অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষাকালে ত্বকের সমস্যা একটু বেশি দেখা দেয়। কখনও বৃষ্টিতে ভিজে, কখনও বা ঘামে ভেজা জামা পরার জন্য ত্বকে র্যাশ বেরোয়। শুধু তো ত্বকের সমস্যা নয়, এরকম আবহাওয়ায় আমাদের শরীরও অনেক সময় খারাপ হয়। তবে বৃষ্টির জল মুখে লাগার ফলে র্যাশ বেরোলে বেশ অস্বস্তিই হয়। র্যাশ বেরনোর ফলে কারও কারও গোটা মুখই লাল হয়ে যায়, কারও আবার জ্বালা করে। অনেক সময় মুখে চুলকানিও হয়।
চিকিৎসকদের কথায়, একটা সময় ছিল যখন মানুষ আনন্দে বৃষ্টিতে ভিজতেন। যদিও আজকাল বৃষ্টিতে ভিজতে অনেকে ভয় পান। কারণ বৃষ্টির জলে প্রচুর ধূলোকণার পাশাপাশি বহু রকম দূষিত পদার্থ মিশে থাকে। ফলে সেই জল গা-মাথায় পড়লেই ত্বকের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ঠান্ডা তো লাগছেই, সেই সঙ্গে মুখে র্যাশও বেরোচ্ছে। এর ফলে বৃষ্টির দিনে এই সমস্যায় অনেকে চিন্তায় পড়েন। যদিও এই সমস্যা থেকে মুক্তির কিছু ঘরোয়া টোটকাও রয়েছে।
৩ ঘরোয়া টোটকা
নিম
● ত্বকের যত্ন নিম খুবই উপকারী। নিমে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে। এই দুই উপাদান যে কোনও ধরনের সংক্রমণ রুখে দিতে সক্ষম। তাই বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার পরে র্যাশ বেরোলে নিমপাতা ফোটানো জলে মুখ ধুতে উপকার পাওয়া যাবে। কেউ কেউ আবার নিম তেলও ব্যবহার করেন। যেখানে যেখানে র্যাশ বেরিয়েছে তার উপরও সরাসরি নিম তেল মাখতে পারেন।
আদা
● আদা সবার বাড়িতে থাকে। আদাতে থাকা ‘জিনজেরল’ নামক একটি যৌগ থাকে। ‘জিনজেরল’ ত্বকের সংক্রমণ রোধ করে। এছাড়াও আদাতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগ। একটুখানি জলে আদার কুচি দিয়ে ফুটিয়ে তা ঠান্ডা করে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে লাগানো যেতে পারে।
অ্যালো ভেরা
● ত্বকের সমস্যায় জাদুর মতো কাজ করে অ্যালো ভেরা। ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ প্রতিরোধে অ্যালো ভেরা জেল অব্যর্থ। অ্যালো ভেরা গাছের পাতা থেকে শাঁস বার করে জেল বানিয়ে নিতে পারেন। তবে এটি বানানো সম্ভব না হলে দোকান থেকেও কিনে নিতে পারেন। যে কোনও ধরনের ত্বকে অ্যালো ভেরা জেল নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়।