
হ্যাঙ্গিং বান হেয়ার স্টাইল, পদ্ধতি-১
চুল বাঁধার হরেক রকম স্টাইল বহু বছরের প্রথা। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বদলে গিয়েছে। পুরনো দিনের অভিনেত্রীদের চুলের স্টাইল এখনকার থেকে অনেকটাই আলাদা ছিল। তবে সাধারণ কিছু স্টাইলের কোনও দিনই পরিবর্তন হয় না। যেমন, চুল বাঁধার আগে খুব ভালো করে শ্যাম্পু না করলে সুন্দর হেয়ার স্টাইল একশ ভাগ সফল হওয়া খুব মুশকিল। যতটা সম্ভব কম কাঁটা ক্লিপের ব্যবহার করতে হবে, এত যাঁর চুল বাঁধা হবে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। শুধু তাই নয়, কাঁটা ক্লিপ এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যতটা সম্ভব সেগুলো দেখা না যায়। নিজস্ব পছন্দের ওপর নির্ভর করে কোনও ‘হেয়ার অ্যাকসেসরিজ’ ব্যবহার করবেন কিনা তা হেয়ার ড্রেসার-এর সঙ্গে পরামর্শ করে নিলে ভালো হয়।

হ্যাঙ্গিং বান হেয়ার স্টাইল, পদ্ধতি-২
এক্ষেত্রে সামনে পেছন দু’ পাশ অর্থাৎ পুরো চুলটা মাথার ওপরদিকে তুলে চুলের গোড়াটা বেঁধে নিতে হবে। তবে চুলের সামনে ও পাশ যেন হালকা থাকে, অর্থাৎ খুব টেনে বাঁধা বলতে যা বোঝায় তা কোনভাবেই যেন না হয়। এবার চুলকে চার থেকে পাঁচ বা ছয় ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। এটা অনেকটা চুলের ঘনত্বের ওপর নির্ভর করে যে কটা ভাগ হবে। সাধারণত চারটি ভাগ করা হয়। কিন্তু কারও চুলের ঘনত্ব খুব বেশি মোটা হলে পাঁচটি বা ছয়টি ভাগ করা যেতে পারে (যেমন ছবিতে দেখা যাচ্ছে)। খেয়াল রাখতে হবে প্রত্যেকটি ভাগ যেন সমান থাকে। সাধারণত চারটি ভাগ হয় বলে তার ওপর ভিত্তি করেই আমি ‘হ্যাঙ্গিং বান হেয়ার স্টাইল’-এর পদ্ধতিটা বলছি।

হ্যাঙ্গিং বান হেয়ার স্টাইল, পদ্ধতি-৩
এই হেয়ার স্টাইল’-এর ক্ষেত্রে মাঝের দুটো ভাগ থেকে বাঁধা শুরু হবে। এই দু’ভাগের যে কোনও একভাগ নিয়ে খুব ভালো করে সরু দাঁত চিরুনি বা হেয়ার ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে আঁচড়ে ‘স্মুদ ফিনিশ’ করে নিয়ে একদম নীচে রাবারব্যান্ড দিয়ে আটকে নেওয়া হয়। এরপর নীচের অংশটা ভেতর দিক দিয়ে তুলে ওপরের গোড়ার নীচে রেখে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিতে হবে। এমনভাবে এই কাজটা করতে হবে যাতে কোনওভাবেই তা খুলে নেমে না আসে। সব থেকে শক্ত কাজ হল পজিশনিং, অর্থাৎ মাঝের দুটো পার্ট চুলকে ঠিক জায়গায় রাখার সময় খুব ভালো ভাবে দেখে নিতে হয় যে সেই দুটো ভাগ ঠিক মাঝখানে হয়েছে কিনা। এটা না হলে হেয়ার স্টাইল বেঁকে যাবে। এরপর দু’ দিকের দুটো ভাগের চুলকে একইরকম করে বেঁধে দেওয়া হয়।
তবে আসল বা কৃত্রিম ফুল, নানানরকম বিডস, মোতি বা অন্যান্য অ্যাকসেসরিজ ব্যবহার করা বা না করাটা নিজস্ব ইচ্ছের ওপর নির্ভরশীল।
ছবি : লেখিকা
তবে আসল বা কৃত্রিম ফুল, নানানরকম বিডস, মোতি বা অন্যান্য অ্যাকসেসরিজ ব্যবহার করা বা না করাটা নিজস্ব ইচ্ছের ওপর নির্ভরশীল।
ছবি : লেখিকা
লেখিকা শাকম্ভরী বডি অ্যান্ড বিউটি ক্লিনিক-এর প্রধান, যোগাযোগ : ঠিকানা: ২০৩, এপিসি রোড, শ্যামবাজার ফাইভ পয়েন্ট, কলকাতা-৪, মোবাইল: ৯১৬৩৪-১৪৪৪৩, হোয়াটসঅ্যাপ: ৭০০৩৮৯৩৮৮৩