অলঙ্করণ: লেখক।
ছেলে ভোলানো ছড়া গান গল্পের আগডুম বাগডুম দিয়ে ক্যাবলা আর সেয়ানাদের ছোটবেলাগুলো তৈরি হয়। বড় হতে হতে তাতে মেশে কিছু আবেগ, কয়েক ছটাক নস্টালজিয়া, স্মৃতিকথার উজান-বাওয়া, জনশ্রুতি আর কিংবদন্তির “ফিল গুড”… ক্যাবলারা বড় হয়ে সেয়ানা হয়, কিংবা হয় না, হতে পারে না; কিন্তু যতোই অন্তরে শিশুর পিতার বাস হোক না কেন, ছোটবেলায় ক্যাবলা থাকাটাই বুঝি একটা স্বাভাবিক বিষয়!!
শিশুতোষ ছড়ার মধ্যে সেই ইঙ্গিত, সেই রূপকথার রূপে ভোলার হাতছানি, অর্থহীন ভোলা মনের স্রোতে ভাসা… তারপর, যখন একের পিঠে দুই লাগে, দুই দুগুণে চার হয় আর চার দুগুণে আট, তখন গুণে গুণে মনে হতে থাকে ঐ ব্যাঙের আধুলিটার হিসাব বুঝি মিলছে না। ছোটবেলার রহস্যে ঘেরা আলো অন্ধকারের জগৎটা একটু একটু করে একটা গভীর আলোর স্রোতে আর হাওয়ার রাতে গিয়ে মিশছে বুঝি! সেখানে চাঁদ উঠলেও চাঁদের বুড়ি নেই, জ্যোৎস্নারাতে নামে না ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমী, অথবা দত্যি দানোগুলো ভয়ে লজ্জায় তাদের দাপট হারিয়ে ফেলে। চাঁদমামা সূয্যিমামারা ভূগোলের বইতে বাসা বাঁধে, তাদের ঘণ্টা আর সেকেন্ডের মুহূর্ত আর ক্ষণ গুণে গুণে পিছনের সেই অদ্ভুত মায়াময় ক্যাবলামির দুনিয়া কেমন যেন নেই-নেই হয়ে যায়।
শিশুতোষ ছড়ার মধ্যে সেই ইঙ্গিত, সেই রূপকথার রূপে ভোলার হাতছানি, অর্থহীন ভোলা মনের স্রোতে ভাসা… তারপর, যখন একের পিঠে দুই লাগে, দুই দুগুণে চার হয় আর চার দুগুণে আট, তখন গুণে গুণে মনে হতে থাকে ঐ ব্যাঙের আধুলিটার হিসাব বুঝি মিলছে না। ছোটবেলার রহস্যে ঘেরা আলো অন্ধকারের জগৎটা একটু একটু করে একটা গভীর আলোর স্রোতে আর হাওয়ার রাতে গিয়ে মিশছে বুঝি! সেখানে চাঁদ উঠলেও চাঁদের বুড়ি নেই, জ্যোৎস্নারাতে নামে না ব্যঙ্গমা-ব্যঙ্গমী, অথবা দত্যি দানোগুলো ভয়ে লজ্জায় তাদের দাপট হারিয়ে ফেলে। চাঁদমামা সূয্যিমামারা ভূগোলের বইতে বাসা বাঁধে, তাদের ঘণ্টা আর সেকেন্ডের মুহূর্ত আর ক্ষণ গুণে গুণে পিছনের সেই অদ্ভুত মায়াময় ক্যাবলামির দুনিয়া কেমন যেন নেই-নেই হয়ে যায়।
আমরা ভারি সেয়ানা হয়ে যাই?
ক্যাবলামি বুঝি জীবনভোর, নানা রূপে তার লীলাময় ঐশ্বর্যমণ্ডিত ইন্দ্রজাল দেখায়, লালকে মনে হয় নীল কিংবা দড়িকে সাপ। এভাবেই আমাদের “মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়”, এভাবেই আমাদের জীবনের গলিপথে মধুবায়ুর যাওয়া আসা, মধুযামিনীর স্বপ্ন, শশধরের জোছনা ঢালা, ভাবনা-যাতনার উথলিত গীতরব, সপ্তমসুরে তান বাঁধা। তবু অনন্ত জাগে… তবু… জয় ক’রে তবু ভয় কেন তোর যায় না?
নাণ্টুকে খেলায় কেউ নেয় না। ক’দিন বল কুড়িয়ে, চোর-পুলিশের চোর হয়ে, ক’দিন কুমির ডাঙার জলেস্থলে ঘুরে সে বেজায় ক্লান্ত আর হতাশ হয়ে গেল। এই দুধেভাতে-দশা কাটবে কবে? নান্টু সেটাই বসে ভাবছিল। সকলেই তাকে যে ছেলে ভোলায় সে বেশ বোঝে। কিন্তু সে যে বোঝে সেটা কেউ বোঝে না, বলা ভালো কেউ বুঝতে চায় না। এতো ছোটো ছেলে, ও আবার কী বুঝবে! ইস্টুপিড একটা। নাক টিপলে যার দুধ পড়ে, সে নাকি আবার…
ক্যাবলামি বুঝি জীবনভোর, নানা রূপে তার লীলাময় ঐশ্বর্যমণ্ডিত ইন্দ্রজাল দেখায়, লালকে মনে হয় নীল কিংবা দড়িকে সাপ। এভাবেই আমাদের “মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়”, এভাবেই আমাদের জীবনের গলিপথে মধুবায়ুর যাওয়া আসা, মধুযামিনীর স্বপ্ন, শশধরের জোছনা ঢালা, ভাবনা-যাতনার উথলিত গীতরব, সপ্তমসুরে তান বাঁধা। তবু অনন্ত জাগে… তবু… জয় ক’রে তবু ভয় কেন তোর যায় না?
নাণ্টুকে খেলায় কেউ নেয় না। ক’দিন বল কুড়িয়ে, চোর-পুলিশের চোর হয়ে, ক’দিন কুমির ডাঙার জলেস্থলে ঘুরে সে বেজায় ক্লান্ত আর হতাশ হয়ে গেল। এই দুধেভাতে-দশা কাটবে কবে? নান্টু সেটাই বসে ভাবছিল। সকলেই তাকে যে ছেলে ভোলায় সে বেশ বোঝে। কিন্তু সে যে বোঝে সেটা কেউ বোঝে না, বলা ভালো কেউ বুঝতে চায় না। এতো ছোটো ছেলে, ও আবার কী বুঝবে! ইস্টুপিড একটা। নাক টিপলে যার দুধ পড়ে, সে নাকি আবার…
আরও পড়ুন:
ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-১৯: সত্য কাজে কেউ নয় রাজি সবই দেখি তা না না না?
ইতিহাস কথা কও, পর্ব-১৪: মধুপুর ধাম, বাণেশ্বর মন্দির ও ধলুয়াবাড়ি সিদ্ধ নাথ শিবমন্দির
গোপালকাকু এক হাট লোকের মাঝখানে সেদিন নাণ্টুকে বলল, অ্যাই! ওঘরে যা তো! এখন একটা কথা বলবো, সেটা তোর শোনা উচিত নয়! বিদ্যাসাগর মশাই কি এই গোপালের ছবি এঁকেছিলেন? পলিটিক্যালি কারেক্ট, কিন্তু… কোথায় যেন একটা কিন্তু থেকে যায়… নান্টু ওঠে না, এ তার বাড়ি, গোপালকাকু ও পাড়ায় থাকে, তাকে বসার সোফা থেকে উঠে যেতে বললে উঠে যেতে হবে বুঝি? নান্টু ঠায় বসে থাকে। চায়ে আরামের চুমুক দিয়ে গোপালবাবু কটমটিয়ে বললেন, কী রে! “বড়দের” মাঝে বসে কথা গিলতে হচ্ছে? বেরো, যাঃ ওঘরে। “আমি তো আমার জায়গায় বসে আছি। তোমাদের কথা আমার শুনতে ভারি বয়ে গেছে। কথা বলতে চাও, বেরিয়ে গিয়ে বলো না! নাণ্টু এসবই হয়তো বলতে চায়, শুধু বলে ফেলে,”বসি না, একটু!” নান্টু বাবার দিকে অসহায়ভাবে তাকায়। বাবা ভারিক্কি সুরে “বড়দের কথা শুনতে হয়, কী বড় হচ্ছো” জাতীয় কিছু একটা বলে খবরের কাগজে চোখ বোলাতে থাকে। নাণ্টু চোরের মতো বেরিয়ে যায়, সে বড় হচ্ছে… শুনতে পায়, গোপালকাকুর বক্রোক্তি “পচাদা! আপনার ছেলেটাকে শায়েস্তা করুন, আমার হলে কান ছিঁড়ে নিতাম”…
আরও পড়ুন:
লাইট সাউন্ড ক্যামেরা অ্যাকশন, পর্ব-৮: ইতালিয়ান নিওরিয়ালিজম এবং ডি সিকার বাইসাইকেল থিভস
রাক্ষসের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ঢুকে গেলেন বেতারকেন্দ্রে
ভোম্বল কলেজে উঠেছে। বাসে ট্রামে ওঠার মতোই উঠে গিয়েছে। ক্লাসে তার বন্ধু নেই। তার মুখে হাসি কেউ কখনও দেখেনি। তবে ভোম্বল মোটেও ক্যাবলা নয়, সে দিব্যি নিজের ভালো বোঝে। যেদিন ইচ্ছে করে ক্লাসে যায়, যেদিন অন্য কোনও কাজ থাকে না, সেদিন-ও যায়, কিন্তু বেশিরভাগ দিনই তার কাজ থাকে, কিন্তু কী সে কাজ তা সে ছাড়া আর কেউ জানে বলে মনে হয় না।
ভোম্বলের ক্লাসের নিয়মিত খদ্দেরদের মধ্যে হোঁতকা আর মিকি। মিকির একটা ভালো নাম আছে। তবে সেটা কলেজের খাতা জানে। আর জানে তার বাবা মা। মিকি নিজেও মাঝে মাঝে ভুলে যায় তার ভালো নাম কী। তবে সে ভালো ছেলে। পড়াশোনা করে, ক্লাস করে, ভালো রেজাল্ট করে, অতয়েব সে ক্যাবলাদের শিরোমণি। এই বয়সেও কারা তার আমায় “ফোর টুয়েন্টি” লিখে দেয় একদিন-ও সে বুঝতে পারেনি। তবে হোঁতকা রোজ আসে, কারণ তার বান্ধবীরা আসে, তাই। আর মিকি এলে, তার মজা খুব। পিছনে রোজ “ফোর টুয়েন্টি” লিখে ক্লাসের শেষে “এই দেখ ভাই! আবারও কে যেন লিখে দিয়েছে” বলে চলা, কী করলে এই ঝামেলা কাটানো যায়, তার পরামর্শ কখনও ফ্রিতে, কখনও সস্তায় দেওয়া… এগুলো তার হেব্বি লাগে। সেদিন একটা স্পেশ্যাল ক্যাটাগরির টোটকার জন্য বিশুদার স্পেশাল চা একটা আর দুটো ঝালবড়া লেগেছে তার। মিকি ওর টোটকাগুলো ক্লাসে প্রয়োগ করে, চোখ কান খোলা রাখে, কিন্তু তারপর আবারও…
ভোম্বলের ক্লাসের নিয়মিত খদ্দেরদের মধ্যে হোঁতকা আর মিকি। মিকির একটা ভালো নাম আছে। তবে সেটা কলেজের খাতা জানে। আর জানে তার বাবা মা। মিকি নিজেও মাঝে মাঝে ভুলে যায় তার ভালো নাম কী। তবে সে ভালো ছেলে। পড়াশোনা করে, ক্লাস করে, ভালো রেজাল্ট করে, অতয়েব সে ক্যাবলাদের শিরোমণি। এই বয়সেও কারা তার আমায় “ফোর টুয়েন্টি” লিখে দেয় একদিন-ও সে বুঝতে পারেনি। তবে হোঁতকা রোজ আসে, কারণ তার বান্ধবীরা আসে, তাই। আর মিকি এলে, তার মজা খুব। পিছনে রোজ “ফোর টুয়েন্টি” লিখে ক্লাসের শেষে “এই দেখ ভাই! আবারও কে যেন লিখে দিয়েছে” বলে চলা, কী করলে এই ঝামেলা কাটানো যায়, তার পরামর্শ কখনও ফ্রিতে, কখনও সস্তায় দেওয়া… এগুলো তার হেব্বি লাগে। সেদিন একটা স্পেশ্যাল ক্যাটাগরির টোটকার জন্য বিশুদার স্পেশাল চা একটা আর দুটো ঝালবড়া লেগেছে তার। মিকি ওর টোটকাগুলো ক্লাসে প্রয়োগ করে, চোখ কান খোলা রাখে, কিন্তু তারপর আবারও…
আরও পড়ুন:
বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-৯: ফেরেন্তস পুসকাস: দুটি দেশের হয়েই বিশ্বকাপ খেলেছেন
পালকিতে যেতে যেতে লেখা হয়েছিল ‘বর্ণপরিচয়’
সেদিন ভোম্বল আর হোঁতকা ক্লাসে বসে এই নিয়ে একচোট হেসে নিয়েছে। মিকি ব্যস্ত হয়ে ঢুকতে হোঁতকা বলল, “ভাই, তোর শার্টের কোণায় চারসো বিস লেখা রে!” মিকি চমকে ঘুরে তাকায়, “ভোম্বল নির্বিষ সুরে” দেশটা ফোর টোয়েণ্টিতে ভরে গেছে ভাই, কিন্তু তুই দেখতে পাবি না, কুকুর কোনওদিন লেজ ধরতে পারে” বলে খ্যাঁকখ্যাঁক করে হেসে ওঠে। হোঁতকা বলে,”তোকে ক্যাবলা পেয়ে যে যেমন খুশি করছে ভাই, আমি থাকতে এ হতে দেবো না ভাই, তুই আমাদের দেশের গর্ব হবি ভাই, হবি কেন, এখনই হয়ে গিয়েছি, আমরা তোর নামে স্লোগান দেব ভাই…” বলে আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল, মিকি এগিয়ে এসে বলে “এই নে, যে নোটটা চেয়েছিলিস, তার ফটোকপি, এটা তুই তমালীকে দিস, বলিস, আমাকে চাইলেও আমি দিয়ে দিতাম; আর বলছি ভাই, লাল, নীল, কালো ছাড়া আর কোনও রঙের পেন তোর নেই না? মা বলছিল, তোর বন্ধুর জন্মদিনে কমলা, গোলাপি, আকাশী এইসব রঙের পেন কিনে দিস। আসলে রোজ রোজ একঘেয়ে হয়ে যায় বুঝলি! তোর জন্মদিনটা কবে যেন রে? ভর্তির সময় শুনেছিলাম ফেব্রুয়ারি, তার পরে শুনলাম জুলাই, ভাই, এটা তো অক্টোবর। ডিসেম্বরে আনতে পারবি? তাহলে টাটকা টাটকা ব্যাপারটা মিটে যায় বুঝলি!”
নাণ্টু এ সব কিছুই পিছন থেকে দেখে। সে ক্লাসে আসে, স্যার ম্যাডামরা বলেন, তার চেষ্টা আছে। ভোম্বল আর তমালীর প্ল্যানটা খাসা, নিজেরা কখনও আউট্রাম তো কখনও মিলেনিয়াম, ভাবছে হোঁতকাকে দিয়ে নোটসগুলো নেওয়াবে, কিন্তু মিকির ঐ নোট খাতায় লিখলে কী হবে ওরা ভাবতেও পারবে না, মিকির মতো পাজির পাঝাড়া দুটো নেই। কিন্তু গোপালকাকু ছেলের নাম রাখাল রাখলেই পারতো। বিদ্যাসাগর মশাই খুশি হতেন। হোঁতকার মাথাটা বোধহয় হাতিতে খাওয়া… গজভুক্ত কপিত্থবত্… এতোটাও ক্যাবলা মানুষ হয়!—চলবে।
নাণ্টু এ সব কিছুই পিছন থেকে দেখে। সে ক্লাসে আসে, স্যার ম্যাডামরা বলেন, তার চেষ্টা আছে। ভোম্বল আর তমালীর প্ল্যানটা খাসা, নিজেরা কখনও আউট্রাম তো কখনও মিলেনিয়াম, ভাবছে হোঁতকাকে দিয়ে নোটসগুলো নেওয়াবে, কিন্তু মিকির ঐ নোট খাতায় লিখলে কী হবে ওরা ভাবতেও পারবে না, মিকির মতো পাজির পাঝাড়া দুটো নেই। কিন্তু গোপালকাকু ছেলের নাম রাখাল রাখলেই পারতো। বিদ্যাসাগর মশাই খুশি হতেন। হোঁতকার মাথাটা বোধহয় হাতিতে খাওয়া… গজভুক্ত কপিত্থবত্… এতোটাও ক্যাবলা মানুষ হয়!—চলবে।
* ক্যাবলাদের ছোটবেলা (kyablader-chotobela): লেখক: ড. অভিষেক ঘোষ (Abhishek Ghosh) সহকারী অধ্যাপক, বাগনান কলেজ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ থেকে স্নাতকস্তরে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত। স্নাতকোত্তরের পর ইউজিসি নেট জুনিয়র এবং সিনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ পেয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে সাড়ে তিন বছর পূর্ণসময়ের গবেষক হিসাবে যুক্ত ছিলেন। সাম্বপুরাণের সূর্য-সৌরধর্ম নিয়ে গবেষণা করে পিএইচ. ডি ডিগ্রি লাভ করেন। আগ্রহের বিষয় ভারতবিদ্যা, পুরাণসাহিত্য, সৌরধর্ম, অভিলেখ, লিপিবিদ্যা, প্রাচ্যদর্শন, সাহিত্যতত্ত্ব, চিত্রকলা, বাংলার ধ্রুপদী ও আধুনিক সাহিত্যসম্ভার। মৌলিক রসসিক্ত লেখালেখি মূলত: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়ে চলেছে বিভিন্ন জার্নাল ও সম্পাদিত গ্রন্থে। সাম্প্রতিক অতীতে ডিজিটাল আর্ট প্রদর্শিত হয়েছে আর্ট গ্যালারিতে, বিদেশেও নির্বাচিত হয়েছেন অনলাইন চিত্রপ্রদর্শনীতে। ফেসবুক পেজ, ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে নিয়মিত দর্শকের কাছে পৌঁছে দেন নিজের চিত্রকলা। এখানে একসঙ্গে হাতে তুলে নিয়েছেন কলম ও তুলি। লিখছেন রম্যরচনা, অলংকরণ করছেন একইসঙ্গে।