বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

আমাজন ভারতে আর খাবার ডেলিভারি করবে না। সংস্থার সহযোগী রেস্তোরাঁগুলির কাছে এই বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছে আমাজন। ২০২০ সালের মে মাসে দেশজুড়ে অতিমারী এবং লকডাউনের সময় ডেলিভারি পরিষেবা শুরু করেছিল সংস্থাটি। আমাজনের সদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে এই পরিষেবা বন্ধ হতে চলেছে।
সংস্থার এই সিদ্ধান্তের কথা আমাজন ইমেল করে তাদের সহযোগী রেস্তরাঁগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে। ইমেল জানানো হয়েছে, ‘এই সিদ্ধান্তের অর্থ হল ২৯ ডিসেম্বরের পর থেকে আর আমাজনের মাধ্যমে অনলাইন খাবার অর্ডার করতে পাবেন না। অবশ্য ততদিন পর্যন্ত আপনারা কাবার অর্ডার করতে পারবেন।’
চলতি বছরের ২৯ ডিসেম্বর থেকে ডেলিভারি পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেলেও রেস্তরাঁগুলি ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সব আমাজন টুল ও রিপোর্ট ব্যবহার করতে পারবে। পাশাপাশি ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো যাবে।
আরও পড়ুন:

হোয়াটসঅ্যাপের ডেস্কটপ ভার্সানেও এবার পাসওয়ার্ড দেওয়া যাবে! কীভাবে, কবে থেকে?

ফেসবুক প্রোফাইলে ১ ডিসেম্বর থেকে ব্যবহারকারীদের এই তিনটি তথ্য দেখা যাবে না, কী কী জানেন?

উল্লেখ্য, টুইটার, মেটার পর এ বার আমাজনও কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে বলে খবর। সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, একটানা কয়েক মাস ধরে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে আমাজন। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্রের দাবি, আমাজন শীঘ্রই ১০ হাজারের বেশি কর্মীকে থেকে বিদায় জানাতে পারে। তবে শুধু কর্মী ছাঁটাই নয়, বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ব্যয় সংকোচেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। যদি সত্যিই ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হয় তাহলে সংস্থার ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় গণছাঁটাই হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:

জাঁকিয়ে শীতের জন্য বাংলাকে আরও অপেক্ষা করতে হবে, এর মধ্যে আবার হাজির ঘূর্ণাবর্তও

দার্জিলিংয়ে নতুন অ্যাডভেঞ্চার! টয় ট্রেন চলবে রাতেও, কবে থেকে?

জানা গিয়েছে, গণছাঁটাইয়ে প্রথমে ‘অ্যালেক্সা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট’-এর মতো যন্ত্র ভিত্তিক বিভাগগুলিতে কোপ পড়তে পারে। এও খবর, সংস্থার পক্ষ থেকে কিছু অলাভজনক বিভাগের কর্মীদের ইতিমধ্যেই ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সংস্থারই অন্য বিভাগে সুযোগ খোঁজার ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অতিমারির সময় সাধারণ মানুষ অনলাইনে কেনাবেচা সংস্থাগুলির দিকে বেশি করে ঝুঁকেছিলেন। ফলে স্বাভাবিক ভাবে তাদের ব্যবসাও খুবই লাভজনক হয়ে উঠেছিল। তবে অতিমারি পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হওয়ায় আমাজনে কেনাকাটার হারও তুলনামূলক অনেকটাই কমে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই কয়েক হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ে পথে হেঁটেছে টুইটার। ইলন মাস্কের সংস্থা টুইটারে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। এর পর ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা কর্মী সংকোচন করেছে। এবার একই পথে হাঁটতে চলেছে আমাজনও, এমনটাই সূত্রের দাবি।

Skip to content