বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

এখনকার প্রবল দাবদাহে ছোট থেকে বড় সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। ঘরে কিংবা বাইরে— দু’দণ্ড কোথাও থাকার উপায় নেই। এই গরমে ফ্রিজ ছাড়া জীবন প্রায় অচল। বাইরে থেকে ফিরে ঠান্ডা জল খাওয়া হোক কিংবা শাক-সব্জি, ফলমূল ভাল রাখা— সবেতেই ফ্রিজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু এসির মতো ফ্রিজ ব্যবহারেরও বিদ্যুতের বিল অনেক বেশি ওঠে। অনেকের বাড়িতে আবার ২৪ ঘণ্টায় ফ্রিজ চলে। গরম কত দিনে কমবে তার কথা কেউ জানাতে পারছেন না। ফলে সারা দিন ধরে ফ্রিজ চললে মাসের শেষে বিদ্যুতের বিল দেখে মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। কিন্তু বিলের ভয়ে তো আর গরমে ফ্রিজ বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। তবে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখলে সারা দিন ফ্রিজ চালিয়ে বিল কম আসবে। কী ভাবে চালাবেন ফ্রিজ?
 

খালি অবস্থায় ফ্রিজ রাখবেন না

অনেকের ধারণা, ফ্রিজে বেশি জিনিসপত্র রাখলেই বুঝি বিল বেশি ওঠে। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। ফ্রিজের ভিতরে জায়গা ফাঁকা থাকলে তাপমাত্রা ধরে রাখার ক্ষমতাও ধীরে ধীরে কমে যাবে। তাই ফ্রিজ খালি অবস্থায় না চালানোই ভালো। এতে বিল বেশি ওঠে। ফ্রিজে পর্যাপ্ত খাবার রেখে দিন। তবে একথা মনে রাখতে হবে যে, ফ্রিজে খাবারগুলি এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে যথেষ্ট বাতাস চলাচল করা সম্ভব হয়।

আরও পড়ুন:

ঠিক কত বার যৌন মিলনে দাম্পত্য সুখের হয়

তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি! এসি ছাড়া গতি নেই! সারা রাত এসি চালিয়েও কী করে বিল কম আসবে?

 

দীর্ঘক্ষণ ধরে ফ্রিজের দরজা খুলে রাখবেন না

প্রয়োজনীয় জিনিস বার করে নিয়ে অনেকেই ফ্রিজের দরজা বন্ধ করে দিন। ফ্রিজের দরজা খুলে রাখলে ভিতরের ঠান্ডা বেরিয়ে যায়। ফলে কম্প্রেসার মেশিনের উপর চাপ পড়ে। ফলে ফ্রিজ নিজেকে ঠান্ডা রাখার জন্য বাড়তি বিদ্যুত খরচ করে। তাই জিনিস বার করে নেওয়ার পর ফ্রিজের দরজা মনে করে বন্ধ কড়ে দিন।

আরও পড়ুন:

হাত বাড়ালেই বনৌষধি: রোজ খাওয়ার পরে পান খান? অনেক ওষুধ কেনার খরচ বেঁচে যেতে পারে

স্বাদে-আহ্লাদে: খুদের টিফিনে কী দেবেন ভেবেই মাথায় হাত? ঝটপট বানিয়ে ফেলুন মুগ ডালের চিল্লা!

 

দরকার মতো অনুযায়ী ফ্রিজের তাপমাত্রা ঠিক করুন

আবহাওয়া এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিজের তাপমাত্রা ঠিক করে নিন। শীত আর গরমে ফ্রিজের তাপমাত্রা সবসময় একই থাকবে না। গরমে ফ্রিজের তাপমাত্রা বাড়িয়ে রাখতে পারেন। তবে মাঝেমাঝে ফ্রিজ ঠান্ডা হয়ে গেলে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দিতে পারেন। এর ফলে ফ্রিজে রাখা খাবারদাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় কম থাকে।


Skip to content