বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

নববর্ষে জমিয়ে ভূরিভোজ তো খেতেই হবে। কিন্তু এই গরমে তেল-মশলাদার খাবার খাওয়ার নামেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন? মনে মনে ভাবছেন, এক দিন ভালোমন্দ খেলে ক্ষতিই বা কি হবে। কিন্তু যা-ই খাচ্ছেন, খাওয়ার পর গ্যাস-অম্বল হয়ে যাচ্ছে। হজমের ওষুধ যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। অথচ টুকটাক শরীরচর্চাও করেন, তেমন তেল-মশলা দেওয়া খাবার খান না। তা-ও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। তাই শরীরের কথা মাথায় রাখে বুঝে শুনেই খাওয়াই ভালো। যদি নিয়মিত বদহজমের সমস্যা লেগে থাকে, তা হলে কিন্তু রোজ ওষুধের উপর ভরসা না করে জীবনশৈলীতে বদল আনার চেস্থা করুন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, শুধু শরীরচর্চা বা সেদ্ধ খাবার খাওয়া নয়, খাওয়ার সময়, আগে বা পরে এমন কিছু অভ্যাস হজমের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যে অভ্যাসগুলিকে নিয়ে আমরা সচরাচর ভাবিও না। আসুন জেনে নিই হজমের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে এমন কোন কোন অভ্যাস?
 

কোন কোন ক্ষেত্রে সতর্ক হবেন?

 

ডায়েটে ফাইবার কম রাখা

ডায়েটে যোগ করুন পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। গ্যাস-অম্বলকে সরাতে আমাদের শরীরের প্রয়োজন হয় প্রায় ২৮ শতাংশ ফাইবার। নানা রকম ফল, কার্বোহাইড্রেট ও শাক-সব্জি থেকে তা আমরা পেয়ে থাকি। তাই প্রতি দিনের ডায়েটে রাখুন প্রয়োজনীয় ফাইবার। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য যেমন কমে যাবে, তেমনই শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তিও আপনি পেয়ে যাবেন এর মাধ্যমে। গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও নিয়ন্ত্রিত হবে
 

চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস

অনেকেরই খাবার খাওয়ার পর কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পর ক্যাফিন জাতীয় কোনও পানীয় না খাওয়াই ভালো। এতে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। যদি খেতেই হয়, তবে অন্ততপক্ষে দু’ ঘণ্টা পর খেতে পারেন। গরমে একটু ক্যাফিন জাতীয় পানীয় বেশি খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা বাড়ে। তাতেও কিন্তু হজমের সমস্যা বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন:

নববর্ষে পাতে রাখতে চান নানা স্বাদের মিষ্টি? মিষ্টির এই সব গুণাগুণ জানতেন?

ঘণ্টাখানেকের অস্ত্রোপচারেই পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়বে, আর কী কী সমস্যার সমাধান হবে?

অনেকটাই। 

খাবার চিবিয়ে না খাওয়া

খাবার ভালো করে চিবিয়ে না খেলে হজমের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। পেটের মধ্যে গিয়ে খাবার বিভিন্ন উৎসেচকের সঙ্গে মিশে টুকরো টুকরো হয়ে যায় ঠিকই। কিন্তু যদি আপনি খাবার চিবিয়ে না খান তাহলে খাবারের বড় বড় টুকরোগুলি ভাঙতে অনেক সময় লেগে যায়। সেখান থেকে বদহজমের সমস্যাও তৈরি হতে পারে। তাই খাবার সময় তাড়াহুড়ো না কড়ে ভালো করে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান। তাহলে কোনও সমস্যা হবে না।
 

পর্যাপ্ত জলপান

আজ বাংলা বছরের প্রথম দিনে পেত পুরে খাওয়াদাওয়া উপভোগ করতে চাইলে সারা দিন বেশি করে জল খান। কোনও রেস্তরাঁয় খেতে গেলে শরবত কিংবা দইয়ের ঘোল অবশ্যই রাখুন। শরীরে জলের ঘাটতি যেন না হয়, সে দিকে কিন্তু অবশ্যই নজর রাখবেন। আর খাওয়াদাওয়ার পর খুব বেশি অসুবিধা হলে ওষুধের বদলে একটি ঘরোয়া পানীয়তে চুমুক দিতে পারেন। জোয়ান ও জিরে শুকনো তাওয়ায় ভেজে নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। গরম জলে এক চা চামচ সেই মশলা আর সামান্য বিট নুন গুলে খেয়ে নিন। বদহজমের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে তড়িঘড়ি।

আরও পড়ুন:

জ্যোতির্লিঙ্গ যাত্রাপথে, পর্ব-৪: কাশীর পথে-ঘাটে

নাট্যকার গিরিশচন্দ্রের সন্ধানে, পর্ব-৩৪: ‘মুকুল মুঞ্জরা’ গিরিশচন্দ্রকে নাট্যজগতে স্বতন্ত্র করে তুলেছে

 

খেয়েই শুয়ে পড়া

খুব বেশি পেট ভরে গেলে আর বসে থাকতে পারেন না? এই অভ্যাসই আপনার হজমের সমস্যার মূলে আছে। খেয়ে উঠেই শুয়ে না পড়ে কিছু ক্ষণ বসে থাকুন বা হাঁটাহাটি করুন। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাবার হজম হয় তাড়াতাড়ি।
 

ফল খাওয়া

খালি পেটে ফল আর ভরা পেটে ফল খাওয়ার চল বহু দিনের। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাস কিন্তু পেটের গোলমাল বাধাতে পারে। যদি ফল খেতেই হয়, সকালে জলখাবার খাওয়ার পর খেয়ে নেওয়াই ভালো।


Skip to content