বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


মালেট গ্রুপের সদৃশ একটি মাছ দক্ষিণবঙ্গের নদী ও মোহনাতে কিছুদিন আগে পর্যন্ত বেশ ভালোই পাওয়া যেত। এখন আর এই মাছটিকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। এর স্থানীয় নাম খরশুলা। অতি সুস্বাদু। এই মাছটির স্বাদের সঙ্গে বাটা মাছের স্বাদের বেশ মিল আছে। খাড়ি থেকে আরম্ভ করে দক্ষিণবঙ্গের নদী, ঝিল, পুকুর এদের আবাসস্থল। অর্থাৎ যেমন এরা অল্প নোনা জলেও থাকতে পারে তেমনই আবার মিষ্টি জলেও থাকতে পারে।
এদের দ্রুত সাঁতরানো না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না, কি অসম্ভব তড়িৎ গতিতে এদের চলাফেরা। আগে অ্যাকোয়ারিয়ামেও মাছটিকে অনেকে রাখতেন। মালেট গ্রুপের পারশে বা ভাঙ্গন মাছের সঙ্গে এই মাছটির বেশ খানিকটা মিল থাকলেও, দেহের মধ্যে চোখের অবস্থানটি সম্পূর্ণ অন্যরকম। আকারে বেশ লম্বা।দেহটা চ্যাপ্টা। পিঠের দিকটা সমতল এবং বলের মতো ঠেলে বেরোনো চোখ দুটো মাথার উপরের দিকে কাছাকাছি অবস্থিত।
আরও পড়ুন:

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৮৮: এই প্রজন্মের নতুন চাষিরা উদ্বুদ্ধ হলে এইসব মাছ চাষে আর চিন্তার কোনও অবকাশ থাকবে না

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৩১: সুন্দরবনের ঐতিহ্য গঙ্গাসাগরমেলা ও কপিল মুনির আশ্রম

মাছটি এক ফুট লম্বা তো হয়ই। লেজের পাখনাটি বেশ চওড়া। এটি হালকা ধূসর বা ছাই রঙের হয়। অত্যন্ত সুস্বাদু এই মাছটি হারিয়ে যেতে বসেছে। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। পুষ্টিগুণের দিক থেকে অত্যন্ত উঁচুমানের মাছ। বিশেষত দীর্ঘশৃঙ্খল ফ্যাটি অ্যাসিডের নিরিখে এই মাছের সঙ্গে অন্য মাছকে সহজে তুলনা করা যায় না। এই অর্থে আমাদের স্বাস্থ্যের কারণে এই মাছটিকে টিকিয়ে রাখা একান্ত জরুরি।

ছবি: লেখক
* বাঙালির মৎস্যপুরাণ (Bangalir Matsya Purana – Fish) : ড. প্রতাপ মুখোপাধ্যায় (Pratap Mukhopadhyay) অবসরপ্রাপ্ত প্রধান মৎস্যবিজ্ঞানী, ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ, ভারত সরকার।

Skip to content