অন্তর্বাসের সঠিক মাপের উপরেই নির্ভর করে অনেক কিছু। স্রেফ অন্তর্বাসের মাপ ঠিকঠাক না হওয়ার ফলে আপনার সাজগোজই মাটি হয়ে যেতে পারে। আর উপরি পাওনা হিসাবে পিঠে কিংবা কাঁধে ব্যথাও হতে পারে। তাই মহিলারা অন্তর্বাস নিয়ে বেশ খুঁতখুঁতে থাকেন, অনেকে আবার সংশয়ও প্রকাশ করে থাকেন। ফলে কিনতে গিয়ে বিস্তর সময় নষ্ট হয়। এটা নেব নাকি ওটা? মাপ ঠিকমতো হবে তো? এই ভেবে সময় নষ্ট করার দিন শেষ। পরিবর্তে জেনে নিন সঠিক মাপের ব্রা কেনার উপায়।
কীভাবে সঠিক মাপের ব্রা বেছে নেবেন?
● সারাদিন ব্রা পরে থাকতে বেশিরভাগ মহিলাই পছন্দ করেন না। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, বিরক্তি সত্ত্বেও অন্তর্বাস পরেন বহু মহিলা। তাই তাঁদের ক্ষেত্রে নন প্যাডেড ব্রা ব্যবহারের উপরেই জোর দেন বিশেষজ্ঞরা। বক্ষযুগল যাতে ঝুলে না যায় তাই সারাদিন এই ধরনের অন্তর্বাস পরাই শ্রেয়।
● নন প্যাডেড ব্রা না হয় পরে থাকলেন। কিন্তু এই ধরনের সঠিক মাপের অন্তর্বাস কীভাবে কিনবেন, সেই কৌশল জানা প্রয়োজন। প্রথমে একটি নন প্যাডেড ব্রা পরুন। এবার বুকের একেবারে নিচের অংশের মাপ নিন। মাপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সামান্য ভুলেই কিন্তু সব কিছু দফারফা হয়ে যেতে পারে। তাই মাপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হোন।
● এবার একটু উপরের অংশ অর্থাৎ বুকের মাপ নিন। খেয়াল রাখবেন যেন অতিরিক্ত টাইট বা ঢিলেঢালা মাপ না নেওয়া হয়। কারণ, একটু ভুলেই অন্তর্বাসের কাপের মাপ গণ্ডগোল হতে পারে।
● তবে মনে রাখবেন, কোন ধরনের ব্রা পরছেন, তার উপরেও কিন্তু সাইজ নির্ভর করে। পুশ আপ ব্রা, ব্যালকোনেট ব্রা, মিনিমাইজার ব্রা কিংবা স্পোর্টস ব্রা — প্রত্যেকের স্টাইল আলাদা রকমের। তাই সেক্ষেত্রে মাপও অন্য রকমেরই হবে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, আপনি যদি সি-কাপের সাধারণ ব্রা পরেন। প্যাডেড ব্রা পরলে আপনার কাপের সাইজ নিতে হতে বি, নইলে অন্তর্বাস পরতে সমস্যা হওয়ার কথা।
● আন্ডারবাস্ট এরিয়া (ফ্যাশনের পরিভাষা) অর্থাৎ বুকের নিচের অংশের মাপ নিন। তারপর ওভারবাস্ট (ফ্যাশনের পরিভাষা) অর্থাৎ বুকের উপর দিয়ে মাপ নিন। আপনার আন্ডারবাস্টের যে সাইজ আপনি পেয়েছেন, তা আপনার আপনার স্ট্র্যাপ সাইজ। অর্থাৎ, আপনার ৩২, ৩৪ কিংবা কোন সাইজের ব্রা লাগবে তা বুঝবেন এভাবে। ওভারবাস্টের মাপ কাপ সাইজ। অর্থাৎ কাপ সাইজ হল বি, ডি বা ই। ঠিক যে রকম মাপ সেরকমই পারফেক্ট হবে। যেমন, আন্ডারবাস্ট যদি ৩২ হয়, তাহলে ৩২ সাইজের ব্রায়ের ঠিক কাপ বাছতে হবে।