লেমন ক্যাপ
হাতের ও পায়ের আঙুলের গাঁট (নাকেলস) কালো কালো হয়ে গেলে দেখতে সত্যিই খুব খারাপ লাগে। লজ্জায় হাত বার করতে সংকোচ বোধ হয়। এই দাগ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ব্লিচ ব্যবহার করেন। কিন্তু ব্লিচ ব্যবহার করা উচিত নয়। ওতে হাতের মসৃণতা কমে, শুষ্ক হয়ে যায়। এমনকী র্যা শ হবার সম্ভাবনাও থাকে। এককথায় কালো দাগ তোলার চিকিৎসা ‘ব্লিচ’ নয়। এটার জন্য এবিষয়ে পেশাদারদের কাছে গেলে সমাধান হতে পারে। সবার পক্ষে সেটা হয়তো সম্ভব না। ঘরোয়া একটা টিপস জানাচ্ছি। একটি পাতিলেবুকে আড়াআড়িভাবে দু’ টুকরো করতে হবে। এবার কিছুটা রস বার করে নিলে লেবুর ভেতরটা একটু গর্তমতো হয়ে যাবে। এটাকে বলে ‘লেমন ক্যাপ’। এবার বার করা ওই লেবুর রসের সঙ্গে মোটা দানা চিনি ও দু’ চিমটে খাবার সোডা মিশিয়ে একটা মিশ্রণে (স্যলিউশন) করতে হবে। এবার প্রত্যেকটা আঙুল ভাঁজ করে নিলে গাঁটগুলো শক্ত হবে এবং ওপরের দিকে উঠে আসবে। এইবার ‘লেমন ক্যাপটা’ ওই মিশ্রণে (স্যলিউশন) ডুবিয়ে (চিনি সমেত) গাঁটের ওপর গোল গোল করে ‘ক্লক’ ও ‘অ্যান্টিক্লক’ অনুযায়ী ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খুব সামান্য চাপ দিয়ে এক একটা গাঁট এক থেকে দেড় মিনিট ঘষতে হবে। এরপর ১৫-২০ মিনিট রাখার পর জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে হাত মুছে ‘হ্যান্ড ক্রিম’ লাগাতে হবে। বেশ কিছুদিন করার পর নিজেই বুঝতে পারবেন দাগ হালকা বা সম্পূর্ণ চলে গিয়েছে। তবে এটা নির্ভর করে সমস্যার গভীরতার ওপর।
লেমন ক্যাপ ও কনুই
এরকম দাগ থাকে কনুইতেও থাকতে পারে, তবে সেই দাগ অনেক সময় বেশ গাঢ় কালো হয়। কারও ছোট ছোট দানা দানা র্যা শও হয়। অনেকের ক্ষেত্রে ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যায়। আবার কারও কারও হালকা হালকা ছালও ওঠে। একইরকম ক্ষেত্রে কেউ কেউ নিজের মতো বা কারও পরামর্শে এই দাগ তোলার জন্য ‘ব্লিচ’ করেন। এক্ষেত্রে যাঁদের খুব শুষ্ক ও খসখসে ত্বক, চামড়া উঠে যাচ্ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ফলাফল হয় অত্যন্ত বিপজ্জনক। এতে ত্বক আরও ফেটে ফেটে যায়, রক্ত বার হয়। এমনকী সংক্রমণও হয়ে যায়। যাঁরা ‘ডেস্ক ওয়ার্ক’ করেন তাঁদের ক্ষেত্রে শুধু কনুই নয়, তার বেশ কিছুটা নীচ পর্যন্ত কালচে দাগ হয়ে যায়। তাই কাজ করার সময় ‘এলবো গার্ড’ ব্যবহার করা ভালো।
লেমন ক্যাপ দিয়ে এভাবে কনুইয়ে ঘোষতে হবে
কিন্তু যাঁদের কনুইতে এমন সমস্যা হয়ে গিয়েছে তাঁরা এই পরামর্শ মেনে চললে উপকার পাবেন। ‘লেমন ক্যাপ’ তৈরি করে এক চামচ পাতিলেবুর রস আর এক চামচ গোঁড়ালেবুর রসের সঙ্গে ১/৪ চামচ খাবার সোডা মিশিয়ে গাঁটের দাগ তোলার পদ্ধতিতে ‘লেমন ক্যাপ’ বারবার মিশ্রণে ডুবিয়ে ডুবিয়ে অন্তত ৪-৫ মিনিট ব্যবহার করতে হবে। বেশি চাপ দেওয়া যাবে না। ১৫-২০ মিনিট রাখার পর ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে মুছে ’ভিটামিন-ই’ ক্রিম লাগিয়ে গোল গোল আবর্তে (মুভমেন্ট) ম্যাসাজ করতে হবে। একইরকমভাবে গাঁটের দাগ তোলার মতোই সমস্যার গভীরতার ওপর এটা নির্ভরশীল অর্থাৎ কারও দাগ পুরো চলে যায় আবার কারও বা অনেকটা হালকা হয়ে যায়। যাঁদের কালো দাগের সঙ্গে খুব ত্বকের শুষ্কভাব বেশি বা ছাল ওঠার সমস্যা রয়েছে তাঁরা অবিলম্বে অভিজ্ঞ রূপচর্চার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ছবি: লেখিকা
লেখিকা শাকম্ভরী বডি অ্যান্ড বিউটি ক্লিনিক-এর প্রধান, যোগাযোগ : ঠিকানা: ২০৩, এপিসি রোড, শ্যামবাজার ফাইভ পয়েন্ট, কলকাতা-৪, মোবাইল: ৯১৬৩৪-১৪৪৪৩, হোয়াটসঅ্যাপ: ৭০০৩৮৯৩৮৮৩
ছবি: লেখিকা
লেখিকা শাকম্ভরী বডি অ্যান্ড বিউটি ক্লিনিক-এর প্রধান, যোগাযোগ : ঠিকানা: ২০৩, এপিসি রোড, শ্যামবাজার ফাইভ পয়েন্ট, কলকাতা-৪, মোবাইল: ৯১৬৩৪-১৪৪৪৩, হোয়াটসঅ্যাপ: ৭০০৩৮৯৩৮৮৩