ছবি প্রতীকী
তবে সব সময় সেই সব নিয়ম মেনে চলা সম্ভবপর নয়। কোনও না কোনও সময় পরিস্থিতি বুঝে নিয়মের পরিবর্তনও করতে হয়। তাই প্রতি দিন খেতে হবে এমন কিছু খাবার যা সহজেই মেদ ঝরাতে সাহায্য করে আমাদের।
সাধারণত মেদ কমাতে গেলে প্রথমেই কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে প্রোটিন দিয়ে পেট ভরাতে হবে।
প্রোটিন
কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট কম খাওয়ার পরামর্শ ডায়াটেশিয়ানরা সবসময় দিয়েই থাকেন। ফলে পেট ভরাতে আস্থা রাখতে হবে প্রোটিনের উপর। প্রাণীজ বা উদ্ভিজ্জ প্রোটিনই পারে পেট ভরানোর সঙ্গে শরীরে বাড়তি মেদ জমা কমাতে। তাই হাই প্রোটিনযুক্ত যে কোনও খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে। মাছ, মাংস, ডিম, পনিরের সঙ্গে মুসুর ডাল, সয়াবিন ও রাখুন রোজকার পাতে।
টক দই
শরীরকে কেবল ডিটক্স করতেই নয়, ওবেসিটি কমাতেও টক দইয়ের ভূমিকা অপরিসীম। টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমের জন্য ভীষণ উপযোগী। টক দইয়ে ফ্যাটও কম থাকে। কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভাবে উপযোগী টক দই। তবে বাজারে কেনা দই না খেয়ে ঘরে পাতা দইয়েই উপরই আস্থা রাখুন।
লেবু
যে কোনও ধরনের লেবু, বিশেষ করে বাতাবিলেবু বা কমলালেবু মেদ ঝরাতে বিশেষ উপযোগী। শরীরে জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন-ই এর মতো নিউট্রিয়েন্টের পরিমাণ কম থাকলে ওজন বাড়ে। সেই প্রবণতা দূর করে লেবু।
মরসুমি শাক-সব্জি
ভাত-রুটির পরিমাণ কমিয়ে বা ভাত বন্ধ করে পেট ভরাতে অনেকে বেশিরভাগ সময় সব্জি, মাছ-মাংস, টক দই এ সবে ভরসা রাখেন। এর ফলে সহজে মেদ ঝরানো যায়। এগুলি শরীরে ফাইবারের জোগান বাড়িয়ে ওজন কমাতে বিশেষ কার্যকর হয়।
Appropriate Prepositions কাকে বলে জানো কি?
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব-৪১: বসুন্ধরা এবং…
গ্রিন-টি
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই পানীয় শরীরে মেটাবলিজমের হার বাড়িয়ে তোলে। মেটাবলিজম হার বাড়লে খিদে কমে। সেই সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ওটমিল
ব্রেকফাস্টে ওটমিল দিনের শুরুতেই শরীরকে অনেকটা ফাইবারের জোগান দেয়। তাছাড়া এতে পেট ভরাও রাখে অনেক ক্ষণ। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
আমন্ড
শরীরে যেটুকু ফ্যাট প্রয়োজন, তার জোগান বাড়ায় বাদাম জাতীয় ফল। রোজের রুটিনে বিকেলের হালকা খিদে মেটান ৫০ গ্রাম বাদাম জাতীয় ফল দিয়ে। আমন্ড, কাজু, চিনেবাদাম মিশিয়ে ৫০ গ্রাম বাদাম দিয়েই বানিয়ে ফেলুন আপনার বিকেলের খাবার।