রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

করোনা চলে গেলেও এখনও বাড়ি থেকে কাজ করছেন অনেকেই। ব্যক্তিগত কাজ এবং অফিসের কাজ সব প্রায় মিলেমিশে যাচ্ছে। অনেকেরই অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে কাজের চাপ আরও অনেক বেড়ে গিয়েছে তাঁদের। অনেক বেশি সময় দিতে হচ্ছে অফিসের কাজের পিছনে। সব মিলিয়ে সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ছে। কিন্তু কয়েকটি জিনিস আপনি যদি গুছিয়ে উঠতে পারেন, তা হলে কাজের চাপ অনেকটা হালকা হয়ে যায়। উপায়গুলি জেনে নিতে পারেন।
 

সঠিক পরিকল্পনা করুন

কখন কী করবেন, কখন মিটিং রয়েছে, কখন কাকে ফোন করতে হবে, কোন দিনে বিশেষ কাজ রয়েছে, সেগুলো একটা জায়গায় লিখে রাখলে আপনি অনেকটা চিন্তামুক্ত হবেন। গুগল ক্যালেন্ডারের মতো কোনও প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় মনে করিয়ে দেবে কোন কাজটা বাকি। কবে কোন গুগল মিটিং রয়েছে, তা আপনার ইমেল থেকে সরাসরি চলে যাবে ক্যালেন্ডারে। আপনাকে আলাদা করে কিছু করতে হবে না।

আরও পড়ুন:

ঝগড়ার পরে কী ভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে? এই সব উপায় মাথায় রাখতে পারেন

২০২০-র এপ্রিলের পর এই প্রথমবার, দেশে করোনা সংক্রমণে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য! দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও সর্বনিম্ন

 

কাজের শেষে মিলিয়ে দেখুন

শুধু ক্যালেন্ডারে কী কী কাজ রয়েছে, সেটা লিখলেই হবে না। আপনাকে সে ভাবে কাজগুলো শেষও করতে হবে। মাঝে মাঝে ক্যালেন্ডার খুলে দেখুন কোন কাজগুলো বাকি। প্রত্যেক দিন কাজ শেষ করার আগে কিছুটা সময় বরাদ্দ করে রাখুন দিনের কোন কাজগুলো বাকি থেকে গেল, সেটা দেখার জন্য। যেগুলো করা হয়নি, পরের দিনের ক্যালেন্ডারে তা লিখে ফেলুন।

আরও পড়ুন:

সুস্বাস্থ্যের জন্য সন্তানকে রোজ কলা খাওয়ানো উচিত? জানুন বিশেষজ্ঞদের মত

২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা সাত বছর পর জানবেন পরীক্ষার নম্বর, ২০১৭-র ফলও সোমবার

 

গুরুত্ব অনুযায়ী কাজ সাজিয়ে নিন

একসঙ্গে অনেক কাজ করলে, আপনার ইমেলের ইনবক্স দ্রুত ভরে যায়। দরকারের সময় কাজের ইমেল খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। আপনার ইমেল এ একটা ‘কালার কোডিং’ এর ব্যবস্থা রয়েছে। মানে একেকটা কাজ আপনি আলাদা করার জন্য একটা রং দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারবেন। ধরা যাক বসের সব মেল আপনি সবুজ রং দিয়ে চিহ্নিত করলেন। ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার ইমেলগুলো লাল, সহকর্মীদের ইমেল হলুদ দিয়ে চিহ্নিত করে রাখলেন— এই রকম। ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের প্রত্যেকটা জরুরি ডকুমেন্ট আলাদা ফোল্ডার করে সাজিয়ে রাখুন। সব একসঙ্গে হোম স্ক্রিনে রাখবেন না।

আরও পড়ুন:

দশভুজাঃ অনন্যা— ‘অন্ধকারের উৎস হতে’

হোমিওপ্যাথি: আঁচিল নিয়ে অস্বস্তি? চিন্তা নেই, হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে সহজ সমাধান

 

যতটা সম্ভব কাজ ভাগ করে নিন

সব কিছু একা একসঙ্গে করতে যাবেন না। প্রত্যেকটা কাজ ভেঙ্গে ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করুন। সেই মতো কাজ এগনোর চেষ্টা করুন। যদি একা সব না পারেন তা হলে বাকি সহকর্মীদের আপনার সমস্যার কথা বলুন। দেখুন আপনার টিমের কেউ আপনাকে সাহায্য করতে পারছেন কি না। কারণ একা কোন কাজ করার থেকে টিম ওয়ার্ক সবসময় ভালো।


Skip to content