বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

পাতে ঝাল ঝোল মাছ মাংস যাই-ই থাক না কেন, সঙ্গে একটু ডাল না হলে চলে না। একই কথা প্রযোজ্য বাড়িতে যে দিন নিরামিষ খাবারের বন্দোবস্ত থাকে সে দিনও। যতই পনির, ধোকা বা এটা ওটা থাকুক, সঙ্গে অন্তত একটুখানি ডাল থাকতেই হবে।

ডালের প্রতি বাঙালির ভালোবাসা অকৃত্রিম। ডাল খেলে শুধু রসনাতৃপ্তি হয় না, শরীরেরও যত্ন নেয়। আমাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। পেশিকে মজবুত করে।
কিন্তু নিয়মিত ডাল খেলে কি ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে? পুষ্টিবিদদের বক্তব্য, আমাদের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে ডাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ছোলা, মুগ, কলাই, মুসুর, অড়হড়— যে কোনও ধরনের ডালই ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডালে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকে। অনেকে আছেন আমিষ খাবার খান না, তাঁদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে অন্যতম সেরা বিকল্প হতে পারে ডাল। এতে ২৫ শতাংশ প্রোটিন রয়েছে। ডাল যেহেতু প্রোটিনের ভালো উৎস তাই ওজন কমাতে পাতে একে রাখা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, রোগা হওয়ার ডায়েটে প্রোটিনকে রাখতেই হবে।
আরও পড়ুন:

৩০ পেরিয়েছেন? কী কী খাবার রোজদিন খেলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়বে না?

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭: সুন্দরবনের লুপ্ত রাষ্ট্র গঙ্গারিডি

ডালে প্রোটিন ছাড়াও ফাইবার ও নানা ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে। সেই সব উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলেই আমাদের ওজন বাড়তে থাকে। তাই ডাল খাওয়া ভালো। ফাইবার যেহেতু হজমক্ষমতা বাড়ায়, তাই শরীরে বাড়তি মেদ জমার কোনও ভয় থাকে না।
আরও পড়ুন:

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৬৬: ঈল মাছের এই রহস্য নিশ্চয়ই একদিন উদঘাটন হবে

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-২২: পঞ্চমের সুরে কিশোর-আশার গাওয়া ‘জীবন কে হার মোড় পে’ গানটির কথা মনে পড়ে?

এমনকি, ডালে থাকা পলিফেনল আমাদের হৃদ্‌যন্ত্রকেও ভালো রাখে। কমিয়ে দেয় হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। আবার ডায়াবিটিসের মাত্রাকেও বিপদসীমা পেরোতে বাধা দেয়। তাই ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতেও পাতে ডাল রাখা ভালো। এক কাপ ডালে থাকে ১৮ গ্রাম প্রোটিন। কার্বোহাইড্রেটেরও পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। সে কারণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট একসঙ্গে সঠিক মাত্রায় পেতে হলে ডাল খুবই উপকারী। আর রোগা থাকতে সত্যিই ডালের বিকল্প খাবার খুবই কম আছে।

Skip to content