রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


আমাদের দেশের পূর্ব উপকূলে, বিশেষ করে আমাদের রাজ্যের সুন্দরবন অঞ্চলে একটি অতীব সুন্দর মাছ পাওয়া যায়। যদিও পরিমাণে নেহাতই কম। কাকদ্বীপে অবস্থিত ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের গবেষণা এবং খামারে এই মাছ রয়েছে। এর নাম চ্যানশ চ্যানশ। যদিও মাছটি মিল্ক ফিশ নামে বেশ পরিচিত।
এখন এই মাছের চাষ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা সফল হয়েছেন। আদতে সামুদ্রিক মাছ হলেও, মোহনায় থাকতে এরা বেশি পছন্দ করে। এমনকি মিষ্টি জলেও এর চাষ ওই অঞ্চলে সফল হয়েছে। বিভিন্ন নীল-সবুজ শৈবাল ডায়াটম এদের প্রিয় খাবার। মাছটির আকৃতি বিশেষ করে ল্যাজের পাখনাটি নজরকাড়া।
আরও পড়ুন:

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৯৫: ফিলে তৈরির জন্য পাঙাশ মাছ আদর্শ, এই মাছচাষে আর্থিক লাভও ঈর্ষণীয়

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৩৯: সুন্দরবনের ব্যাঘ্র-ইতিহাস

অত্যন্ত ঝকঝকে রুপোলি এই মাছটি চমৎকার দেখতে শুধু নয়, এর দুধসাদা এবং নরম মাস পুষ্টিগুণে অতিশয় সমৃদ্ধ। দুটি বিশেষ পুষ্টিগুণ থাকার কারণে অপযারক সেলেনিয়াম এবং দীর্ঘশৃঙ্খল ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি এই মাছটির পৌষ্টিক মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এদের জীবনের ছয়টি বিভিন্ন পর্যায় হল— এমব্রায়োনিক, ইয়ক-স্যাক লার্ভাল, পোস্ট লার্ভাল, জুভেনাইল, সাব-অ্যাডাল্ট এবং অ্যাডাল্ট।
আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৫৩: ক্রোধ ও ক্ষমা, কোনটির প্রভাব বেশি? হিংসা ও প্রতিহিংসার ফল কী সুদূরপ্রসারী?

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮২: রবীন্দ্রনাথ সাহেব-শিক্ষকদের কাছেও পড়েছেন

চ্যানিডি পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য হল এই মাছটি। এই মাছটির সারা গায়ে খুব ছোট আঁশ এবং চোখ দুটিতে একটি জিলেটিনযুক্ত লেয়ারের প্রলেপ রয়েছে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হল, সমগ্র ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জের জাতীয় মাছ এটি। এই মাছটি সেখানে বাঙ্গাস নামে পরিচিত।

আশা রাখব, এই মাছটির চাষপদ্ধতি আরও সরলীকরণ হবে এবং আপামর জনগণ এই মাছটির আস্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন ভবিষ্যতে।
* বাঙালির মৎস্যপুরাণ (Bangalir Matsya Purana – Fish) : ড. প্রতাপ মুখোপাধ্যায় (Pratap Mukhopadhyay) অবসরপ্রাপ্ত প্রধান মৎস্যবিজ্ঞানী, ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ, ভারত সরকার।

Skip to content