বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন বৃদ্ধি হলে যে সব উপসর্গগুলি দেখা যায় তাঁর মধ্যে অন্যতম ফ্যাটি লিভার। তাই কেউ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে আগে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।

অনেকেই হয়তো জানেন না, আমাদের লিভার সাধারণত ৫ থেকে ৬ শতাংশ চর্বি শোষণ করতে সক্ষম। এই ৫ থেকে ৬ শতাংশের বেশি চর্বি জমা হলে তা বিপদ। এ ক্ষেত্রে সময়ে চিকিৎসা শুরু করা জরুরি। তা না হলে এর থেকে ‘সিরোসিস অফ লিভার’-ও হতে পারে।
তবে ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা বাড়ার আরও কারণ আছে, যেমন ওবিসিটি, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মুশকিল হল, ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসার জন্য তেমন কোনও ওষুধ নেই। জীবনযাপন ও খাওয়াদাওয়ায় পরিবর্তনই হল এই অসুখের আসল দাওয়াই।

ফ্যাটি লিভারের বেশ কয়েকটি পর্যায় থাকে, যেমন: গ্রেড ১, গ্রেড ২, গ্রেড ৩ প্রভৃতি। গ্রেড ২ বা তার বেশি পর্যায়ে এই দেহে রোগ ছড়িয়ে পড়লে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে খাওয়াদাওয়া করা জরুরি। যদিও গ্রেড ১ ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে জীবনযাপন এবং রোজকার ডায়েটে পরিবর্তন এনে এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন:

নাচের দৃশ্যে শিফন শাড়ি পরে বরফের উপর হাঁটার সময় হোঁচট! আলিয়াকে কে সামলালেন?

পরীমণির পঞ্চম বিয়ে? নায়িকাকে প্রস্তাব বাংলাদেশের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়কের, তিনি কে?

 

কী কী করণীয়?

অল্প অল্প করে বার বার খেতে হবে।
৩ লিটার করে জল খেতে হবে।
নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। দিনে এক ঘণ্টা শরীরচর্চা করুন। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলেও উপকার মিলবে।
ওজন বাড়ছে বলে অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকা যাবে না।
খাবারের মধ্যে খুব বেশি সময়ের ব্যবধান যেন না থাকে।
এ ক্ষেত্রে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমনো ভীষণ জরুরি।
ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে রেড মিট, ভাজাভুজি, মাখন, ঘি, চিজ।
এড়িয়ে চলতে হবে চিনি, ময়দা জাতীয় খাবার।
মদ্যপান করা যাব না।

বর্ষার মরসুমেও তেষ্টা কম পাচ্ছে? এই সব লক্ষণে বুঝবেন আপনার শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হয়েছে কিনা?

বৃষ্টিতে ফোন ভিজে গিয়েছে? ঘাবড়াবেন না, এই ৫ উপায়ে হবে সমস্যার সমাধান

 

ফ্যাটি লিভার এড়াতে কোন খাবার পাতে রাখবেন?

রেস্তরাঁ বা রাস্তার ধারের দোকানের খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
রাস্তায় ফলের রসটা খাবেন না। এতে লাভের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হয়।
খিদে পেলে চিঁড়ে, মুড়ি, পপকর্ন, ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া যেতে পারে।
মরসুমি ফল খেতে হবে। খিদে পেলে একটা ফল খেয়ে নিতে পারেন।
কম তেল-মশলাযুক্ত খাবার খান।

একটানা অন্তত তিন মাস জীবনযাত্রা ও রোজকার ডায়েটে এই পরিবর্তনগুলি আনলে গ্রেড ১ ফ্যাটি লিভার থেকে সেরে ওঠা সম্ভব, এমনটাই মনে করছেন অনেক পুষ্টিবিদ।


Skip to content