আমরা সকলেই জানি, খিদে বা ঘুম পাওয়ার মতো যৌন আকাঙ্ক্ষাও কিন্তু মানুষের এক ধরনের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। নিঃসন্দেহে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও বটে। শরীরী মিলন দু’টি মানুষের সম্পর্কের রসায়নকে আরও মজবুত করে তোলে। সুখী দাম্পত্যের পিছনে সুখী যৌনজীবন নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে। শুধু মানসিক তৃপ্তি নয়, সুস্থ জীবনের জন্যও অতি প্রয়োজনীয় সুখকর যৌনজীবন। মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসের সব দিন যৌন চাহিদা সমান হয় না! কোন সময়ে এই চাহিদা তুঙ্গে থাকে জানেন?
নানা গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মহিলাদের ওভিউলেশনের (ডিম্বস্ফোটন) সময় তাঁদের মধ্যে সঙ্গমের ইচ্ছা প্রবল হয়। যাঁদের ঋতুচক্র স্বাভাবিক দিনে হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে সাধারণ ভাবে ২১-৩৫ দিনের মধ্যেই ঋতুস্রাব হয়। ওভিউলেশনের আগের সময়টি ১৩-২০ দিন পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত ওভিউলেশনের ১৪-১৬ দিনের মধ্যেই ঋতুস্রাব হয়।
আরও পড়ুন:
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ২৭: পিতৃসত্য রক্ষা, নাকি পিতার অনুনয়ে রাজ্যভার গ্রহণ?
বাঙালি এখন মেঝেতে বসে খাবার খাওয়া ভুলতে বসেছে, জানেন এর উপকারিতা?
অর্থাৎ এক বার ঋতুস্রাব হওয়ার ১৪ দিন পর ডিম্বস্ফোটন হয়। ওভিউলেশনের দিন তিনেক আগে থাকেই শরীরের তাপমাত্রা একটু একটু করে বেড়ে যায়। তবে এই তাপমাত্রার পরিবর্তন এতটাই সূক্ষ্ম হয় যে, সাধারণ থার্মোমিটারে তা ধরা যায় না। সর্বোচ্চ ০.৪-০.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত বাড়ে তাপমাত্রা। এ সময়ে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই গর্ভধারণের পরিকল্পনা না থাকলে মাসের এই সময়ে গর্ভনিরোধক ছাড়া সঙ্গম করা একদমই উচিত নয়।
আরও পড়ুন:
ষাট পেরিয়ে, পর্ব-১২: প্রবীণদের টিকা—আপনি নিয়েছেন তো? দ্বিতীয় পর্ব
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৪৩: নোবেল-প্রাপ্তির সংবর্ধনা-সভায় রবীন্দ্রনাথ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন
ঋতুস্রাবের সময় যৌন মিলনের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। অনেক মহিলাই ঋতুস্রাবের সময় প্রবল যন্ত্রণায় ভোগেন। অনেক ক্ষেত্রে যৌন মিলনের ফলে সেই যন্ত্রণা থেকে তাঁরা উপশম পেতে পারেন। ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলাদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, তাই তাঁদের মেজাজ বিগড়ে থাকে। সঙ্গমে মানসিক অবসাদ দূর হয়, ফলে মেজাজও ফুরফুরে হয়ে যায় বলে বিশেষজ্ঞদের একংশ মনে করেন।