শুক্রবার ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


ল্যাটা মাছ।

ল্যাটামাছ মিষ্টি জলের মাছ। মাছের মুখটা কিছুটা সাপের মতো দেখতে। তাই একে স্নেকহেড মাছও বলা হয়। মারেল বা মুরেল শ্রেণিভুক্ত এই মাছটিকে। অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র থাকায় জল ও বায়ু—দু’ জায়গা থেকেই অক্সিজেন গ্রহণ করার ক্ষমতা আছে। সে কারণে বোধ হয় বেশ শক্তপোক্ত হয় এটি।
এদের মাথার আঁশের সঙ্গে সাপের মাথার আঁশের মিল আছে। লম্বাটে মাছটির দেহের পরেই থাকে বিরাট পাখনা। ল্যাজের গড়ন কিছুটা চামচের মতো দেখতে হয়। চাষের পুকুরে এদের স্থান দেওয়া হয় না—এদের শিকারী স্বভাবের জন্য এবং পুকুর তৈরির সময় মহুয়া খোল প্রয়োগে মেরে ফেলার রীতি চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। বোবা, নয়নজুলি, এঁদো পুকুরে এরা বহাল তবিয়তে থাকতে পারে বলেই বোধ হয় এখনও টিকে আছে।
আরও পড়ুন:

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৯১: স্বল্প খরচেও উন্নত মানের মাছ বা জৈব চাষ করা সম্ভব

এই দেশ এই মাটি, পর্ব-৩৫: সুন্দরবনের নদীবাঁধের অতীত

অনেক ধরণের ল্যাটা মাছ হয়। আমাদের দেশেই অনেকগুলি পাওয়া যায় আর দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতেও বেশ কিছু ধরণের ল্যাটা দেখতে পাওয়া যায়। অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ ও সহজপাচ্য সুস্বাদু ও শক্তসমর্থ এই মাছটির সঙ্গে মিল আছে সদৃশ প্রজাতির শোল, চ্যাং, লাল ইত্যাদির। ভুবনেশ্বরে অবস্থিত সিফা থেকে এই মাছের উপযুক্ত চাষপদ্ধতি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে উদ্যোগী হলে ছোটপুকুর থেকেই নিশ্চিত আয়ের ব্যবস্থা সম্ভব।
* বাঙালির মৎস্যপুরাণ (Bangalir Matsya Purana – Fish) : ড. প্রতাপ মুখোপাধ্যায় (Pratap Mukhopadhyay) অবসরপ্রাপ্ত প্রধান মৎস্যবিজ্ঞানী, ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ, ভারত সরকার।

Skip to content