রবিবার ৬ অক্টোবর, ২০২৪


‘টেম্পোরারি স্পাইরাল’ এবং ‘স্পাইরাল বান’ বা খোঁপা। দু’রকম ভাবে এই হায়ার স্টাইল করা যেতে পারে। একটা অল্প সময়ের জন্য বা টেম্পোরারি, একটা স্থায়ী বা পার্মানেন্ট পদ্ধতি। অল্প সময়ের জন্য কীভাবে ‘স্পাইরাল’ করা যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে কী কী সাবধানতা নিতে হবে সে সব নিয়ে নিয়ে আলোচনা করছি। স্পাইরাল নানান রকম আকারের হতে পারে অর্থাৎ আফ্রিকান মেয়েদের চুল যেমন একদম সরু সরু এবং প্রতিটি চুল রিং রিং (কোঁচকানো বলা যেতে পারে)। এই চুলকে টানলে ঘাড়ের চুল পিঠের মাঝখান পর্যন্ত চলে আসে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আফ্রিকান স্টাইল নিয়ে ওখানে কাজ করার সময় এমন সব অভিজ্ঞতা হয়েছে যা যথেষ্ট শিক্ষণীয়।

এত সরু থেকে শুরু করেও অনেক বড় বড় রিং তৈরি করা যেতে পারে। অল্প সময়ের জন্য বা টেম্পোরারি স্পাইরাল তৈরির জন্য দু’রকম পদ্ধতি আছে। টং এবং রোলার, যেকোনও একটি দিয়ে এই স্টাইল করা হয়। যিনি এই হেয়ার স্টাইল করবেন তাঁর কাছ থাকে আগেই জেনে নিতে হবে তিনি কেমন আকারের রিং পছন্দ করছেন। হেয়ার এক্সপার্টরা যেটা বুঝলেন সেটা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আবারও একবার নিশ্চিত হয়ে নেওয়া জরুরি। কারণ এই বিশেষ ধরনের হেয়ার স্টাইল একবার হয়ে গেলে তারপর সেই স্টাইলটা বদলাবার জন্য নতুন করে শ্যাম্পু ও চুল শুকিয়ে তারপর আবার শুরু করতে হবে। সময় সাপেক্ষ তো বটেই, সেই সঙ্গে চুলেরও ক্ষতি যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে। শুধু শুধু খরচও বাড়ে। সেই কারণে কাজ শুরু করার আগে দু’পক্ষের বোঝাবুঝিটা একদম পাকা হওয়া প্রয়োজন।
 

পদ্ধতি

চুল খুব ভালো করে শ্যাম্পু করে তারপর শুকিয়ে নিতে হবে। প্রথমে সব চুল দু’ ভাগে ভাগ করে নিতে হয়। কানের একদিক থেকে আর একদিক পর্যন্ত সোজা লাইন টেনে সামনের অংশের চুলকে ক্যাচার দিয়ে আটকে রেখে পিছন দিকের বাকি চুলকে মাথার উপরে উঁচু করে আটকানো হয়। কাজটা শুরু হয় ঘাড়ের কাছ থেকে। পিছনের অংশের চুল খুলে আড়াআড়ি ভাবে যে আকারের রিং তৈরি হবে সেই পরিমাণ চুল বার করে নিয়ে বাকিটা আবার মাথার উপরে আটকে দেওয়া হয়।

কোন সাইজের রিং হবে সেই অনুযায়ী রোলার বা টং আর্ম ব্যবহার হয়। ঘাড়ের কাছে বার করে নেওয়ার চুলকে ঘনত্ব অনুযায়ী ভাগ করে নিয়ে এক একটা ভাগে এক একটা রোলার লাগানো বা টং আর্ম এর গায়ে জড়িয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী রেখে খুলে দেওয়া হয়। এই ভাবে একটা লাইন সম্পূর্ণ হলে মাথার ওপরে পেছনের অংশের চুল খুলে আবার একটা আরাআড়ি লাইন চুল বার করে নিয়ে একই পদ্ধতিতে রোলার বা টং ব্যবহার হয়। এই ভাবে ক্রমশই উপর দিকে উঠতে উঠতে পেছনের ভাগে রাখা সমস্ত চুল স্পাইরাল হয়ে যায়। টং দিয়ে করলে কাজটা তখনই শেষ হয়ে।

রোলার লাগাবার আগে চুলকে স্প্রে বটলের মাধ্যমে স্টেপ বাই স্টেপ ভেজানো ও রোলার লাগানো চলতে থাকে। এরপর ভিজে রোলার লাগানো চুল হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল সম্পূর্ণ শুকনো করে তারপর অন্তত ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা রেখে একটা একটা করে রোলার খুলে দেওয়া হয়। দুটি ক্ষেত্রেই হেয়ার মুজ ব্যবহার করা যেতে পারে। তখন চুল ভেজাবার দরকার হয় না। যারা কপালের সামনে থেকে পুরো চুলটা করতে চান সেক্ষেত্রে পেছনের অংশের চুল শেষ হয়ে গেলে সামনে রসে একই পদ্ধতিতে কাজ করা হয়।
হিসেব করে দেখলে দুটো পদ্ধতির মধ্যে সময়ের খুব বেশি তারতম্য হয় না। রোলার পরপর লাগিয়ে যাওয়া কিন্তু টং এর ক্ষেত্রে প্রতিটা পার্ট কিছুক্ষণের জন্য ধরে রাখতে হয়। জল যতক্ষণ না দেওয়া হচ্ছে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা খুব ভালোভাবে এই স্টাইল বজায় থাকে।
 

স্টাইলিশ খোঁপা

প্রথমেই পিছনের চুলটাকে ভালো করে গোঁড়া বেঁধে সেই চুলকে পাট বাই পার্ট একটু বড় আকারের স্পাইরাল রিং তৈরি করে খোলার পর চুলের গোড়ার চারপাশে পছন্দ মতো সেপে কাঁটা দিয়ে আটকে দিলেই খোঁপা হয়ে যাবে। সামনের চুলের স্টাইল যে যার পছন্দ মতো করেন। তারপর লম্বা অংশকে পেছনের গোড়ার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়।

সব ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে

লেখিকা শাকম্ভরী বডি অ্যান্ড বিউটি ক্লিনিক-এর প্রধান, যোগাযোগ : ঠিকানা: ২০৩, এপিসি রোড, শ্যামবাজার ফাইভ পয়েন্ট, কলকাতা-৪, মোবাইল: ৯১৬৩৪-১৪৪৪৩, হোয়াটসঅ্যাপ: ৭০০৩৮৯৩৮৮৩


Skip to content