখানেই বলা আছে— নারীকে কীভাবে পরিবারের জন্য নিজেকে সমর্পণ করে দিতে হবে। কারণ, তাঁর বাবা তাঁকে সম্প্রদান করে দান করে দিয়েছেন।
মেয়েদের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর আগে এ ভাবে পাঁচালি শুনিয়ে তাঁদেরকে সমাজের আদর্শ নারী করে তোলার চেষ্টা করা হতো। সেই সঙ্গে শেখানো হল, তাঁর কর্তব্য পালনের উপর নির্ভর করছে স্বামী এবং পরিবারের বাকিদের মৃত্যু পরবর্তীকালে স্বর্গ যাত্রার মতো বিষয়। এই ভাবনা এতটাই ভারতীয় নারীদের আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল যে, তাঁরা সতী প্রথা বিনা প্রতিবাদে গ্রহণ করে নিয়েছিলেন। আর আমাদের সমাজের দিক নির্দেশকারি শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতরা দয়াহীন ভাবে তা সমর্থন করে গিয়েছিলেন যতদিন না রাম মোহন রায় এই প্রথার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
মহাভারতের আখ্যানমালা, পর্ব-৪৮: অবশেষে বৃদ্ধ চ্যবনমুনি শর্যাতিরাজার কন্যার পাণিপ্রার্থী হলেন
স্বাদে-গন্ধে: একঘেয়ে চিকেন কারি আর ভালো লাগছে না? বাড়িতেই রেস্তোরাঁর মতো বানিয়ে ফেলুন মুর্গ মালাই হান্ডি
কিন্তু এখানে আলোচনার অবকাশ না থাকলেও উল্লেখ করা যেতে পারে যে, এই প্রথা বন্ধ হলেও নারীদের মুক্তি হয়নি। তাঁদের আত্মবলিদানকে মহিমান্বিত করে তোলা হল। বলা হল দেশের স্বাধীনতার জন্য এ রকম আত্মত্যাগ নারীদের করে যেতে হবে। মূলত উচ্চ জাতের নারীরাই এই রকম আত্মত্যাগকে নিজেদের সমাজে ভালো মেয়েরূপে প্রতিষ্ঠা করার জন্য গ্রহণ করেছিল। সেখানে পুরুষদের জন্য কিন্তু কোনও পাঁচালি নেই। পুরুষ নির্মাণে বাছাই করা বই নেই। আছে কিছু বন্ধুমহলের তির্যক মন্তব্য। বটতলার বই আর আছে নীল রঙ, কিছু বিশেষ খেলা, আর চার দেওয়ালের বাইরে ঘুরে বেড়ানোর অবাধ ছুট। পুরুষের আবেগ প্রকাশ করা মানা। পুরুষ বলবে না তার ব্যথা লেগেছে। পুরুষ কখনও নারীর পক্ষ নিয়ে কথা বলবে না। তাহলে শুনতে হবে সে স্ত্রৈণ। অর্থাৎ পুরুষের শরীর, মন কিছুই নেই। যেন পুরুষের কাছে সমাজের কোনও দাবী নেই।
পুরুষ নিজে দাবি করে যে, তাঁকে রোজগার করে খাওয়াতে হয় কিন্তু সেটাও সমাজের নির্মাণ। সমাজ পুরুষকে বলেছে এই দাবি তুলে ধরে নারীর ভূমিকাকে অস্বীকার করতে। পুরুষ নিরাকার থেকে নারী শরীরের উপর আঘাতকে পৌরুষের জয় বলে জানবে। এই আঘাত করাকেই নিজের শরীর নির্মাণ বলে জানবে। পুরুষ আরও জানবে যে, টাকা, সম্পদ, শারীরিক ক্ষমতা দিয়ে সেই-ই প্রকৃত সভ্যতার নির্মাণ কর্তা আর নারী তার সেবা দাসী।—চলবে
* প্রবন্ধের বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।
পুরুষ নিজে দাবি করে যে, তাঁকে রোজগার করে খাওয়াতে হয় কিন্তু সেটাও সমাজের নির্মাণ। সমাজ পুরুষকে বলেছে এই দাবি তুলে ধরে নারীর ভূমিকাকে অস্বীকার করতে। পুরুষ নিরাকার থেকে নারী শরীরের উপর আঘাতকে পৌরুষের জয় বলে জানবে। এই আঘাত করাকেই নিজের শরীর নির্মাণ বলে জানবে। পুরুষ আরও জানবে যে, টাকা, সম্পদ, শারীরিক ক্ষমতা দিয়ে সেই-ই প্রকৃত সভ্যতার নির্মাণ কর্তা আর নারী তার সেবা দাসী।—চলবে
* প্রবন্ধের বক্তব্য লেখকের নিজস্ব।
* বৈষম্যের বিরোধ-জবানি (Gender Discourse): নিবেদিতা বায়েন (Nibedita Bayen), অধ্যাপক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পি আর ঠাকুর গভর্নমেন্ট কলেজ।