শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

চায়ের সঙ্গে টা হিসেবে বিস্কুট খেতে ভালোবাসেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যাঁরা চা খাওয়ার অভ্যাস আ তাঁদের চায়ের সঙ্গে বিস্কুট না হলে কিছুতেই জমে না। কারণ, গরম চায়ে ডোবানো তুলতুলে বিস্কুট মুখে দিতে কার না ভালো লাগে। যদিও চিকিৎসকদের বক্তব্য, চা-বিস্কুটের জুটি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়।
বিস্কুট তৈরি করতে লাগে ময়দা। আর ময়দা পেটের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। বিশেষত ময়দার তৈরি বিস্কুট খালি পেটে খেলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে বুদ্ধিমানের কাজ হল, সকালে খালি পেটে বিস্কুট না খাওয়া। আরেকটি বিসয় হল, বিস্কুট দীর্ঘ অনেক দিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। প্যাকেটজাত হিসেবে দীর্ঘ দিন রাখা হয়। প্যাকেটের বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব না হলেও অনেক ক্ষেত্রে বিস্কুটের গুণমান খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন:

কন্ডোম ছাড়া মিলনে সুখ বেশি, কিন্তু বিপদের ভয়ও অনেক, কোন ৫টি ভুল মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে?

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৮: চলতে চলতে ‘সাহেব বিবি ও গোলাম’

আবার জদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলেও চায়ের সঙ্গে বিস্কুট এড়ানোই ভালো উপায়। কারণ, বিস্কুটে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি থাকে। থাকে নুনও। অনেকেই হয়তো জানেন না, চিনি এবং নুন উভয়ই ওজন বাড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এমনকি, চায়ের সঙ্গে টা হিসেবে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়িয়ে দেয় এই বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাসে। পাশাপাশি অনেকের হয়তো ধারণা নেই, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো ক্রনিক অসুস্থতাকে অনেক সময় ঝুঁকির মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২৩: বায়োপসি মানেই ক্যানসার?

১০ অ্যাপটি ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত, এখনই না মুছলে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা বিপদে পড়তে পারেন

তাই বলে কি চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়াই যাবে না?
না, অবশ্যই খাবেন। তবে সতর্ক হতে হবে বিস্কুট কেনার সময়। ভালো করে দেখে নিতে হবে পছন্দের বিস্কুটে ফাইবার আছে কি না। কারণ, ফাইবার সমৃদ্ধ বিস্কুট খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অনেকে আবার ভাবেন চায়ের সঙ্গে বিস্কুটই খেতে হয়। ভুল ধারণা, বিস্কুট ছাড়াও চায়ের সঙ্গে মাখানা, কাঠবাদাম খাওয়া যেতে পারে। আবার উপকারও পাবেন। আর যদি চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেতেই হয়, তাহলে অবশ্যই পরিমাণে রাশ টানুন।

Skip to content