শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


অলঙ্করণ: লেখক।

টেনিদা একবার লন্ডনে মহারানি ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চাইল। তো বাকিংহামের দারোয়ান কিছুতেই ঢুকতে দেবে না। সরু খ্যাংরার মতো চেহারা, তবুও সাহেব বলে কথা। ভারতে এলে এই হয়তো নীলকর না হোক ছোটলাট হতে পারতো। টেনিদা বলল, “আমায় চেনো! একবার দেশে ফিরি, তোমার চাকরি কী করে থাকে তা-ই আমি দেখব। আমি হলাম গিয়ে ভজহরি মুখুজ্জে ওরফে… এই বলতে না বলতে লোকটা দণ্ডবৎ হয়ে প্রণাম করে বলল, “আপনাকে কে না চেনে স্যার! আপনার রামধোলাই খেয়েই আমার মামা গড়ের মাঠ থেকে সোজা লন্ডন পালিয়ে এসেছিল। আর ওমুখো হয়নি। যতদিন বেঁচেছিল রাতে দুঃস্বপ্ন দেখতো। অন্দর আইয়ে জনাব! আপনাকে দেখে আমার জনম সার্থক হল। রানিমা নিজের হাতে কাস্টার্ড আর ফাউলকারি বানিয়ে বসে আছেন পথ চেয়ে। খালি বলছেন, টেনি আমায় কথা দিয়েছে, ও আসবে। টেনির সঙ্গে আমি টেনিস খেলব…

কী ভাবছেন? লন্ডনে তো ফেলুদা… হ্যাঁ, আপনি ঠিকই জানেন। আর এটাও, গুল। আশেপাশে হাবুল সেন নাই যে “গুল নয়, পদ্মফুল” বলে ম্যানেজ করবে। টেনিদা এটা শুনলে খুশিই হতো নিশ্চয়ই।
কিন্তু এতে ক্যাবলামি কোথায়? বাঙালি লন্ডনে গিয়ে মহারানির সঙ্গে টেনিস খেলবে এতে আশ্চর্যের কোথায়? রবিবাবুই তো বলেছেন, “দিবে আর নিবে, মিলাবে-মিলিবে” ইত্যাদি…

আরে বাবা, রোসো। কথায় কথায় শুধু রাজ্যের লোকের ছিদ্রান্বেষণ করতে হবে কেবল? এই যা! কেবল নয়। কেবল বললে কেমন কৈবল্যের কথা মনে হয়। যাই হোক, দেখাই তো গিয়েছে, চারটে বোকা পণ্ডিত ক্যাবলামি করে কেমন নাকাল হল। শাস্ত্র বলেছিল, ছিদ্রপথে অনর্থ হয়। ছিদ্রান্বেষণ তো সেজন্যই। একটু পান থেকে চুন খসল কী, সমালোচনার সাইক্লোন বইয়ে দাও, অথবা “অ্যাই চুপ রহো বিলকুল খামোশ” বলে খানিক সুর তোলো, ম্যাজিকের মতো কাজ হবে। তা বলে কি, জগতে ক্যাবলামি বলে কিছুই নেই? সব-ই মনুষ্যসৃষ্ট অবদমনের তত্ত্ব বুঝি! না হে। সেটা হবার নয়। বোকা পণ্ডিতরা তো সেটাই জানাল যে, ক্যাবলামি মজ্জায় থাকে। মানুষমাত্রেই এমনতর হয় খানিক। সে জন্যই তো সাহেবরা স্মার্ট হতে শেখে। স্মার্টকে বাংলায় বা সংস্কৃতে কী বলব? ভদ্র? শিক্ষিত? বিনীত? চতুর? ধূর্ত? ধান্ধাবাজ? সেয়ানা?

ক্যাবলারা কীরকম? বোকা? মূর্খ? ভদ্র? ভালোমানুষ? সভ্য? ন্যাকা? হাবা?

কীরকম যেন স্মার্টনেস আর ক্যাবলামির ধরণটা একইরকম লাগছে না? তবে কি ওভারস্মার্ট হতে গিয়ে ক্যাবলা হয়ে যায় অথবা ক্যাবলামি করতে গিয়ে আলট্রাস্মার্ট? ভদ্রলোকরা ক্যাবলা হয় নাকি স্মার্ট? কে জানে!
আরও পড়ুন:

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১০: স্থাপত্য ছাড়িয়ে অভয়ারণ্য

বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-৯: ফেরেন্তস পুসকাস: দুটি দেশের হয়েই বিশ্বকাপ খেলেছেন

আপাতত লন্ডনের রানিমা তো চায়ের কাপে আরশোলা বেরোনোয় লজ্জায় টেবিলের নিচে মুখ লুকিয়েছেন। যে বিড়ালটা রানির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল, সে চেয়ারের নীচে একটা আরশোলা নিয়ে খেলা করছিল। টেনিদা কখন ম্যানেজ করে সেটাই চায়ের কাপে ফেলে দিয়ে যমালয়ের জীবন্ত মানুষ ভানুবাবুর মতো তড়পাচ্ছে তখন, একবার মর্ত্যে ফিরি (তৃতীয় বিশ্বের দেশ মর্ত্যলোক, রানির দেশ অমর্ত্যলোক), মিডিয়াকে এমন বলবো… ছি ছি ইয়োর হাইনেস! অনারেবল গেস্টের সঙ্গে এমন ব্যবহার! মর্ত্যে ঢি ঢি পড়ে যাবে…

রানি তখন হ্যান্ডকারচিপে চোখ মুছে কাঁদো কাঁদো হয়ে বলছেন, বাবা টেনি! মাই ডিয়ার টেনি! তুমি একথা প্রকাশ করিও না। এই কলঙ্ক জানিতে পারিলে আমার মুখ দেখাইবার জো থাকিবে না। তুমি কী চাও? ময়ূর সিংহাসন? সাসেক্সে বাগানবাড়ি? আচ্ছা, কোহিনূরটা নেবে?
টেনিদা বলল, ছো ছো! দিতে হলে মন উদার করুন। ওসব বুড়ো হাবড়া গরু দিয়ে আমায় ভোলানো যাবে না। আমি হলাম পটলডাঙার টেনি মুখুজ্জে! ভারতবর্ষের স্বাধীনতা দিতে পারবেন?

এখন বুঝলেন তো? যা যা ইতিহাস পড়েছিলেন, সব গুল… স্যরি, ভুল। ভারতের স্বাধীনতা এসেছে ওই আরশোলার জন্য।
আরও পড়ুন:

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৬: আমার হৃদয় কাঁপে পরিস্থিতির চাপে

দশভুজা: আমি আর কখনওই ফিরে আসার প্রত্যাশা করি না…

দশভুজা: আমি আর কখনওই ফিরে আসার প্রত্যাশা করি না…

বলা বাহুল্য, স্মার্ট আর চালাকরা এসব গপ্পো বিশ্বাস করবে না। মুর্খ আর ক্যাবলাদের জন্য, ছোট ছোট মানুষের জন্য ছোট ছোট কথা এসব। মানলে ডি লা গ্রান্ডি, না মানলে কানপুর, নাকপুর, চাঁদিপুর.. অতয়েব, সাধু সাবধান!!!

মাত্স্যন্যায়ের তত্ত্বে দেখা যায়, বৃহৎ সর্বদা ক্ষুদ্রকে গ্রাস করতে চায়। রাজনৈতিক দিক থেকে এটি যেমন প্রাসঙ্গিক, সামাজিক দিক থেকেও বটে। আজকের পৃথিবীর দিকে তাকালেও তা-ই দেখতে পাওয়া যায়। এমনকি, বৃহতের ডাক এলে ক্ষুদ্র স্বার্থ ভেসে যায় এই দার্শনিকতাও এখানে প্রচ্ছন্ন যেন… তবে নিগরণ বা গ্রাস-ই যখন বিষয় সেখানে যোগ্যতমের উদ্বর্তনের তত্ত্ব কী করেই বা ভোলা যায়… ক্যাবলাদের ক্ষেত্রে যেন এই কথাটি নিগূঢ় ব্যঞ্জনা নিয়ে আসে। কোনও মানুষকে ক্যাবলা বলে দমিয়ে দিয়ে যদি কিছু অহং চরিতার্থ হয়, যদি উত্থান ঘটে শক্তিমান বা শক্তিমতীগণের। তবে তার জন্য এর চেয়ে ভাল সমীকরণ আর কোথায়? তাই কারও প্রয়োজনে কাউকে কাউকে ক্যাবলা হতেই হয়। ছোট থাকতে হয়। তারা যদি বড় হয়ে যায়, তবে বনস্পতির দল মাথা চাড়া দেয় কী করে, ছায়াই বা দেবে কাদের?

একটি ছেলে একটি সরল প্রশ্ন করেছিল, রাতের বেলা যদি দুপুর হয়, তবে দুপুর বেলা রাত নামতে ক্ষতি কোথায়? “মনে কর না উঠল সাঁঝের তারা…”

নিমেষেই আমাদের যৌক্তিক কাঠামো ও বৌদ্ধিক স্বচ্ছতার কেন্দ্রে কোথায় যেন ধাক্কা লাগে, কোন এক শিশু যদি “রাজা তোর কাপড় কোথায় বলে” একদম হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিতে চায়, তখন তাকে ক্যাবলামির অপরাধে দমিয়ে দেওয়া ছাড়া গত্যন্তর কোথায়?

কিন্তু যারা আপাতভাবে পরম পাকা? কাঁচা লোক নয়, নেহাত আধমরা? তাদের ঘা দিয়ে বাঁচানোর মতো সবুজ এই সাহারায় কোথায়?

হর্ষবর্ধনের দল এদের দলেরই শ্রীবর্ধন ঘটান। কোনও কোনও ক্যাবলামির তত্ত্ব যদিও বা ব্যঞ্জনাগম্য হয়, তো কিছু দুরূহ বলেই মনে হতে থাকে।

একটি ঘটে যাওয়া বা ভাবি বিষয়কে মানুষ তার মনস্তাত্ত্বিক গঠন অনুসারে দেখতে চায়। নিত্যসত্য বিষয় ছাড়া যাকিছু একান্তই আপেক্ষিক তা ব্যক্তিমানুষ তার নৈতিক বোধ, ঔদার্য, সমাজচেতনা ও সর্বোপরি মনন দিয়ে বুঝে নিতে চায়। তার প্রকাশও হয় সেই আঙ্গিকে। ‘ক্যাবলামি’ও তাই একান্তই আপেক্ষিক, বিপরীতে থাকা মানুষটির মানসিক গঠন ও বৌদ্ধিক প্রবণতার দ্বারা নির্ধারিত, নিয়ন্ত্রিত এক বায়বীয় বিষয়। এর অবাধ যাতায়াত ছোটবেলা থেকে বড়বেলার নানা স্তরে স্তরে। কিন্তু কিমাশ্চর্যম্, এই ক্যাবলামিতে আক্রান্ত মানুষরা বয়স যাই হোক না কেন, তারা ‘বড়’ বলে স্বীকৃত? মনে হয়, না। কারণ, তারা আছে বলেই কেউ ‘দাদা’, তারা আছে বলেই গণবিনোদন, অথচ তারা ‘Mass’ নয়, এমনকী ‘Class’ এও নয়, স্বীকৃতি অস্বীকৃতির মাঝে এক ত্রিশঙ্কু যেন।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-২: মেয়েটি যেন গৃহলক্ষ্মী

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-২২: কেস কালাদেও: ফাইল নম্বর ১

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪২: আশা-ভরসার ‘শঙ্কর নারায়ণ ব্যাঙ্ক’

শাস্ত্রে বয়োবৃদ্ধি ছাড়াও জ্ঞানবৃদ্ধত্ব, শীলবৃদ্ধত্বের উল্লেখ আছে। মোল্লা নাসিরুদ্দিনের কথাই স্মরণ করে দেখা যায় সেই চরিত্রটি কখনও যেন বুদ্ধিমান কখনও বা বুদ্ধিহীন বলে মনে হতে থাকে। ক্যাবলারা কখনও তাদের জ্যাঠামির জন্য, জ্ঞানবৃদ্ধত্বের জন্য বিরাগভাজন, অতয়েব ক্যাবলা। যেমন টেনিদার কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্রটি। কখনও তাদের আচরণ সাধারণ বুদ্ধিগ্রাহ্যতার অতীত, যুক্তিহীন, ব্যাখ্যাতীত ও শিশুসুলভ। এই দলে আবালবৃদ্ধবনিতা নির্বিশেষে অনেকেই আছে।

শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশের সঙ্গী অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখক। তিনি ছোট নন। তবে ব্যোমকেশের বুদ্ধির পাশে তাঁকে গুল্মঝোপের মতোই মনে হয়। অন্যভাবে দেখলে, ছোট ঝোপ না থাকলে তালগাছ যে কতটা বড় সে বুঝি আন্দাজ করা যায় না তেমন। ব্যোমকেশ যখন রক্তলাল জিভের এক বিকৃত মস্তিষ্কের বৃদ্ধকে ট্যারান্টুলার রস খেয়ে নেশাগ্রস্ত হতে জানছে অজিতের সত্যান্বেষণ থেকে অথচ মাকড়সার হদিস নেই, কীভাবে কোন পথে মাকড়সার নিত্য আগমন সেটাই যখন রহস্য, তখনই অজিত রহস্য ভেদ করে ফেলছেন…
আরও পড়ুন:

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-১৯: পঞ্চমের সুরে লতার গাওয়া ‘মেরে নয়না সাওন ভাদো’ গান শুনে শুনেই প্রস্তুতি শুরু করেন কিশোর

ইতিহাস কথা কও, কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-১: রাজবাড়ির ইতিকথা—ইতিহাসের অন্তরে ইতিহাস

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪: সুন্দরবনের লবণ-বৃত্তান্ত

“বলিতে গিয়া একটু বাধ-বাধ ঠেকিতে লাগিল, তবু জোর করিয়া সঙ্কোচ সরাইয়া বলিলাম—“দেখ, নন্দদুলালবাবুর ঘরের দেওয়ালে কতকগুলো মাকড়সা দেখেছি, এখন মনে পড়িল। আমার বিশ্বাস তিনি সেইগুলোকে—”

“ধরে ধরে খান!”–ব্যোমকেশ হো হো করিয়া উচ্চরবে হাসিয়া উঠিল, “অজিত, তুমি একেবারে একটি—জিনিয়াস! তোমার জোড়া নেই। দেওয়ালের মাকড়সা ধরে ধরে খেলে নেশা হবে না ভাই, গা-ময় গরলের ঘা ফুটে বেরুবে। বুঝলে?”

পাগলা দাশুকেও এমনই ক্যাবলা বলেই মনে হতো, কখনও মনে হতো সেয়ানা বা উন্মাদ বুঝি, একজন তার বাক্স নিয়ে ব্যক্তিগত পরিসরের ঘেরাটোপ বানায়, কৌতূহলকে উদগ্র করে তোলে, তারপর বিশ্বাসভাজনের কাছে রেখে দেয় সেই প্রাণভোমরা। বিশ্বাসভাজন বিশ্বাসঘাতকতা করে, তবে কি প্রাণভোমরা উড়ে গিয়ে জারিজুরি শেষ হয়ে যায়? আজ্ঞে না। বাক্স থেকে বাক্স, তার মধ্য থেকে বাক্স, তার মধ্য থেকেও বাক্স বেরিয়ে আসতে থাকে। বাক্স আঁকড়ে থাকার এই অধিকারবোধের প্রদর্শনটি ক্যাবলামি, নাকি যারা তঞ্চকতা করে রহস্যভেদী হয়ে ওঠে তাদের আচরণেই ক্যাবলামি? এর উত্তরের সম্ভাবনা ওই বাক্সের পর বাক্সের মতোই অনন্তগামী বুঝি। দশমিক তিন তিন তিন তিন তিনের মতোই অফুরাণ এক সাবধানবাণীই সারগর্ভ কেবল… অধিক কৌতূহল ভালো নয়, কাঁচকলা খাও।

তেলের শিশি ভাঙল বলে যারা খুকুর প’রে রাগ করে তাদের এমন করে ক্যাবলামি দেখানোর মতো ‘দাদা’রা কোথায়?

ঋণ স্বীকার:
প্রশ্ন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উলঙ্গ রাজা: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
মাকড়সার রস: শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়
পাগলা দাশু: সুকুমার রায়
খুকু ও খোকা: অন্নদাশঙ্কর রায়
* ক্যাবলাদের ছোটবেলা (kyablader-chotobela): লেখক: ড. অভিষেক ঘোষ (Abhishek Ghosh) সহকারী অধ্যাপক, বাগনান কলেজ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ থেকে স্নাতকস্তরে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত। স্নাতকোত্তরের পর ইউজিসি নেট জুনিয়র এবং সিনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ পেয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে সাড়ে তিন বছর পূর্ণসময়ের গবেষক হিসাবে যুক্ত ছিলেন। সাম্বপুরাণের সূর্য-সৌরধর্ম নিয়ে গবেষণা করে পিএইচ. ডি ডিগ্রি লাভ করেন। আগ্রহের বিষয় ভারতবিদ্যা, পুরাণসাহিত্য, সৌরধর্ম, অভিলেখ, লিপিবিদ্যা, প্রাচ্যদর্শন, সাহিত্যতত্ত্ব, চিত্রকলা, বাংলার ধ্রুপদী ও আধুনিক সাহিত্যসম্ভার। মৌলিক রসসিক্ত লেখালেখি মূলত: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়ে চলেছে বিভিন্ন জার্নাল ও সম্পাদিত গ্রন্থে। সাম্প্রতিক অতীতে ডিজিটাল আর্ট প্রদর্শিত হয়েছে আর্ট গ্যালারিতে, বিদেশেও নির্বাচিত হয়েছেন অনলাইন চিত্রপ্রদর্শনীতে। ফেসবুক পেজ, ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে নিয়মিত দর্শকের কাছে পৌঁছে দেন নিজের চিত্রকলা। এখানে একসঙ্গে হাতে তুলে নিয়েছেন কলম ও তুলি। লিখছেন রম্যরচনা, অলংকরণ করছেন একইসঙ্গে।

Skip to content