বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর, ২০২৪


ব্রহ্মাস্ত্রর থেকেও বেশি শক্তিশালী বলে ধরা হয় শব্দকে। মনে করা হয় অসীম তার ক্ষমতা। তাই বুঝেশুনেই ব্যবহার করতে হয়। এই শব্দের ব্যবহারেই রোগ নিরাময় করা সম্ভব কীভাবে? বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, মনে শব্দের প্রভাব ব্যপক ভাবে পড়ে। মনকে শান্ত এবং অশান্ত করার ক্ষমতা এর রয়েছে। মনের প্রভাব শরীরেও ভীষণভাবে পড়ে। ফলে শব্দের মাধ্যমে শরীরের নানা সমস্যা ঠিক করা সম্ভব বলেই মঞে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এর কয়েকটি উপায়ও তাঁরা জানিয়েছেন।
 

ভ্রমরী প্রাণায়াম

মনকে একাগ্র করে ধ্যানের পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে ভ্রমরী। শব্দের কম্পন মন ও স্নায়ুকে শান্ত করে। এর জন্য প্রথমে সোজা হয়ে বসতে হবে। চোখ বন্ধ করে তাতে আলতো করে হাতের আঙুল রাখবেন। নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়ার সময় ভ্রমর অর্থাৎ মৌমাছির মতো শব্দ করতে হবে। এতে মন শান্ত ভালো থাকার পাশাপাশি শরীরকেও তরতাজা করেও তোলা যায়।

আরও পড়ুন:

হাতে সময় কম? ধ্যান করতে চান বাড়িতেই? মনের মতো পরিবেশ তৈরি করুন এ ভাবে

ঠিক কী কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা?

 

টোনিং সাউন্ডস

শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের রোগ নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন রকমের শব্দ রয়েছে। যেমন কানের জন্য ‘Nnn’ উচ্চারণ কর যেতে পারে। চোখের জন্য ‘Eemm’ শব্দ খুব কাজের। সাইনাসের সমস্যায় ‘Mmm’ শব্দ উচ্চারণ করতে পারেন। নাকের জন্য ‘Llmm’ শব্দটি উচ্চারণ খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। আর ফুসফুসের জন্য ‘Ssss’ শব্দের উচ্চারণ বেশ ভালো।

আরও পড়ুন:

গৃহিণীদের মধ্যে বইয়ের নেশা বাড়াতে কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাধা, ‘চলমান পাঠাগার’ তাঁর পরিচয়!

কলকাতায় ফেব্রুয়ারিতে শো করবেন অরিজিৎ সিংহ, টিকিটের দাম কত হাজার টাকা থেকে শুরু?

 

মন্ত্রোচ্চারণ

মন্ত্রের আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। এর নির্দিষ্ট ছন্দ ও শব্দ রয়েছে, যার প্রভাব সরাসরি শরীরে পড়ে এবং শান্তির অনুভূতি দেয়। অনেকেই ‘ওঁ’ শব্দের উচ্চারণের মাধ্যমে ধ্যান করেন। তবে যে যাঁর বিশ্বাস অনুযায়ী এবং পছন্দ মতো শব্দ বেছে নিতে পারেন। এতে শরীরের যাবতীয় নেগেটিভ এনার্জি দূর হয়। তাতে নতুন করে শক্তির সঞ্চার হয়।
এছাড়াও, বেল বা ধাতুর পাত্রের শব্দও অনেক সময় মনকে আরাম দেয়। এই পদ্ধতি একাধিক স্পা বা ম্যাসাজের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়। এতে মন শান্ত হয়, আর শরীরও তরতাজা হয়।


Skip to content