রান্নাঘর জীবাণুমুক্ত ও ঝকঝকে থাকবে এই ৫ টোটকায়

জীবাণুর হাত থেকে বাঁচতে রান্নাঘর সাফাই করার ক্ষেত্রে সব সময়ই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ, খাবারে বিষক্রিয়া হলে আন্ত্রিক বা পেটের গোলযোগের মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই জেনে নেওয়া দরকার কোন পথে জীবাণুমুক্ত রাখবেন আপনার সাধের রান্নাঘর?
 

নিয়মিত সাফাই করা

● রান্নাঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার করার কোনও বিকল্প নেই। প্রতিদিন একটি ছোট পাত্রে সাবানজলে ন্যাকড়া ভিজিয়ে মুছে ফেলুন রান্নার স্ল্যাব, গ্যাস। আধুনিক মডিউলার কিচেনে বিভিন্ন ধরনের তাক ও ড্রয়ার থাকে, সেগুলিও পরিষ্কার করুন নিয়মিত। চিমনি থেকে দেওয়ালে সবই নিয়মিত সাফ করতে হবে।

 

বাসন ধোয়ার ক্ষেত্রে

● বাসন ধুয়ে রাখা থাকলেও ব্যবহারের আগে আরেক বার ধুয়ে নিতে হবে। আর অপরিষ্কার বাসন বেসিন বা সিঙ্ক-এ পরিষ্কার না করাই ভালো। কারণ, এতে সিঙ্ক-এর মুখ বন্ধ হয়ে যায়। আর করলেও অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। স্টিলের বাসনের ক্ষেত্রে বাসনগুলো আগে থেকে গরমজলে চুবিয়ে রাখতে পারেন। কাঠের জিনিসপত্রের ক্ষেত্রে পরিষ্কার করার সময় বেকিং সোডা, নুন ও লেবু ব্যবহার করুন। বাসন ধোয়া হয়ে গেলে পুরোপুরি না শুকিয়ে বাসনের তাকে তুলবেন না।
 

ননস্টিক বাসন

● অনেকেই এখন রোজকার রান্নায় তলায় লেগে যায় না, এমন বাসন ব্যবহার করেন। কিন্তু এই ধরনের বাসনে অনেক সময় টেফলন নামক একটি উপাদানের আস্তরণ দেওয়া থাকে। কিন্তু এই উপাদানটির আস্তরণ যদি উঠে আসে তবে তা থেকে খাবারে বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই এই ধরনের বাসন পরিষ্কার করার সময় সতর্ক থাকেতে হবে যাতে বাসনে কোনও ধরনের আঁচড় না লাগে।

 

সব্জি কাটার সময়

● বটি, চপার বা ছুরি দিয়ে সব্জি বা মাছ-মাংস কাটাকাটি করার সময়ে জীবাণু লেগে যেতে পারে। তাই এগুলিকে নিয়মিত জীবানুমুক্ত রাখাই উচিত। মাছ-মাংস কাটার সময় প্রাণীদেহ থেকে ছড়িয়ে পড়া রোগজীবাণু লেগে যেতে পারে বটিতে। শাকেও অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের জীবাণু লেগে থাকে। তাই এই ধরনের সব্জি কাটার পরেও ভালো করে বঁটি পরিষ্কার করে নেবেন ।
 

ইলেকট্রনিক যন্ত্রের সাফাই

● আধুনিক রান্নাঘরে শোভা বাড়ায় মাইক্রোওয়েভ, ব্লেন্ডার কিংবা চিমনি ইত্যাদি সব সামগ্রী। কিন্তু এই সামগ্রীগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করাওখুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে কেরোসিন তেল দিয়ে চিমনি পরিষ্কার করেন। তবে বৈদ্যুতিন যন্ত্র পরিষ্কার করতে বিশেষজ্ঞদের ডাকাই শ্রেয়।