ছবি প্রতীকী
জনসন অ্যান্ড জনসন-এর শিশুদের ব্যবহারের জন্য তৈরি ট্যালকম পাউডারের লাইসেন্স বাতিল করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। যদিও সরকারের এই সিদ্ধান্ত আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। বম্বে হাই কোর্টে এই মামলার আগামী শুনানি হবে ৯ নভেম্বর। শনিবার এ বিষয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে জবাব চেয়েছে হাই কোর্ট।
মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) গত সেপ্টেম্বরে জনসন অ্যান্ড জনসন-এর তৈরি শিশুদের ট্যালকম পাউডারের লাইসেন্স বাতিলের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে। মহারাষ্ট্র সরকারের জারি করা সেই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে আমেরিকার সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) গত সেপ্টেম্বরে জনসন অ্যান্ড জনসন-এর তৈরি শিশুদের ট্যালকম পাউডারের লাইসেন্স বাতিলের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে। মহারাষ্ট্র সরকারের জারি করা সেই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে আমেরিকার সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
আগে এফডিএ এক প্রেস বিবৃতিতে জানায়, সদ্যোজাত শিশুদের ত্বকের ক্ষতি করতে পারে জনসন অ্যান্ড জনসন-এর তৈরি এই পাউডার। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ওই পাউডারে যে মাত্রায় ‘পিএইচ’ পাওয়া গিয়েছে তা সদ্যোজাত শিশুদের ত্বকের জন্য উপযুক্ত বা নিরাপদ নয়। বিষয়টি ধরা পড়ে রাজ্যের এফডিএ পাউডার পরীক্ষা করার সময়। সেই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, পাউডারে থাকে ‘পিএইচ’-এর মাত্রা নির্ধারিত পরিমাণের থেকে অনেক বেশি রয়েছে।
আরও পড়ুন:
নিয়মিত পাউডার ব্যবহার করেন? ত্বকের কোনও ক্ষতি হচ্ছে না তো?
অবশেষে টুইটারের নতুন মালিক হলেন ইলন মাস্ক, অধিগ্রহণের পরই ছাঁটাই করলেন সিইও পরাগ আগরওয়ালকে
মহারাষ্ট্রের এফডিএ এই সিদ্ধান্ত পৌঁছয় কলকাতা-ভিত্তিক ‘সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরি’র তৈরি রিপোর্টের ভিত্তিতে। এখানেই শেষ নয়, নাসিক ও পুণে থেকে পাউডারের নমুনা সংগ্রহ করেই ল্যাবরেটরিতে এই পরীক্ষা করা হয়েছিল বলে জানান হয়েছে।
এদিকে, জনসন অ্যান্ড জনসন অবশ্য ওই রিপোর্টকে মান্যতা দেয়নি। সংস্থাটি মহারাষ্ট্রের সরকারের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছে। আদালতে জনসন অ্যান্ড জনসন-এর দাবি, পাউডারের নমুনা সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হোক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগেই এই মার্কিন সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন ঘোষণা করে দিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে তারা আর শিশুদের জন্য ট্যালকাম পাউডার তৈরি করবে না।
এদিকে, জনসন অ্যান্ড জনসন অবশ্য ওই রিপোর্টকে মান্যতা দেয়নি। সংস্থাটি মহারাষ্ট্রের সরকারের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছে। আদালতে জনসন অ্যান্ড জনসন-এর দাবি, পাউডারের নমুনা সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হোক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগেই এই মার্কিন সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন ঘোষণা করে দিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে তারা আর শিশুদের জন্য ট্যালকাম পাউডার তৈরি করবে না।