১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের জারজিনহো একা ৭টি গোল করেছিলেন।
উনিশশো সত্তর সালে রাইট উইঙ্গার হিসেবে ব্রাজিল দলের হয়ে বিশ্ব দাপিয়েছেন জারজিনহো। সেই বিশ্বকাপে দলের হয়ে প্রত্যেকটি ম্যাচে গোল করার রেকর্ড রয়েছে তাঁর।
উনিশশো চুয়াল্লিশ সালের ২৫ ডিসেম্বর ব্রাজিলের রিও দি জেনেরিওতে জন্মেছিলেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে সে দেশের প্রতিষ্ঠিত ক্লাব বোটাফোগাতে তাঁর ফুটবল কেরিয়ার শুরু করেন। প্রথম জীবনে ছিলেন বল বয়। পরবর্তীকালে আর এক বিশ্বখ্যাত ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার গ্যারিঞ্চাকে আদর্শ করে হয়ে উঠেছিলেন একজন দক্ষ স্ট্রাইকার। এই ষাটের দশকেই বোটাফোগার হয়ে ক্লাব ফুটবলে অভিষেক ম্যাচে প্রথম গোল পান।
আরও পড়ুন:
বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-৩: মেডিকেল কলেজ থেকে বিশ্বকাপ
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫০: লুকোনো বই পড়ার জন্য রবীন্দ্রনাথ বাক্সের চাবি চুরি করেছিলেন
অচিরেই জারজিনহো তাঁর স্কিল এবং দুরন্ত ড্রিবলিংয়ের জন্য জাতীয় দলে সুযোগ করে নেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৯। খেললেন ১৯৬৬ এর বিশ্বকাপ। পেলে ছাড়াও যে পাঁচ জন নক্ষত্র ব্রাজিলকে আলোকিত করেছিলেন তাঁরা হলেন টোস্টাও, জারজিনহো, রিভেলিনো, ক্লডোয়াল্ডো এবং গারসন।
আরও পড়ুন:
সোনার বাংলার চিঠি, পর্ব-৮: বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারতীয় কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবিদের ভূমিকা আমরা ভুলবো না
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৫: সত্যিই কি মায়ের দয়ায় পক্স হয়?
এই আন্তর্জাতিক ফুটবলারের সবচাইতে বড় গুণ ছিল যে, দল যখন পিছিয়ে পড়েছে, তখন অসম্ভব পরিশ্রম আর দক্ষতায় বিপক্ষ দলকে চুরমার করে সতীর্থ ফুটবলারদের নিয়ে সেই গোল শোধ করে তাঁর নিজের দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তিনি মাঠে নামমাত্র দর্শকরা আনন্দে অভিভূত হতো এই ভেবে যে, বল নিয়ে শিল্প এবং সাফল্যর মেলবন্ধনের এক চাক্ষুষ সৌন্দর্য উপভোগ করবে তারা।
আরও পড়ুন:
রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৪: ভাবলাম এ যাত্রায় কোনও রকমে বাঁচা গেল, কিন্তু এতো সবে সন্ধ্যে! রাত তখনও অনেক বাকি…
স্বাদে-গন্ধে: মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছে করছে? বাড়িতে ঝটপট বানিয়ে ফেলুন জিভে জল আনা ক্ষীর মাধুরী
বিশ্বের সর্বকালের কুড়িজন ফুটবলারের মধ্যে জারজিনহোর নাম আজ এবং ভাবীকালেও উচ্চারিত হবে। ১৯৬৬ থেকে ৭৪ মোট তিনটি বিশ্বকাপেই তিনি ব্রাজিল দলের একজন অপরিহার্য স্ট্রাইকার ছিলেন।
আরও পড়ুন:
হেলদি ডায়েট: করলা স্বাদে তেতো হলেও পুষ্টিগুণ কিন্তু মিষ্টি! একঝলকে জেনে নিন রোজ কেন পাতে রাখবেন এই সব্জি
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৪০: শুধু খাল-বিল ঝিল নয়নজুলিতে মৌরালা মাছ করে প্রায় ২০ লক্ষ শিশুর অনুপুষ্টির ঘাটতি মেটানো সম্ভব
১৯৭০ এ বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাজিল ইতালির বিরুদ্ধে ৪-১ গোলে জয়লাভ করে। বলা বাহুল্য, সেই ম্যাচের সবচেয়ে দর্শনীয় গোলটি করেছিলেন জারজিনহো।
সম্প্রতি সতীর্থ ফুটবলার পেলের প্রয়াণে জারজিনহো মুহ্যমান রয়েছেন ৭৮ বছর বয়সী এই প্রবীণ ফুটবল নক্ষত্র থাকেন ব্রাজিলেই। অবসর সময় কাটান লিখে এবং বই পড়ে।
সম্প্রতি সতীর্থ ফুটবলার পেলের প্রয়াণে জারজিনহো মুহ্যমান রয়েছেন ৭৮ বছর বয়সী এই প্রবীণ ফুটবল নক্ষত্র থাকেন ব্রাজিলেই। অবসর সময় কাটান লিখে এবং বই পড়ে।
*বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল (Football – Top players first goals): শমীন্দ্র ভৌমিক (Samindra Bhowmick), শিল্পী ও ছড়াকার।