বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

এখনকার মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে ঘরে-বাইরে বাড়তে থাকা কাজের চাপ সামলাতে গিয়ে উদ্বেগজনিত সমস্যায় পড়তে হয় না এমন মানুষ পড়ায় নেই বললেই চলে। সরকারি-বেসরকারি যে যেমন সংস্থাতেই কাজ করুন না কেন, মানসিক টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় কম-বেশি সকলকেই। যার প্রভাব খুব বেশি করে পড়ে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। শারীরিক অন্যান্য জটিলতার মতো মানসিক সমস্যা চোখে দেখা যায় না বলে তা নিয়ে খুব একটা গুরুত্ব দেন না অনেকে। কিন্তু এই চাপ বাড়তে বাড়তে তার প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত জীবনের ওপরও। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে অনিদ্রাজনিত সমস্যা। দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা এই সমস্যাগুলির সঙ্গে মোকাবিলা করতে ওষুধের ওপর ভরসা না করে ভরসা রাখুন দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক কিছু অভ্যাসের উপর।
 

মানসিক চাপ সামলাতে কী কী করবেন?

 

শরীরচর্চা

নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীরে ‘এন্ডরফিন’ হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়, যা মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। মানসিক চাপও কমে। এ ছাড়া, প্রতি দিন শরীরচর্চা করলে হারানো আত্মবিশ্বাসও ফিরে পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:

চিনেই প্রথম নয়, গত দু’বছরে ৯১টি দেশে করোনার এই নয়া উপরূপ ছড়িয়েছে! দাবি বিজ্ঞানীদের

উদ্বেগের জন্য চুল পড়ছে, না কি চুল পড়ায় বাড়ছে উদ্বেগ? সমীক্ষা কী বলছে?

 

পর্যাপ্ত ঘুম

প্রতি দিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমোলে মানসিক চাপ অনেকটা কমে যায়। সারা দিনের কাজের পর শরীর এবং মনকে নতুন করে কর্মোপযোগী করে তুলতে ঘুমের প্রয়োজন খুবই।
 

শরীরকে আর্দ্র রাখা

সারা দিনে অন্তত ৮ গ্লাস জল খাওয়ার অভ্যাস করুন। জল কম খাওয়ার সঙ্গে অন্যান্য রোগের সরাসরি যোগ আছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়ার অনেক কারণের মতো এটিও একটি বড় কারণ।

আরও পড়ুন:

শীতকালে শ্বাসকষ্ট বাড়ে? হার্ট ও কিডনির যত্ন নেবেন কীভাবে? চনমনে থাকতে জেনে নিন ডাক্তারবাবুর জরুরি পরামর্শ

বেড়ানোর সেরা ঠিকানা সমুদ্র সৈকত? সঙ্গে এরকম মানানসই স্টাইলিশ ব্যাগ নিচ্ছেন তো?

 

স্বাস্থ্যকর খাবার

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাবারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাই প্রতি দিনের খাবারে টাটকা শাক-সব্জি, ফল, দানাশস্য রাখার চেষ্টা করুন। ক্যাফিনজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত চিনি আছে এমন খাবার খাদ্যতালিকায় না খাওয়াই ভালো।
 

নিজের যত্ন

সারাক্ষণ কাজ এবং পরিবারের সকলের খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজের দিকে তাকানোর সময় পাচ্ছেন না? এই অভ্যাসের ফলে আদতে নিজেরই ক্ষতি হচ্ছে। সকলের সব চাহিদা মেটানোর পরেও যদি একটু সময় বার করে নিজের পরিচর্যা করতে পারেন, মানসিক চাপ অনেকটাই কমবে।


Skip to content