শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


পিতা চেয়েছিলেন ছেলে ও তাঁর মতো বক্সার হোক। কিন্তু বেঁকে বসেছিলেন ম্যাথুজ।

স্ট্যানলি ম্যাথুজ। ইংল্যান্ড দলের সর্বকালের সেরা ফুটবলার। জন্মেছিলেন ১ ফেব্রুয়ারি ১৯১৫। বাবা ছিলেন একজন পেশাদার বক্সার। মা সংসারের কর্ত্রী।
পিতা চেয়েছিলেন ছেলে ও তাঁর মতো বক্সার হোক। কিন্তু বেঁকে বসেছিলেন ম্যাথুজ। বয়স তখন মাত্র চোদ্দো। মা ছেলের পক্ষ নিলেন। ফুটবলকে বুকে জড়িয়ে ক্রমে ম্যাথুজ হয়ে উঠলেন ইতিহাস। মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রিয় ক্লাব পোর্ট ভেল-এর হয়ে প্রথম গোল। তারপর স্টোক সিটি এবং ব্ল্যাক পুল। ১৯৩২ থেকে ১৯৬৫ সাল অবধি এই দুটি ক্লাবেই তিনি খেলেছেন। জীবনের অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে ৫০ বছর বয়স অবধি দাপিয়ে ফুটবল খেলেছেন।
আরও পড়ুন:

বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-১১: ফুটবলের ব্ল্যাক প্যান্থার: লেভ ইয়াসিন

অজানার সন্ধানেঃ মুছে যাক গ্লানি মুছে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা…

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩১: মরুভূমির উপল পারে বনতলের ‘হ্রদ’

ব্যক্তিগত সাফল্যের জন্য হয়েছেন ‘ইয়ার অফ দ্য ফুটবলার’। পেয়েছেন ১৯৬৭ সালে ‘নাইট হুড’ খেতাব। দলীয়ভাবে ব্ল্যাক পুলের হয়ে ১৯৫৩ সালে এনে দিয়েছিলেন এফ এ ক্লাব চ্যাম্পিয়ন।

১৯৫৪-র বিশ্বকাপ সেভাবে মাতাতে স্বদেশে পারেননি ঠিকই কিন্তু তাঁর দুই পায়ের ছন্দ আর ড্রিবলিং দেখে দর্শকরা অভিভূত হয়ে যান। সুদীর্ঘ ৩৩ বছরের ফুটবল জীবনে ক্লাব ফুটবলে ৬৯৭টি ম্যাচে ৭১টি গোল করেছেন। ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে ৫৪টি ম্যাচে করেছেন ১১টি গোল।
আরও পড়ুন:

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১৪: কাওয়ার্ধা পরিভ্রমণ

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৬: পঞ্চম-সভার তিন রত্ন বাসু-মনোহারী-মারুতি

পর্ব-২৫: মা-বাবার বয়স বাড়ছে, এই সময় পড়ে গেলে বড় বিপদ ঘটতে পারে, সুরক্ষার প্রয়োজনে মানতে হবে কিছু নিয়ম/১

স্ট্যানলিকে বলা হয় ইংল্যান্ডের সর্বকালের একজন মানবিক এবং মেহনতী জনতার আদর্শ ফুটবলার। তাঁকে মাঠে নামতে দেখলেই দর্শকরা আনন্দে আত্মহারা হতেন। ৫০ বছর বয়সেও ক্লাব ফুটবলে তাঁর ড্রিবলিং এবং গোল করার দক্ষতায় সবাই চমকে যেতেন। বিশ্বের সমস্ত সংবাদপত্রে তাঁকে নিয়ে লেখা হয়েছে। তিনি চির অমর একজন তরুণ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন:

স্বাদে-আহ্লাদে: চিকেন প্রিয়? তাহলে এমন হায়দরাবাদি চিকেনে জমিয়ে দিন দুপুর

দশভুজা: ‘পুরুষ মানুষের কাজে হাত দিলে এমনই হবে, মহিলাদের এসব সাজে না’

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৫০: ‘ফিশ পাস’ পুরোদমে চালু হলে ইলিশের প্রজনন বাধাহীনভাবে সম্ভবপর হবে

২০০০ সালে ৮৫ বছর বয়সে প্রয়াণ করেন তাঁর স্বদেশীই। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই কঠিন জীবন সংগ্রাম, আবেগ আর কিংবদন্তি ফুটবলার হিসেবে দেশে দেশে তিনি অমরত্ব পেলেন ফুটবলের ইতিহাসে।
* বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল (Football – Top players first goals): শমীন্দ্র ভৌমিক (Samindra Bhowmick), শিল্পী ও ছড়াকার।

Skip to content