ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।
বাড়িতে বাতিলের তালিকায় থাকা ছেঁড়া জুতো, ডিম বা সবজির খোসা, ক্রিমের কৌটো, জলের বোতল কিংবা ক্ষয়ে যাওয়া রং পেনসিল সবার জায়গা হয় ডাস্টবিনে। কিন্তু আপনি কি জানেন এই ধরনের জিনিস দিয়ে তৈরি হতে পারে নতুন জিনিস? হ্যাঁ, ফেলে দেওয়ার উপযোগী জিনিসগুলোকে পুনর্ব্যবহারের কথাই বলা হচ্ছে। এতে সংসারের ব্যয়ও কমবে, আবার ফেলে দেওয়া জিনিসপত্রের পরিমাণও কমে যাবে। সামান্য বুদ্ধি খাটালে ফেলনা সব জিনিস থেকেই হতে পারে অসাধারণ কিছু। কিন্তু কীভাবে সেটা সম্ভব? কীভাবে ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে নতুন কিছু তৈরি করা যেতে পারে, তার জন্য রইল কিছু টিপস৷
জলের বোতল কিংবা ক্রিমের কৌটো ফেলে না দিয়ে তৈরি করুন ফুলদানি
● জলের বোতল, ক্রিমের কৌটো ফেলে না দিয়ে মাপ করে কেটে নিয়ে রং করে দিন। এটি তৈরি করতে সময় একটু বেশি লাগবে। বাতিল হয়ে যাওয়া কৌটো, বোতল এসব কেটে নিয়ে রং করে দেওয়ালের গায়ে রাখা একটি টেবিলে বসিয়ে দিন। তারপর কেটে রাখা ওই রঙিন বোতল বা কৌটোয় রেখে দিন বেশকিছু ফুল। তাহলে বুঝতেই পারছেন কম ব্যয় করেই আপনার বাড়িতে সহজেই তৈরি হয়ে যেতে পারে রঙিন ফুলদানি, যা আপনার বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। আবার আপনার বাতিল জিনিসের তালিকায় যদি থাকে সাদা কাচের বোতল, তাহলে তাতে রঙিন আবির বা বালি ভরে তার সঙ্গে কিছু নুড়িপাথর দিয়ে বোতলটি রঙিন রেশমি সুতো দিয়ে মুড়ে তার উপর ল্যাম্প আর কাগজ বা কাপড়ের তৈরি সেড লাগিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে একটি সুন্দর দেখতে অভিনব ল্যাম্প সেড। যা আপনার ঘরে এক জৌলুস বাড়াতে সাহায্য করবে৷
ছেঁড়া জুতো বা গাড়ির টায়ার দিয়ে তৈরি করতে পারেন গাছের টব
● ছেঁড়া জুতো বা গাড়ির টায়ার ফেলে না দিয়ে তাতে রং করে দিন। তাহলেই দেখবেন আপনার ছেঁড়া জুতো কিংবা গাড়ির টায়ারের রূপই বদলে গেছে। তারপর ওই রঙিন ছেঁড়া জুতো বা গাড়ির টায়ারে মাটি ফেলে বসিয়ে দিন ইনডোর গাছ। সাধারণত যে ধরনের গাছ ঘরের ভিতর রাখা হয়, সেই ধরনের কিছু গাছ বসিয়ে দিন ওই রঙিন জুতোর ভিতর। খেয়াল করবেন এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে আপনার বাড়িতে জঞ্জালও কমবে, আবার বাড়িতে অক্সিজেনরও অভাব ঘটবে না।
ডিমের খোসা সার হিসাবে ব্যবহার করুন
● ডিমের খোসা বা সবজির খোসা সাধারণত ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই ডিমের খোসা বা সবজির খোসা থেকেই তৈরি হতে পারে সার। তাই এগুলো ফেলে না দিয়ে রোজকার ডিমের খোসা বা সবজির খোসা জমিয়ে সার তৈরি করুন। গাছের সার হিসাবে এগুলো খুবই কার্যকরী হয়। এই সার টবের মধ্যে দিয়ে দিলে গাছ সতেজ থাকবে আর ফলনও ভালো হবে।
পুরনো ট্রাঙ্ক রঙিন কাগজে মুড়ে সেন্টার টেবিল হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন
● সবার বাড়িতেই কমবেশি পুরনো ট্রাঙ্ক থাকে। এই ট্রাঙ্ক এখন আর কেউই ব্যবহার করে না। সাধারণত, এগুলোকে বাতিলের তালিকাতেই ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু পুরনো ট্রাঙ্কগুলোকে এভাবে ফেলে না দিয়ে সুন্দর, রঙিন কাগজ দিয়ে ট্রাঙ্ক মুড়ে দিন। তারপর ট্রাঙ্কটি ঘরের একদিকে সাজিয়ে রাখুন। তাহলে দেখবেন আপনার ঘরের শোভা আরও বৃদ্ধি পাবে। আর এই ট্রাঙ্ক জিনিস স্টোর করে রাখার পক্ষেও বেশ সুবিধাজনক। এই পুরনো ট্রাঙ্ক রঙিন কাগজে মুড়ে সেন্টার টেবিল হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন।
ভাঙা বাথটবে কুশন দিয়ে আরামদায়ক সোফা তৈরি করে নিন সহজেই
● আপনার ঘরে যদি ভাঙা বাথটব থাকে, তাহলে সেটি ফেলে দেবেন না। বরং তা দিয়ে তৈরি করুন আরামদায়ক সোফা। ভাঙা বাথটবে গদি আর কুশন দিলেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার পছন্দের আরামদায়ক সোফা। এটি আপনার ঘরের শোভা যেমন বাড়াবে তেমন এটি আপনার বসার কাজে লেগে যাবে।
মেশিনে পড়ে থাকা কফির গুঁড়ো ফেলে না ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে ব্যবহার করুন
● আপনি কি জানেন কফির গুঁড়ো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী? যদি না জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিন। কফি তৈরি করতে গিয়ে অনেক সময়ই মেশিনে কফির গুঁড়ো পড়ে থাকে। সেগুলোকে অনেকেই ফেলে দেন। কিন্তু এবার ত্বকের জেল্লা ফেরাতে মেশিনে পড়ে থাকা ওই কফির গুঁড়োই ব্যবহার করুন। কফির গুঁড়ো ফেলে না দিয়ে তাতে অল্প অলিভ অয়েল মিশিয়ে দিন। কফির গুঁড়োর এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের জেল্লা হবে নজরকাড়া।
বাতিল হওয়া রং পেনসিল দিয়ে তৈরি করতে পারেন বাহারি মোমবাতি
● বাতিল হয়ে যাওয়া রং পেনসিলগুলোকে জঞ্জাল মনে করে ফেলে দেবেন না। বরং ওই রং পেনসিল দিয়ে তৈরি করুন বাহারি মোমবাতি। মোম গলিয়ে তার সঙ্গে মেশান ক্ষয়ে যাওয়া রং পেনসিল। ব্যস তৈরি করে ফেলুন বাহারি মোমবাতি। যা সহজেই আপনার ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে।