আধুনিক কর্ম ব্যস্ততার মধ্যে যত দিন যাচ্ছে, ততই আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ছি। অফিসের ব্যস্ততার মাঝে নিজের জন্য সময় বের করাও খুবই কঠিন। এই পরিস্থিতিতে পরপর আমরা অনেক বেশি যন্ত্রনির্ভর হয়ে উঠছি। ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ছাড়া আধুনিক রান্নাঘর যেন বেমানান। কিন্তু জানেন কি, রান্নাঘরে থাকা এমনই সাতটি উপকারী সামগ্রী নিঃশব্দে আপনার ক্ষতিসাধন করে চলেছে। যা কখন কখন তা প্রাণহানিকারকও হয়ে উঠতে পারে।
● রোজ বাজার যাওয়ার সময় পান না অনেকেই। তাই একদিনেই গোটা সপ্তাহের বাজার করে রাখেন অনেকেই। আর সপ্তাহখানেকের বাজারকে টাটকা তরতাজা রাখার গুরুদায়িত্ব বলতে গেলে ফ্রিজই সামলায়। তবে অনেকের হয়তো জানা নেই, ফ্রিজ থেকে নির্গত ক্লোরো ফ্লুরো কার্বন আমাদের শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এর জন্য কাউ কাউ তীব্র মাথা যন্ত্রণার সমস্যায়ও ভোগেন।
● অফিস থেকে ফিরে আর খাবার দাবার গরম করতে ইচ্ছা করে না কারওই। তাই অগত্যা কম খাটুনিতে গরম খাবারদাবার খাওয়ার জন্য মাইক্রোওয়েভের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু মাইক্রোওয়েভ থেকে নির্গত রশ্মি নিশ্চুপে আমাদের ক্ষতি করে চলেছে। আমরা মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করব না, তা তো হতে পারে না। বরং মাইক্রোওয়েভ ব্যবহারের আগে তাতে ব্যবহৃত বাসনপত ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে নিন।
● অ্যালুমিনিয়ামের বাসনপত্র আমরা সারাক্ষণই ব্যবহার করি। জানলে আশ্চর্য হবেন এই বাসনেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। কারণ, অ্যালুমিনিয়ামের বাসন থেকে নির্গত ক্যাডমিয়াম আমাদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতিকর করে।
● খাবার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত সোডিয়াম বেনজোয়েট ব্যবহার করে থাকি। কোনও খাবারে ০.১ শতাংশের বেশি সোডিয়াম বেনজোয়েট ব্যবহার করলে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এর ফলে অ্যালার্জি এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি থাকতে পারে। খাবারে ৩ গ্রামেরও বেশি এমএসজি ব্যবহারও ডেকে আনতে পারে বিপদ। এমএসজির ফলে হৃদরোগ এবং অ্যালার্জি হতে পারে।
● আধুনিক রান্নাঘরে এয়ার ফ্রায়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই বৈদ্যুতিক যন্ত্র থেকে প্রাণঘাতী রোগের সম্ভাবনাও হতে পারে। তাই এয়ার ফ্রায়ার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
● বেশিরভাগ রান্নাঘরেই এখন সরষের তেলের অধিকাংশ জায়গাই দখল করে নিয়েছে রিফাইন্ড অয়েল। অনেক সময় ভাজাভুজির পর রিফাইন্ড অয়েল রেখে দিই আমরা। পরবর্তী রান্নাবান্নায় ওই বেঁচে যাওয়া তেল ব্যবহার করে থাকি। এটি কখনই করা উচিত নয়। কারণ, পোড়া রিফাইন্ড অয়েল ব্যবহারে ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক অসুস্থতা ডেকে আনতে পারে।