মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


এই সময়ের ওপর দাঁড়িয়ে মানুষ অনেক বেশি ব্যস্ত। দ্রুততম জীবনে তাই বেড়েছে বাইরের খাবারের ওপর নির্ভরশীলতা৷ আর অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস, তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া, দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা এবং জল কম খাওয়ার মতো অনিয়মগুলি দৈনন্দিন জীবনচর্যার অঙ্গ৷ এর ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গ্যাস-অ্যাসিডিটির সমস্যা। তবে জানেন কি, একগাদা হজমের ওষুধ ছাড়া, খুব সহজেই আপনি আপনার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন? গ্যাস, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়ার চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে যোগাসনের মধ্যে। কোন কোন যোগাসনে মিলবে সুফল? জেনে নিন সহজ উপায়।

কটিচক্রাসন
পদ্ধতি: প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাত দুটিকে দুপাশে টানটান করে ছড়িয়ে দিন এবং দুই পায়ের মধ্যে অন্তত দু’মিটারের মতো ব্যবধান রেখে দাঁড়ান। এবার হাত দুটোসহ কোমরের ওপর দিকের অংশটিকে যতটা পারছেন টুইস্টের মাধ্যমে ডান দিকে ঘোরান। এই সময়ে আমাদের ডান হাত থাকবে ডান দিকের কোমরের পিছন দিকে আর বাম হাত থাকবে ডান দিকের কাঁধে। এইভাবে অপরদিকেও করতে হবে বেশ কয়েকবার।

ত্রিকোণাসন
পদ্ধতি: দুটি পায়ের মধ্যে বেশ খানিকটা ব্যবধান রেখে দাঁড়াতে হবে এবং হাতদুটিকে দুপাশে রেখে দিতে হবে। আমাদের পায়ের একটি পাতা থাকবে ৯০ ডিগ্রিতে এবং অন্যটি থাকবে ৪৫ ডিগ্রিতে। পায়ের যে পাতাটি ৯০ ডিগ্রিতে আছে সেই দিকের হাতটিকে নামিয়ে হাঁটু না ভেঙে কোমর বেন্ড পায়ের গোড়ালির অংশ ছুঁতে হবে। একইরকমভাবে অপরদিক দিকেও করতে হবে।

পবন মুক্তাসন
সোজা টানটান হয়ে শুয়ে পা দুটিকে ভাঁজ করে পেটের কাছে এনে ১০ পর্যন্ত গুনুন। এই অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ থাকার ফলে পেটে চাপের সৃষ্টি হবে। সম্ভব হলে হাঁটু দিয়ে নাক স্পর্শ করার চেষ্টা করুন।

উত্থান পদাসন
পদ্ধতি:টানটানভাবে সোজা হয়ে শুয়ে কোমরের নীচে দুটো হাতকে রেখে দিন এবং পা দুটিকে একটু উপর দিকে তুলে বেশ কিছুক্ষণ এমনভাবে রেখে দিন যাতে আপনার পাদুটি শরীরের সঙ্গে ৩০ ডিগ্রি কোনাকুনি অবস্থানে থাকে।

নৌকাসন
পদ্ধতি:শুয়ে অথবা বসে শরীরের উপর দিক আর পায়ের দিক এমনভাবে তুলে দিতে হবে যাতে আমাদের গোটা শরীরটা অনেকটা নৌকার মতো দেখতে লাগে। এইভাবে বেশ কিছুক্ষণ থাকতে হবে।
তাহলে আর দেরি কেন? নিজের ব্যস্ততম দিন থেকে সামান্য সময় খরচা করুন যোগাসনের পেছনে, আর গ্যাস-অ্যাসিডিটি থেকে সহজেই মুক্তি পেয়ে যান৷

যোগাযোগ : ৮০১৭৬৩২১৬১

Skip to content