পামেলা গঙ্গোপাধ্যায় চৌধুরি। কলকাতার বাঙালি মেয়ে বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় থাকে। ওয়াড্রোবে নামি দামি ডিজাইনারের তৈরি লেটেস্ট আউটফিট। ভীষণ স্টাইলিশ ফ্যাশনেবল আর অসম্ভব সুন্দর ক্যারি করে। এই ধরনের অল্প বয়সী মেয়েরা শাড়ি পরায় অনভ্যস্ত, পটু তো নয়ই।
দেশ-বিদেশ যেখানেই হোক না কেন, দুর্গা পুজোর সময় সবাই একদিন শাড়ি পরতেই চায়। কিন্তু সমস্যা হল গুছিয়ে টাইট করে এমন ভাবে শাড়ি পরতে হবে যাতে বাচ্চাকে কোলে নেওয়ার সময় শাড়িটা প্রতিবন্ধক না হয়। প্রথম প্রথম ধাতস্ত হতে হতে ভারীর বদলে হালকা শাড়ি বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। জোড়ি, পুঁথি, সিকয়েন্স-এর কাজ করা শাড়ি না পরাই ভালো। এতে বাচ্চার গায়ে ফুটে তার কষ্ট হতে পারে।
শাড়ি পরার পদ্ধতি অনুযায়ী সেটি পরে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে আঁচলের লম্বাটা হাঁটুর এক বেগদা নীচ পর্যন্ত ঝুলবে। এর থেকে বেশি লম্বা আঁচল নিরাপদ নয়। কাঁধের কাছে আঁচলটাকে ব্লাউজের সঙ্গে সেফটিপিন দিয়ে আটকানো একান্ত প্রয়োজন। এরপর পেটের কাছের প্লিটগুলো পর পর সমান করে বিশেষ ধরনের লক সেফটিপিন দিয়ে আটকে দিলেই শাড়ি একেবারে বিন্যস্ত থাকবে।
জুতার ক্ষেত্রে দু’ ইঞ্চির বেশি হিল না পরাই ভালো। যাঁরা সব সময় স্টিলিটোস পরতে অভ্যস্ত নন, তাঁদের জন্য এটা ঠিকঠাক নয়। যদি প্লাটফর্ম হিল হয়, তাহলে সেটা সবথেকে ভালো ও নিরাপদ। যে কোনও পোশাকের সঙ্গে তো বটেই শাড়ির সঙ্গেও স্নিকার খুবই ‘ইন ফ্যাশন’। সেক্ষেত্রে জুতোর থেকে স্নিকার সবথেকে বেশি নিরাপদ।
কানে খুব বড় ঝোলা দুল অনেক সময় বাচ্চা টেনে দেয়। আবার ঝুলন্ত দুল বাচ্চার গায়ে খোঁচা লাগতে পারে। শুধু তাই নয় ব্যাঙ্গেল থেকে আংটি সমস্ত গয়না মসৃণ ডিজাইনের হওয়া দরকার। শুধু দুল নয়, বাচ্চাদের স্বভাবগত ব্যাপার, চশমা ধরে টানা, তাই চশমায় কড লাগানো অত্যন্ত জরুরি।
সাজের একটা বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে চুল। এক্ষেত্রে যারা চুল বেঁধেই রাখেন তাঁদের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু যাঁদের নিজস্ব স্টাইলটাই খোলা চুল, সেখানে তাঁদের নিজেদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সব কিছু ঠিকঠাক সামলে ওঠার জন্য চুল বাঁধবেন কি না। এক্ষেত্রে অন্য কারও মতামত চলে না।
যাইহোক শাড়ি পরে সাজগোজ করে ছোট্ট সোনামণিকে কোলে, সঙ্গে আরও একটি সন্তানকে নিয়ে দুর্গাপুজোর আনন্দ করার জন্য টিপসগুলো মাথায় রাখলে নিশ্চিতভাবে কোনও সমস্যা হবে না। পুজো হয়ে উঠবে আরও আনান্দমুখর।
সব ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
লেখিকা শাকম্ভরী বডি অ্যান্ড বিউটি ক্লিনিক-এর প্রধান, যোগাযোগ : ঠিকানা: ২০৩, এপিসি রোড, শ্যামবাজার ফাইভ পয়েন্ট, কলকাতা-৪, মোবাইল: ৯১৬৩৪-১৪৪৪৩, হোয়াটসঅ্যাপ: ৭০০৩৮৯৩৮৮৩
যাইহোক শাড়ি পরে সাজগোজ করে ছোট্ট সোনামণিকে কোলে, সঙ্গে আরও একটি সন্তানকে নিয়ে দুর্গাপুজোর আনন্দ করার জন্য টিপসগুলো মাথায় রাখলে নিশ্চিতভাবে কোনও সমস্যা হবে না। পুজো হয়ে উঠবে আরও আনান্দমুখর।
সব ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে
লেখিকা শাকম্ভরী বডি অ্যান্ড বিউটি ক্লিনিক-এর প্রধান, যোগাযোগ : ঠিকানা: ২০৩, এপিসি রোড, শ্যামবাজার ফাইভ পয়েন্ট, কলকাতা-৪, মোবাইল: ৯১৬৩৪-১৪৪৪৩, হোয়াটসঅ্যাপ: ৭০০৩৮৯৩৮৮৩