
ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
মুখে অতিরিক্ত রোম, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, মাত্রারিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া— এ সব চেনা উপসর্গ। বহু মহিলারাই এই অসুখে আক্রান্ত। এই অসুখের নাম পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম। তবে বেশি পরিচিত পিসিওএস নামে। কেউ পিসিওএস অসুখে আক্রান্ত হলে তাঁর শরীরে হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করতে থাকে। সমস্যা বাড়াবাড়ি পর্যায় পৌঁছলে তা ধীরে ধীরে বন্ধ্যাত্বের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। তাই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন! পিসিওএস-কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সব থেকে বড় উপায় হল, স্বাস্থ্যকর নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা। তরুণী থেকে মহিলা—জীবনযাপনে অনিয়মের জন্যই অনেকেই পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
চিকিৎসকদের কথায়, যখন শরীরে নানা ধরনের হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করতে থাকে, তার ব্যাপক প্রভাব সবথেকে আগে এসে পড়ে আমাদের মুখে। পাশাপাশি অ্যান্ড্রোজেন বা পুরুষ হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলেও মুখে হরমোনজনিত ব্রণর সমস্যা বাড়তে পারে। এ সময় আমাদের মুখে সেবাম নিঃসরণের হারও অনেকটা বেড়ে যেতে থাকে। সে কারণেই যাঁদের এই সমস্যা হয়, তাঁদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। সেই তেল ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলিতে জমতে থাকে, যা হোয়াইট হেডস বা ব্ল্যাক হেডস-এর সমস্যা অনেকটা বাড়িয়ে তোলে। যদিও, বয়ঃসন্ধির ব্রণ আর এই ব্রণ কিন্তু এককথা নয়। সাধারণত ভাবে আমাদের থুতনি, চোয়াল, গলার উপর, পিঠে বা ঘাড়ে ব্রণ হল পিসিওএস-এর লক্ষণ। পাশাপাশি মুখের কোনও কোনও অংশ খুব বেশি শুষ্ক হয়ে পড়া বা ত্বকে জেল্লার অভাবও সমস্যাও পিসিওএস-এর উপসর্গ হতে পারে।
আরও পড়ুন:

রাতের ঘুম কেড়েছে মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস? এই সব উপায় মেনে চললে মিটবে অনিদ্রার সমস্যা

রোজ ২ লিটার জল খেতেই হবে! পর্যাপ্ত জলপান না করলে কী কী অসুবিধে হতে পারে?
কী কী লক্ষণ দেখলে সাবধান হবেন?