শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


আজকালকার দিনে প্রায় সব কিশোর-কিশোরীরই ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা যায়। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে এই সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে অপরিষ্কার ত্বকে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে৷ তাই সর্বদা ত্বক পরিষ্কার রাখা দরকার। ব্রণ ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়। বাজার চলতি কোনও ক্রিম বা ওষুধ ছাড়াই ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে ব্রণ দূর করবেন তা জেনে নিন৷

এক কাপ পাকা পেঁপের রস নিয়ে তার মধ্যে এক চামচ পাতিলেবুর রস ও সামান্য চালেরগুঁড়ো নিন। তারপর সেগুলিকে ভালোভাবে মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি মুখে ভালোভাবে মাসাজ করুন। তারপর সেটিকে ২০-২৫ মিনিটের জন্য রেখে ভালো করে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ব্রণ সারাতে নিমপাতা খুবই কার্যকরী। ব্রণের দাগ দূর করার জন্য প্রথমে পাঁচ-ছটি নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে সেগুলিকে বেটে নিন। তার মধ্যে এক চামচ মুলতানি মাটি ও সামান্য গোলাপজল দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। যদি মিশ্রণটি গাঢ় হয়ে যায় তাহলে তার মধ্যে আরও গোলাপজল মিশিয়ে নিন। তারপর সেই মিশ্রণটি মুখে মেখে নিন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তাহলেই দূর হবে আপনার ব্রণ।

আপনার মুখে যেখানে যেখানে ব্রণ আছে সেখানে সেখানে লেবুর রস লাগান। তারপর পুরো মুখের মধ্যে ডিমের সাদা অংশটি মাস্কের মতো করে লাগান। তারপর সেটিকে ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দেওয়ার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

নিয়মিত গোলাপজলের ব্যবহারে ব্রণের সমস্যা দূর হয়। গুঁড়ো করা দারুচিনির সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন৷ তারপর সেই মিশ্রণটিকে ১০-১৫ মিনিটের জন্য ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ক্ষণ পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ব্রণের সংক্রমণ কমাতে পুদিনাপাতা খুবই উপকারী। পুদিনাপাতা বেটে নিয়ে সেটাকে মুখে মেখে নিন ১০-১৫ মিনিটের জন্য৷ তারপর সেটাকে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও পুদিনাপাতার রস দিয়ে আইসকিউব তৈরি করে সেটিকে ব্রণের ওপর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য মাসাজ করলেও ব্রণের সমস্যা দূর হতে পারে।

ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

Skip to content