শনিবার ৫ অক্টোবর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

বয়স বাড়লে চুল সাদা হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকেরই দেখা যায় ৩০-এর পর থেকেই চুলে পাক ধরতে থাকে। চিকিৎসকেরা সাধারণত বলে থাকেন, শরীরে যখন মেলানিনের ঘাটতি দেখা যায়, তখন থেকেই ধীরে ধীরে আমাদের চুলের কালো রং ফিকে হতে শুরু করে। কেউ কেউ পরিস্থিতি সামাল দিতে চুল কালো রং করে ফেলেন। যদিও এতে তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান হয় মাত্র। দেহে মেলানোসাইট কোষের পরিমাণ কমার পিছনে কিন্তু একাধিক কারণ থাকতে পারে।
 

কোন কোন কারণে চুল পেকে যায়?

ধূমপান

চুল পেকে যাওয়ার সঙ্গে ধূমপানের যোগ রয়েছে। তাই সমস্যার সমাধানে ধূমপান ত্যাগ করতে পারলে সব থেকে ভালো হয়। আর যদি তা একেবারেই সম্ভব না হলে ধূমপানের পরিমাণ কমিয়ে ফেলতেই হবে। এতে চুলে পাক ধরার গতি অন্তত কমবে।

আরও পড়ুন:

সেটে সবার সামনে গায়ের রং নিয়ে কটাক্ষ, অক্ষয় কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দক্ষিণী অভিনেত্রী শান্তি প্রিয়ার

 

মাথার অপরিষ্কার ত্বক

মাথার ত্বক সব সময়ই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কারণ মাথার অপরিচ্ছন্ন ত্বকের জন্য চুল পেকে যেতে পারে। তাই সব থেকে ভালো হয়, মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু ব্যবহার করে নিয়মিত মাথা পরিষ্কার রাখা। তবে শ্যাম্পুর পরে চুল যাতে ভালো মতো শুকোয়, সে দিকেও নজর দিতে হবে।
 

মানসিক চাপ

মানসিক চাপ চুল পেকে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ। ঘর-বাইরে সর্বত্র কাজের চাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই নানা কারণে আমাদের মধ্যে বাড়তে থাকা উদ্বেগের জেরে চুল পাকতে শুরু করে।

আরও পড়ুন:

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৫: আরও একটু বেশি হলে ক্ষতি কী?

আমি আর কখনওই ফিরে আসার প্রত্যাশা করি না…

 

পুষ্টিকর অভাব

চুলের স্বাস্থ্যের জন্য রোজ দিন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। নিত্যদিন পাতে রাখতে হবে প্রোটিন, ভিটামিন, ফ্যাট এবং খনিজের ভারসাম্য থাকে এমন সব খাবার। পাশাপাশি মেলানিনের পরিমাণ বাড়াতেও পুষ্টিকর খাবারে জোর দিতে হবে।
 

অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব

অনেকে ভিজে চুল শুকোনোর জন্যে রোদে বসে থাকেন। এমনিতে এতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু অতিরিক্ত অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে চুলের রং ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে। তাই চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ছাতা, টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহার করাই উচিত।


Skip to content