বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

শরীরে নতুন প্রাণের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রেই পরিবারে এবং নিজের মধ্যে এক আনন্দ অনুভুতির অনুভব হয়। সব সন্তানসম্ভবা মায়েরই জীবনে এই মুহূর্ত এসে থাকে। কিন্তু এর পাশাপাশি মায়ের শরীরে বাড়তি যত্নের দরকার হয়। কারণ অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মায়ের শরীরের উপর অনেকাংশেই নির্ভর করবে গর্ভস্থ সন্তানের ভালো-মন্দ। তাই মাকে ভিতর এবং বাইরে থেকে ভালো থাকতে হবেই। এই সময় মন তো ভালো রাখতেই হবে, সেই সঙ্গে শরীরের বিষয়েও তাঁকে সদা সতর্ক থাকতে হবে। এই সময় শারীরিক যে কোনও সমস্যা দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া ওত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সন্তানসম্ভবা হওয়ার আগে যে অনিয়মগুলি করতেন, এই সময় সেই সব অনিয়ম শরীরের সঙ্গে করা যাবে না। পর্যাপ্ত ঘুমের পাশাপাশি নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়াও করতে হবে তাঁকে ভাবী সন্তানের জন্য। হবু সন্তান যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়, তার দায়িত্ব কিন্তু মায়ের। সে জন্য অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খাওয়াদাওয়ায় গুরুত্ব দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
 

হবু মায়েরা রোজের পাতে কোন খাবারগুলি রাখবেন?

 

মাছ

শরীরের যত্ন নিতে পারে যে খাবারগুলি, মাছ তার মধ্যে অন্যতম। চিকিৎসকরা অন্তঃসত্ত্বাদের রোজ খাবারের পাতে মাছ রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে যে মাছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। সামুদ্রিক মাছই সাধারণত ফ্যাটি অ্যাসিডস সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। এই মাছ হবু সন্তানের মস্তিষ্ক গঠনে এবং বুদ্ধির প্রখরতা বাড়াতেও দারুণ উপকারী।
 

মটরশুঁটি

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মটরশুঁটি অত্যন্ত উপকারী। এর মতো উপকারী সব্জি খুব কমই রয়েছে। ফলিক অ্যাসিডে পরিপূর্ণ মটরশুঁটি। এই অ্যাসিড হবু সন্তানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব তাড়াতাড়ি বাড়িয়ে তোলে। মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষ সচল রাখতে সাহায্য করে। এমনকি, স্তন্যদুগ্ধের উৎপাদনও বাড়াতে সাহায্য করে মটরশুঁটি।

আরও পড়ুন:

ছোটদের যত্নে: বাচ্চা খেতেই চায় না? কী করে খিদে বাড়াবেন? কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? জানুন শিশু বিশেষজ্ঞের মতামত

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-৩: সবুজের নেশায় অভয়ারণ্য

 

ডাল

শরীরে পুষ্টি জোগাতে ডালের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। ডালের মতো পুষ্টিকর খাবার খুব কম রয়েছে। মুসুর ডাল, অড়হড় ডাল, রাজমার মতো ডালগুলি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেশি করে খেতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি-সমৃদ্ধ হয়ে থাকে ডাল। গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক মাসে তাই ডাল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
 

দই

অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় শরীরে ক্যালশিয়াম অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। বিশেষ করে গর্ভস্থ শিশুর বেড়ে ওঠায় ক্যালশিয়াম খুবই জরুরি। দইতে ক্যালশিয়াম ভরপুর মাত্রায় রয়েছে। হবু সন্তানের হাড়ের যত্ন নিতে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দই খান বেশি করে। এছাড়া, মায়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও রোজ দই রাখুন রোজকার ডায়েটে।

আরও পড়ুন:

বাস্তুবিজ্ঞান, পর্ব-২: বাস্তুমতে বাসস্থানের গুরুত্ব

মুরগির মাংস না কি মাছ, ওজন কমাতে কার উপর ভরসা রাখবেন?

 

আখরোট

ফাইবার, ভিটামিন ই-এর সমৃদ্ধ আখরোট। এই বাদাম শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্রুত বাড়িয়ে তোলে। এমনকি, যে কোনও রোগের সঙ্গে লড়তেও সাহায্য করে। শীতকাল মানেই সর্দিকাশি লেগেই রয়েছে। শীতকালীন সংক্রমণ কমাতে অন্তঃসত্ত্বারা রোজকার ডায়েতে রাখুন আখরোট। আখরোটে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে প্রচুর পরিমাণে । শীতকালে অন্তঃসত্ত্বা হলে অবশ্যই আখরোট খান।


Skip to content