রবিবার ৬ অক্টোবর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী।

দৈনন্দিন জীবনযাপনে আজ যা অতি প্রয়োজনীয় বলে মনে হয়, কালই তা হয়ে যেতে পারে একেবারে বাতিলের খাতায়। অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার কমতে কমতে বাতিলের তালিকায় চলে গেলেও নানা কারণে তা কার্যত ফেলা না হয়ে গিয়ে আবর্জনা হয়ে থেকে যায় বাড়ির ভিতরই। জানুন কী কী উপায়ে সহজেই অব্যবহার্য জিনিস সরিয়ে ফেলবেন বাড়ি থেকে সহজেই।
 

জামাকাপড়

জামাকাপড় এমন একটি সামগ্রী যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতেই থাকে, অযথা আলমারির সংখ্যা না বাড়িয়ে অপ্রয়োজনীয় পোশাক দান করে দিন কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায়।

 

জুতো

নতুন জুতো কেনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কমতে থাকে পুরনো জুতোর ব্যবহার। বিশেষত খেলাধুলোর জুতো সহজে খারাপ হয় না। এই জুতোগুলো বেশ দামিও হয়। এই ধরনের জুতো বাড়িতে জমিয়ে না রেখে দান করে দিতে পারেন স্থানীয় ক্লাবে। অনেকেই জুতোর অভাবে খেলাধুলো করতে পারেন না, তাঁদের কিছুটা সাহায্য হতে পারে আপনার জন্য। কয়েকটি নামজাদা সংস্থা ইদানীং পুরনো জুতো সংগ্রহ করে নিচ্ছে এবং সেগুলিকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলছে। এই ধরনের সংস্থাতেও দান করতে পারেন জুতো।

আরও পড়ুন:

স্যানিটারি ন্যাপকিন দিনে কত বার বদলানো উচিত? ঋতুস্রাবের সময়ে আর কোন কোন দিকে খেয়াল রাখবেন

আবার ওপার বাংলার ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী, কথা দিয়েছেন মহাগুরু

 

বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম

নিত্য নতুন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কেনা এখন শুধু বিলাসিতা নয়। পুরনো মোবাইল থেকে চার্জার, ঘরে ফেলে রাখা মানেই তা অব্যবহার্য হয়ে পড়ে। কিন্তু বৈদ্যুতিক জিনিস যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া চলে না। সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বিক্রয়কারী সংস্থার সঙ্গে। আজকাল অনেক সংস্থাই বাতিল সরঞ্জামকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য এই ধরনের সামগ্রী নিয়ে যান বাড়ি থেকেই।

আরও পড়ুন:

আপনি কি মা হতে চলেছেন? এই সময়ে কোন কোন শরীরচর্চা করতে পারেন?

ষাট পেরিয়ে, পর্ব-১৮: বয়স হয়েছে তাই ওজন কমে যাচ্ছে—এই ধারণা কি আদৌ ঠিক? / ৩

 

বইপত্র

বই পড়তে ভালোবাসেন যাঁরা, তাঁদের পক্ষে বই দিয়ে দেওয়ার মতো অসাধ্য কাজ দুনিয়ায় আর দ্বিতীয়টি নেই। কিন্তু অযত্নে থাকলে ধুলো পড়তে পড়তে খুব খারাপ অবস্থা হয় বইপত্রের। অযত্নে রাখার তুলনায় কোনও বিদ্যালয় বা গ্রন্থাগারে দান করে দিন বই গুলিকে। এক দিন যে লেখা আপনার ভালোবাসার উপাদান ছিল, তা হয়তো কাল অন্য কারও ভালোবাসার উপাদান হয়ে উঠবে।


Skip to content