শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

এখনকার ফাস্ট লাইফে নারী কিংবা পুরুষ বেশিরভাগ মানুষই চুল পড়ার সমস্যায় জর্জরিত। অনেক সময়ই জিনগত কারণে মানুষের খুব অল্প বয়সেই চুল উঠে গিয়ে থাকে। আবার বিভিন্ন মানসিক চাপ বা শারীরিক সমস্যাও এর জন্য দায়ী হয়ে থাকে। কখনও কখনও বাতাসের অত্যধিক আর্দ্রতা বা পরিবেশ দূষণ এর জন্য দায়ী হয়। ডাক্তারবাবুদের পরিভাষায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক গড়ে ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু করোনার পরবর্তী সময়ে এই চুল পড়ার প্রবণতা আরও বেশি করে হয়েছে। বিশেষ করে করোনাক্রান্ত হওয়ার কয়েক মাস পর্যন্ত অনেকেই ভীষণভাবে এই চুল ঝরার সমস্যায় ভুগছেন। ফলে ক্রমেই তাদের মাথার চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে। তবে তিনটি ধাপ অনুসরণ করলে সহজেই চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। কারণ, সমস্যার মূল কারণ জানা থাকলে চুল পড়ার হার অনেকটা কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
যখনই কোনও সমস্যা এসে উপস্থিত হয়, তখনই তার সমাধানের পথ খোঁজা উচিত। চুল পড়ার ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা দরকার। তাই প্রথমেই আমাদের জানতে হবে চুল পড়ে যাচ্ছে কী কী কারণে? হয়তো জিনগত কারণে বা শারীরিক কোনো অসুস্থতার কারণে কিংবা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়ে যেতে পারে। তাছাড়াও এই করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপও চুলপড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে বয়সন্ধি, গর্ভাবস্থা অথবা ঋতুকালীন সময়ে চুল পড়তে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জন্য চুল উঠে যেতে পারে। সর্বোপরি, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পুষ্টির অভাবে চুল ঝরে যেতে পারে অকালেই।
ঠিক কী কারণে চুল পড়ছে তা যদি জানা যায়, তবে সমস্যার সমাধান অনেকটাই হয়ে যায়। কেন না সমস্যা চিহ্নিত হয়ে গেলেই তার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে আমরা চিকিৎসকের কাছে যেতে পারি। এছাড়াও বাড়িতে যে কোনও ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেও আমরা চুল পড়ার হার অনেকটাই আটকাতে পারি।

Skip to content