
প্রকৃতি বৈচিত্রময়। সেই বৈচিত্রময় প্রকৃতির মধ্যে গড়ে ওঠে ঐক্য। সে কারণেই হয়তো মানুষ প্রকৃতির বুকে বারবার আত্মহারা হন। প্রকৃতির কানায় কানায় পূর্ণ রয়েছে রাশি রাশি সম্পদ, সীমানাহীন ঐশ্বর্য। সেই সম্পদের মধ্যে একটি হল জলজ সম্পদ। আর আমাদের জলজ জৈব সম্পদগুলির মধ্যে মাছের গুরুত্ব সর্বত্রই অপরিসীম এবং তা সর্বকালীনও বটে। কেবলমাত্র পুষ্টি গুণের জন্যই যে এই মাছ আমাদের কাছে উপাদেয় তা নয়! আবহমানকাল ধরে আমাদের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে মিশে আছে এই মাছ। তথা এই মাছের শিল্প।
ভারতবর্ষের মতো একটি বৃহৎ দেশ যেখানে বিভিন্ন রাজ্যের জলবায়ু তারতম্যের ফলে, রসনা ও আস্বাদের দিক থেকেও মানুষের পছন্দ ভিন্ন থাকার ফলে একটি রাজ্যের মানুষ বিশেষ প্রজাতির মাছ খেতে ভালোবাসেন। আমাদের দেশে মাছ বহুদিন আগেই শিকারের বস্তু থেকে বিবর্তিত হয়েছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে অগ্রণী শিল্পে এবং তা সম্ভব হয়েছে উদ্ভাবন, বিকাশ ও সচেতনতা—এই তিনটি বিষয়ের সঠিক মেলবন্ধনে। এই সচেতনতা বিকাশে মাছ, তার সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে অঙ্গীকৃত হয়েছেন ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের ‘ন্যাশনাল ব্যুরো অব ফিশ জেনেটিক রিসোর্সেস’ (লখনউ)।
দেশে মোট ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৬টি রাজ্যের জন্য নির্বাচিত মাছের তালিকা ও জাতীয় মাছের নামকরণও করা হয়েছে। সমগ্র সমাজকে মাছ, তার সংরক্ষণ ও পরিপালন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করবার জন্যই এ এক অভিনব পন্থা।
আমরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্য মাছ এবং সেই মাছের বিভিন্ন গুণাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করব ধারাবাহিকভাবে। আজকের আলোচনার বিষয় হল—
বাংলার প্রিয় মাছ
বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় বলতে যে মাছের কথা উঠে আসে তা হল ইলিশ। ইলিশ মাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম হল ‘হিলসা ইলিশা’। এই মাছ আরও বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন—হিলিশা শড, মদার, পালভা। এই মাছ বাংলাদেশের বিভিন্ন মাছের প্রজাতির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রজাতি। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ইলিশ মাছকে ‘স্টেট ফিশ’ হিসাবে নির্বাচন করেছেন।
পরিযায়ী মাছ
ভারতবর্ষের একমাত্র পরিযায়ী মাছ হল এই ইলিশ। আবার বঙ্গ জীবনের অঙ্গ হল এই ইলিশ। এই পরিযায়ী মাছ তার জীবনের অধিক সময়টি সে সমুদ্রে ব্যয় করে। বছরে দুই বার তারা নদীর বক্ষে গমন করে। ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস নাগাদ এবং বর্ষা ঋতুতে। বর্ষা ঋতুতে প্রজনন ক্রিয়ার সময় এই মাছ নদী মুখে আসে। অর্থাৎ জুন মাসের শেষ থেকে অক্টোবর মাসের প্রথম পর্যন্ত ইলিশ নদীর মিষ্টি জলেই থাকে। ইলিশের ডিম দেওয়ার আদর্শ সময় হল সেপ্টেম্বর। কারণ এই সময় নদীতে উদ্ভিদকণা ও প্রাণীকণার প্রাচুর্য দেখতে পাওয়া যায়। যা ইলিশের মূল খাদ্য বলে বিবেচিত। ফলত প্রকৃতিজাত খাবারটি তারা অনায়াসেই এখান থেকে সংগ্রহ করে। চার থেকে পাঁচ মাস নদীর জলে থেকে তারা ডিম পোনা থেকে ক্রমশ চারা পোনা বা খোকা ইলিশে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে তারা লবণের সহনশীলতা অর্জন করতে পারে। তারপর তারা মোহনার স্বল্প লবণাক্ত জলে কিছুদিন আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে তারা সমুদ্রের পথে অগ্রসর হয়। সেই সমুদ্রে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে থাকে। পরে আবার তারা নদীর বুকে অগ্রসর হয় প্রজনন ক্রিয়ার তাগিদে।
জন সচেতনতা
একটি ইলিশ দশ লক্ষ ডিম দিতে পারে। সেখান থেকে নব্বই শতাংশ ডিম যদি নষ্ট হয়ে যায় দশ শতাংশ ডিম যদি বেঁচে থাকে তাহলেও এক লক্ষ মাছ আমরা পাব। কিন্তু আমরা তা পাচ্ছি না। এই না পাওয়ার প্রধান কারণ হল বর্ষা ঋতুর যে সময়ে ইলিশ সমুদ্র থেকে নদীর পথে গমন করে প্রজনন ক্রিয়ার আশায় সেই সময় উপকূলবর্তী এলাকায় তাদেরকে ধরে নেওয়া হয়। সুতরাং তাদেরকে প্রজনন ক্রিয়া করতে না দিয়ে আমরা বঞ্চিত করছি নিজেদেরই। এই সময় যে মাছগুলি ক্রয় করা হয় দেখা যায় যে মাছগুলির পেটে ডিম রয়েছে। এর কারণ হল একটাই ওরা ডিম পাড়তে এসেছিল, কিন্তু ডিম পাড়ার আগেই ওদের ধরে নেওয়া হয়েছে।
ভারতবর্ষের মতো একটি বৃহৎ দেশ যেখানে বিভিন্ন রাজ্যের জলবায়ু তারতম্যের ফলে, রসনা ও আস্বাদের দিক থেকেও মানুষের পছন্দ ভিন্ন থাকার ফলে একটি রাজ্যের মানুষ বিশেষ প্রজাতির মাছ খেতে ভালোবাসেন। আমাদের দেশে মাছ বহুদিন আগেই শিকারের বস্তু থেকে বিবর্তিত হয়েছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে অগ্রণী শিল্পে এবং তা সম্ভব হয়েছে উদ্ভাবন, বিকাশ ও সচেতনতা—এই তিনটি বিষয়ের সঠিক মেলবন্ধনে। এই সচেতনতা বিকাশে মাছ, তার সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে অঙ্গীকৃত হয়েছেন ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের ‘ন্যাশনাল ব্যুরো অব ফিশ জেনেটিক রিসোর্সেস’ (লখনউ)।
দেশে মোট ২৮টি রাজ্য ও ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৬টি রাজ্যের জন্য নির্বাচিত মাছের তালিকা ও জাতীয় মাছের নামকরণও করা হয়েছে। সমগ্র সমাজকে মাছ, তার সংরক্ষণ ও পরিপালন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করবার জন্যই এ এক অভিনব পন্থা।
আমরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্য মাছ এবং সেই মাছের বিভিন্ন গুণাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করব ধারাবাহিকভাবে। আজকের আলোচনার বিষয় হল—
বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় বলতে যে মাছের কথা উঠে আসে তা হল ইলিশ। ইলিশ মাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম হল ‘হিলসা ইলিশা’। এই মাছ আরও বিভিন্ন নামে পরিচিত যেমন—হিলিশা শড, মদার, পালভা। এই মাছ বাংলাদেশের বিভিন্ন মাছের প্রজাতির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রজাতি। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ইলিশ মাছকে ‘স্টেট ফিশ’ হিসাবে নির্বাচন করেছেন।
ভারতবর্ষের একমাত্র পরিযায়ী মাছ হল এই ইলিশ। আবার বঙ্গ জীবনের অঙ্গ হল এই ইলিশ। এই পরিযায়ী মাছ তার জীবনের অধিক সময়টি সে সমুদ্রে ব্যয় করে। বছরে দুই বার তারা নদীর বক্ষে গমন করে। ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস নাগাদ এবং বর্ষা ঋতুতে। বর্ষা ঋতুতে প্রজনন ক্রিয়ার সময় এই মাছ নদী মুখে আসে। অর্থাৎ জুন মাসের শেষ থেকে অক্টোবর মাসের প্রথম পর্যন্ত ইলিশ নদীর মিষ্টি জলেই থাকে। ইলিশের ডিম দেওয়ার আদর্শ সময় হল সেপ্টেম্বর। কারণ এই সময় নদীতে উদ্ভিদকণা ও প্রাণীকণার প্রাচুর্য দেখতে পাওয়া যায়। যা ইলিশের মূল খাদ্য বলে বিবেচিত। ফলত প্রকৃতিজাত খাবারটি তারা অনায়াসেই এখান থেকে সংগ্রহ করে। চার থেকে পাঁচ মাস নদীর জলে থেকে তারা ডিম পোনা থেকে ক্রমশ চারা পোনা বা খোকা ইলিশে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে তারা লবণের সহনশীলতা অর্জন করতে পারে। তারপর তারা মোহনার স্বল্প লবণাক্ত জলে কিছুদিন আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে তারা সমুদ্রের পথে অগ্রসর হয়। সেই সমুদ্রে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে থাকে। পরে আবার তারা নদীর বুকে অগ্রসর হয় প্রজনন ক্রিয়ার তাগিদে।
একটি ইলিশ দশ লক্ষ ডিম দিতে পারে। সেখান থেকে নব্বই শতাংশ ডিম যদি নষ্ট হয়ে যায় দশ শতাংশ ডিম যদি বেঁচে থাকে তাহলেও এক লক্ষ মাছ আমরা পাব। কিন্তু আমরা তা পাচ্ছি না। এই না পাওয়ার প্রধান কারণ হল বর্ষা ঋতুর যে সময়ে ইলিশ সমুদ্র থেকে নদীর পথে গমন করে প্রজনন ক্রিয়ার আশায় সেই সময় উপকূলবর্তী এলাকায় তাদেরকে ধরে নেওয়া হয়। সুতরাং তাদেরকে প্রজনন ক্রিয়া করতে না দিয়ে আমরা বঞ্চিত করছি নিজেদেরই। এই সময় যে মাছগুলি ক্রয় করা হয় দেখা যায় যে মাছগুলির পেটে ডিম রয়েছে। এর কারণ হল একটাই ওরা ডিম পাড়তে এসেছিল, কিন্তু ডিম পাড়ার আগেই ওদের ধরে নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে নদীতে হওয়া দূষণ, আবহাওয়ার তারতম্যের ফলেও ইলিশ মাছের প্রজনন ক্রিয়া অনেকাংশে ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমাদের সচেতন হতে হবে। সচেতন হতে হবে নিজেদেরকেই। নদীর জল কীভাবে দূষণমুক্ত রাখব, কীভাবে মাছেদের জন্য বাসযোগ্য করে তুলব সেই জল তার ভাবনা আমাদেরকেই ভাবতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বর্ষার ওই নির্দিষ্ট সময়ে উপকূলবর্তী অঞ্চলে যাতে কেউ ইলিশ না ধরেন তার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। ইলিশের সঠিক উৎপাদন রাষ্ট্রের কোষাগারে যাতে কাজে লাগে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
ইলিশ মাছের চাষ
ভারত সরকার ২০১২ সালে মনে করলেন এই ইলিশ মাছ চাষের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। তাই একটি ন্যাশনাল প্রজেক্ট গঠন করা হল। এর সঙ্গে তিন থেকে চারটি গবেষণাগারকে যুক্ত করা হল এবং এনাদের সঙ্গে রাখা হল মাছ চাষ করেন এমন কৃষককে। ইলিশ সামুদ্রিক মাছ হলেও এই মাছ অন্য মাছেদের মতো ডিম পাড়ে মিষ্টি জলে। শুধুমাত্র এই তথ্যটি কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানী, কৃষক বিজ্ঞানী মিলিত হয়ে পুকুরে এই মাছ চাষ করলেন। খাদ্যের জন্য দেওয়া হল উদ্ভিদকণা ও প্রাণীকণা। দেখা গেল ইলিশ মাছ পুকুরের মিষ্টি জলেই ডিম পাড়ল। সুতরাং কৃত্রিমভাবে ইলিশ মাছের প্রজনন ক্রিয়া করানো সম্ভব হল। আমাদের রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় এই মাছ চাষের কেন্দ্র আছে। যেমন—কল্যাণী, রহরা, কাকদ্বীপ ও মগড়া।
ইলিশের গুণাগুণ
ইলিশ মাছের তেল খুবই উপকারী। নানারকম রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এই তেল। এই তেল দীর্ঘ শৃঙ্খল ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড মানবদেহের হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। আর্থ্রাইটিসের উপকার করে এই তেল। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ক্যানসার প্রতিরোধেও ভূমিকা নেয়।
বৈশিষ্ট্য
● একটি পূর্ণাঙ্গ ইলিশ মাছ দেখতে উজ্জ্বল রৌপ্য বর্ণের মাকু আকৃতির এবং চ্যাপটা হয় এই মাছ।
● পৃষ্ঠদেশে কোনও কাঁটা থাকে না। কিন্তু পৃষ্ঠপাখনায় ১৮-২১টি নরম রশ্মি এবং পায়ু পাখনায় নরম রশ্মি রয়েছে।
● একটি পূর্ণাঙ্গ ইলিশ মাছের দৈর্ঘ্য ৬০ সেমি পর্যন্ত হতে পারে। পুরুষরা স্ত্রী মাছের তুলনায় ছোট। এই মাছের ওজন তিন কেজি পর্যন্ত হতে পারে।
খাদ্যতালিকা
এই মাছের খাদ্যতালিকায় রয়েছে ডায়াটম, স্পাইরোগাইরা, প্রটোজোয়া, অ্যালগি ইত্যাদি। জলের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উদ্ভিদকণা ও প্রাণীকণা হল এই মাছের প্রায় খাদ্য।
ছবি সৌজন্য: লেখক
* বাঙালির মৎস্যপুরাণ (Bangalir Matsya Purana – Fish) : ড. প্রতাপ মুখোপাধ্যায় (Pratap Mukhopadhyay) অবসরপ্রাপ্ত প্রধান মৎস্যবিজ্ঞানী, ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ, ভারত সরকার।
ভারত সরকার ২০১২ সালে মনে করলেন এই ইলিশ মাছ চাষের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। তাই একটি ন্যাশনাল প্রজেক্ট গঠন করা হল। এর সঙ্গে তিন থেকে চারটি গবেষণাগারকে যুক্ত করা হল এবং এনাদের সঙ্গে রাখা হল মাছ চাষ করেন এমন কৃষককে। ইলিশ সামুদ্রিক মাছ হলেও এই মাছ অন্য মাছেদের মতো ডিম পাড়ে মিষ্টি জলে। শুধুমাত্র এই তথ্যটি কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানী, কৃষক বিজ্ঞানী মিলিত হয়ে পুকুরে এই মাছ চাষ করলেন। খাদ্যের জন্য দেওয়া হল উদ্ভিদকণা ও প্রাণীকণা। দেখা গেল ইলিশ মাছ পুকুরের মিষ্টি জলেই ডিম পাড়ল। সুতরাং কৃত্রিমভাবে ইলিশ মাছের প্রজনন ক্রিয়া করানো সম্ভব হল। আমাদের রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় এই মাছ চাষের কেন্দ্র আছে। যেমন—কল্যাণী, রহরা, কাকদ্বীপ ও মগড়া।
ইলিশ মাছের তেল খুবই উপকারী। নানারকম রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এই তেল। এই তেল দীর্ঘ শৃঙ্খল ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড মানবদেহের হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। আর্থ্রাইটিসের উপকার করে এই তেল। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ক্যানসার প্রতিরোধেও ভূমিকা নেয়।
এই মাছের খাদ্যতালিকায় রয়েছে ডায়াটম, স্পাইরোগাইরা, প্রটোজোয়া, অ্যালগি ইত্যাদি। জলের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উদ্ভিদকণা ও প্রাণীকণা হল এই মাছের প্রায় খাদ্য।
ছবি সৌজন্য: লেখক
* বাঙালির মৎস্যপুরাণ (Bangalir Matsya Purana – Fish) : ড. প্রতাপ মুখোপাধ্যায় (Pratap Mukhopadhyay) অবসরপ্রাপ্ত প্রধান মৎস্যবিজ্ঞানী, ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ, ভারত সরকার।