রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


নেলপলিশ ব্যবহার করেন না এমন মহিলাকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। যদি খুব ভুল না হই তাহলে, নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে সিঙ্গাপুর ও প্যারিসে আমাদের দেশে প্রচলিত রঙের বাইরেও আরও নানান ধরনের রঙিন নেলপলিশ দেখি। তখন আমার কাছে এটা অবাক হওয়ার মতো একটা ঘটনা ছিল। সাধারণত আমরা লাল, গোলাপি, মেরুন রঙের নেলপলিশ ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি। কিন্তু এমন হলুদ, সবুজ, নীল, কালো, সাদা, গোল্ডেন, সিলভার প্রভৃতি এখন যত রকমের নেলপলিশ দেখা যায়, ততো রকমই সেখানে দেখেছিলাম। দামটাও ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। ফ্রান্স বা সিঙ্গাপুরে ডলারে পরিবর্তন করলে ভারতীয় মুদ্রায় তা অনেকটাই বেশি। এখন ভারতে নানান রঙের নেলপলিশে যে ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তুলনামূলকভাবে সেগুলো একটু তাড়াতাড়ি ড্রাই হয়ে যায়। তাই প্রয়োজন মতো ‘থিনার’ মিশিয়ে নিলে ভালো হয়। তবে এতে রঙের সেই জৌলুস থাকে না।

নেলপলিশ ভালো রাখার সহজ উপায়

নেলপলিশ প্রায় সবার কাছেই থাকে। অনেকে পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে নেলপলিশ ব্যবহার করেন। তাই সব নেলপলিশ সব সময় ব্যবহার করা হয় না। এর জন্য অনেক সময় নেলপলিশ শুকিয়ে যায়। তাই এই সমস্যার সমাধানে দু’ তিন সপ্তাহ অন্তর প্রত্যেকটা নেলপলিশ একটু ঝাঁকিয়ে নিয়ে উল্টো করে একদিন রেখে দিন। দেখবেন অনেকটা ঠিক হয়ে যাবে।

যতটা সম্ভব ঠান্ডা ও খোলা জায়গায় রাখুন। বন্ধ আলমারি বা ড্রয়ার ইত্যাদি জায়গায় নেলপলিশ না রাখাই ভালো।

যত্নের অভাবে একান্তই যদি ড্রাই বা থিক হয়ে যায় তখন ড্রপারে করে কয়েক ফোঁটা থিনার মিশিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। তারপর নখে লাগিয়ে দেখতে হবে আরও থিনার মেশাবার প্রয়োজন আছে কিনা।

খেয়াল রাখতে হবে একসঙ্গে বেশি থিনার ঢেলে দিলে পলিশ একেবারে পাতলা হয়ে গিয়ে ব্যবহারযোগ্য থাকবে না।

নেলপলিশ লাগানোর সঠিক পদ্ধতি

ম্যনিকিওর করার পর বা বাড়িতেই ক্রিম ম্যাসাজ করার পর কোথাও যাবার আগে হ্যান্ড ক্রিম লাগানোর অভ্যেস অনেকেরই আছে। এটা সাজগোজের একটা অংশও বটে। শীতকালে তো প্রায় সকলেরই এটা প্রয়োজন হয়। দুই ক্ষেত্রেই নখের উপর যদি তৈলাক্ত কিছু থাকে তার ওপর পালিশ লাগালে তা বেশিদিন থাকে না। এমনকী ব্যবহারের সময় ক্র্যাকও দেখা যেতে পারে। কটন বা টিস্যু দিয়ে প্রত্যেকটা নখকে খুব ভালো করে মুছে নিতে হবে যাতে কোনওরকম ক্রিম লেগে না থাকে।
ব্যবহার করার আগেই আমরা নেলপলিশটিকে ঝাঁকিয়ে নিয়ে ব্রাশ দিয়ে নখের উপর পলিশ লাগাই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্রাশের দাগ দেখা যায় এটা এড়াতে হবে। ব্রাশের বাড়তি পলিশ বোতলের গায়ে মুছে একটা স্ট্রোকেই পুরো নখ কভার করতে হবে। একমাত্র পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের ক্ষেত্রে দুবার স্ট্রোক দিতে হয়।
যতক্ষণ না সম্পূর্ণ শুকোচ্ছে ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। খুব তাড়া থাকলে পাখার হাওয়া বা হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পর আবার একটা কোট দিতে হবে। সেটাও সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে তার ওপর টপ কোট অর্থাৎ ট্রান্সপারেন্ট নেলপলিশ লাগালে স্থায়িত্ব বেশ কিছুটা বাড়ে। এছাড়া এতে গ্লসি ফিনিশ আসে। যত দাগহীন স্মুথ ফিনিশ হবে ততটাই সুন্দর দেখাবে নখ।

ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে

লেখিকা শাকম্ভরী বডি অ্যান্ড বিউটি ক্লিনিক-এর প্রধান, যোগাযোগ : ঠিকানা: ২০৩, এপিসি রোড, শ্যামবাজার ফাইভ পয়েন্ট, কলকাতা-৪, মোবাইল: ৯১৬৩৪-১৪৪৪৩, হোয়াটসঅ্যাপ: ৭০০৩৮৯৩৮৮৩


Skip to content