সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

ওজন কমাতে এখন অনেক স্বাস্থ্য সচেতনরাই নিয়মিত ওটস খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে সকালের টিফিনে ওটস খেলে সারাদিন খিদে কম পায়। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন-বি-সহ একগুচ্ছ পুষ্টি উপাদান। ওটসে থাকা ভিটামিন-বি শরীরে কার্বোহাইড্রেট হজমে সাহায্য করে। ওটসে ফ্যাটও প্রায় নেই বললেই চলে। প্রতিদিন যদি তিন গ্রাম ওটস খাওয়া যায়, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। এত গেলে ওজন কমানোয় ওটসের ভূমিকা।
 

কিন্তু ত্বকের পরিচর্যায় ওটস কতটা কার্যকরী তা জানেন কী?

সাধারণত ত্বকে তেল ও ময়লা জমলে ব্রণ হয়। ওটসের মধ্যে আছে প্রাকৃতিক ক্লিনজার। স্যাপোনিনস নামের সেই রাসায়নিকের গুণে ত্বকের ময়লা দূর হয় সামান্য ওটস মাখলেই। ফলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। ব্রণর মতোই ব্ল্যাকহেডসের সমস্যাও বাড়ে তেল, ময়লা জমে রোমকূপ বন্ধ হতে শুরু করলে। ওটস ত্বকের উপর জমে থাকা মৃত কোষ সরাতে সক্ষম। এতে উপস্থিত স্যাপোনিন মুখ পরিষ্কার করে। তাতেই কমে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা।

আরও পড়ুন:

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ডার্ক চকোলেট, কী ভাবে?

চকোলেট দিয়ে রূপচর্চা? পুজোর আগে ঝকঝকে ত্বক পেতে করে দেখতে পারেন

 

কী ভাবে ব্যবহার করবেন?

একটি পাত্রে দু’ চামচ ওটস নিয়ে তার মধ্যে দু’ ফোঁটা লেবুর রস দিন। এক চামচ মধু ও অল্প পরিমাণ বেসন দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর ওটসের এই ফেসপ্যাকটি আধঘণ্টা মতো রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন।

দু’ চামচ ওটস, তিন চামচ টকদই, এক চামচ পাতিলেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মুখে বিশেষত ব্ল্যাকহেডসের চারপাশে খুব ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রাখার পর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ওটসের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর মুখে মেখে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। রোদে পোড়া ত্বকে জেল্লা ফেরাতে দারুণ কাজ করে এই স্ক্রাবার।

একটি পাত্রে কয়েক চামচ ওটস নিন। তার মধ্যে জল ঢালুন। এ বার এটি ভালো করে ফোটাতে থাকুন। ওটস সেদ্ধ হয়ে এলে কয়েক কুচি টম্যোটো দিয়ে ফোটান। একটি থকথকে মিশ্রণ তৈরি হলে তা মুখে মাখুন। মিনিট কুড়ি রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।


Skip to content