সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

রোজদিন ধারাবাহিক ভাবে অনিয়মের জেরে আমাদের শরীরে নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ বাসা বাঁধতে শুরু করছে। আর সে-কারণেই সুস্থ থাকতে অবশ্যই কিছু নিয়মে চলা জরুরি। ব্যস্ত জীবনে সেই সব নিয়ম মানা সম্ভব না হলেও অন্তত সাধারণ কিছু অভ্যাসে অভ্যস্ত হতে না পারলে মুশকিলে পড়তে হতে পারে।
 

রোজের কোন অভ্যাসগুলি বড়সড় অসুখ ডেকে আনতে পারে?

 

ঘুমের ঘাটতি

সুস্থ থাকার আরেকটি ধাপ হল পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমোনো। এখনকার নিত্যদিনের দৌড়ঝাঁপের জীবনে আমাদের ঘুম খুবই কম হয়। তবে কাজের চাপের পাশাপাশি মানসিক অস্থিরতাও ঘুম কম হওয়ার একটি বড় কারণ। আসলে একটানা দীর্ঘ দিন ধরে ঘুমের অভাব অনেক অসুস্থতার ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এখানেই শেষ নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে রক্তচাপের মাত্রা ঠিক থাকবে, যদি ঘুম ঠিকঠাক হয়।

 

বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস

এখন প্রায় সবারই বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক বেড়েছে। প্রায়শই এ ধরনের বাইরে খাবার খাওয়ার জেরে আমাদের শরীরে ফ্যাট জমছে। এর ফলে ওজনও বাড়ছে। আর আমাদের অজান্তে স্থূলতার হাত ধরে শরীরে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিসের মতো নানা রোগ জন্ম নিচ্ছে।
 

কম পরিমাণ জল খাওয়া

মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপে অনেকেই জল খেতে ভুলে যান। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে হলে কিছু ক্ষণ অন্তর জল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এতে দেহে জলের অভাব হয় না। সুস্থ শরীরের জন্য জল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। শরীরে জলের ঘাটতির জন্য অনেক কঠিন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই সর্বদা সুস্থ থাকতে বেশি করে জলপান করুন।

আরও পড়ুন:

নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন ৩৮ শতাংশ ভারতীয়, বলছে এমস, এই রোগের লক্ষণ কী?

ষাট পেরিয়ে, পর্ব-২২: অ্যালঝাইমার্সের যত্ন বেশ চ্যালেঞ্জের, সঠিক পরিচর্যায় ধৈর্যশীল, সহনশীল, সংবেদনশীল এবং কৌশলী হতে হবে

 

শরীরচর্চা না করা

নিয়ম মেনে নিয়মিত ব্যায়াম ও যোগাসনের কোনও বিকল্প হয় না। এর অনেক উপকারিতা। দিনে কমপক্ষে ১০ মিনিট শরীরচর্চা করতেই হবে। এর ফলও পাওয়া যাবে হাতেনাতে। কিন্তু বহু মানুষ আছেন, যাঁদের সঙ্গে শরীরচর্চার কোনও সম্পর্ক নেই। জিম যাওয়া তো অনেক দূরের বিষয়, হাঁটাচলাও করেন না এমন মানুষের সংখ্যা প্রচুর। আর এটা তো সবারই জানা, নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে দেহে নানা ধরনের অসুখ বাসা বাঁধে।

আরও পড়ুন:

ইতিহাস কথা কও, কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৪: রাজ পরিবারের সঙ্গে বিবাহ সম্পর্ক ও ব্রাহ্মবাদ

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩১: বিড়াল ঘাঁটলেই কি ডিপথেরিয়া হতে পারে?

 

বেশি রাত করে খাবার খাওয়া

তাড়াতাড়ি খেয়ে নিতে পারলে এর চেয়ে আর ভালো কিছু হয় না। তবে সবার পক্ষে সব সময় এই নিয়ম মেনে চলা মোটেই সম্ভব হয় না। চিকিৎসকেরা প্রায়শই বলেন, সুস্থ থাকতে হলে রাত আটটার মধ্যে খেয়ে নেওয়া ভালো। এতে খাবার ভালো মতো হজমও হয়। আবার গ্যাস-অম্বলের ভয়ও থাকে না। রাত করে খাওয়ার অভ্যাসে শরীর ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে।


Skip to content