তাপস সরকার ও অন্যান্য
আইনের ধারক আইনজীবীরা। আবার তাঁদেরই একটা অংশ পেশার নামে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে আসল অপরাধীদের শাস্তি এড়িয়ে যেতে সাহায্য করেন। দেশদেশান্তরে দেখা যায় যুক্তির মায়াজালে, এমনকী ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েও তাঁরা প্রকৃত সত্যকে মিথ্যা বলে প্রমাণ করেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শীকেও ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন সাব্যস্ত করে তাঁর সাক্ষ্য অপ্রামাণ্য করে তোলা হয়। বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। কিন্তু নিয়মে না বাঁধলে বিধি বাঁধে বেনিয়মে। তেমনই একটি কাহিনির আধারে থে স্ পি য়া ন্ স্ নাট্যদলের নবতম নাট্যপ্রযোজনা ‘উইটনেস’। জিৎ সত্রাগ্নি রচিত এই নাটক দিয়েই আগামী ২২ মার্চ তপন থিয়েটারে শুরু হচ্ছে দলের রজতজয়ন্তী নাট্যোৎসব।
নাটকের দুই মুখ্য চরিত্রে অভিনেতা শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায় ও প্রজ্ঞা পারমিতা চট্টোপাধ্যায়।
আক্ষরিক অর্থে দলের রজতজয়ন্তী দুবছর আগেই পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু অতিমারির কারণে থমকে ছিল উৎসব উদযাপন। নির্দেশনা ছাড়াও এ নাটকের একটি মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন পার্থ মুখোপাধ্যায়। অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়, প্রজ্ঞাপারমিতা চট্টোপাধ্যায়, তাপস সরকার, পায়েল গাঙ্গুলি, তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়, উজ্জ্বল চক্রবর্তী, দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়রী বোস, লালটু গাঙ্গুলি, মনীষা টিকাদার, গঙ্গোত্রী গঙ্গোপাধ্যায়, মৌসুমী আদক, দেবমাল্য মুখোপাধ্যায়। এ নাটকে আলোকসম্পাত ও আবহসংগীতের একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এই দায়িত্বে রয়েছেন যথাক্রমে বাবলু সরকার ও কল্যাণ সরকার। মঞ্চসজ্জায় অজিত রায়, রূপসজ্জা সুমিতা বোস এবং সাজসজ্জা গোপাল পাল। আইন উপদেষ্টা তাপস সরকার। উইটনেস নাটকের লোগো তৈরি করেছেন বাংলাদেশের সালেহীন মুহাম্মদ মোস্তাক। মঞ্চায়ন সহযোগিতা অভিজিৎ সিংহ ও দেবাদিত্য মুখোপাধ্যায়। প্রচার চিত্র অনিন্দ্য বিশ্বাস।
এ নাটকের কাহিনিসূত্র রোজকার খবরের কাগজে দেখা পরিচিত ঘটনা। গাড়ির ধাক্কায় রাবেয়া খাতুন নামে একজন বৃদ্ধাকে মেরে ফেলার অপরাধে বিচার চলছে গৌরব সাহা নামে এক যুবকের। গৌরবের বাবা ব্যবসায়ী জগৎ সাহা কোটিপতি। প্রতি শুনানিতে ৩.৫ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক দিয়ে জগৎ সাহা কলকাতা হাইকোর্ট তথা দেশের নামী অ্যাডভোকেট সুদর্শন শীর্ষ চ্যাটার্জ়িকে দাঁড় করিয়েছে একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে। নামী অ্যাডভোকেট শীর্ষ চ্যাটার্জ়ি কখনও সখনও ফিল্মে অভিনয়ের সুবাদে সুপরিচিত। কিন্তু সরকারপক্ষের সাক্ষী সত্যপ্রিয় পাঠক এই খুনের eyewitness এবং শীর্ষকে কিছুটা হলেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। নন্দিতা জানে যেনতেন প্রকারেণ শীর্ষ জিতবেই– কিন্তু কোন পথে? এটা জানতেই সে আদালতে এসেছে। আসার আরেকটা কারণ শীর্ষ ও তার জুনিয়র সুলতানা খানের মধ্যে বাড়তে থাকা ঘনিষ্ঠতা, নন্দিতা জানে সে এই লড়াইতে শীর্ষ-সুলতানাকে হারাবেই– কিন্তু কীভাবে? এই দুই বিপরীতমুখী প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এ নাটক। তবে এ নাটকের tagline হল সেই সুপরিচিত প্রবাদ ALL VICES TO BE PAID IN FULL – সব অন্যায়ের হিসেব কড়ায়-গন্ডায় চুকিয়ে দিতে হয়।
উৎসবের পরবর্তী পর্যায়ে ২৭ মার্চ লেডি রাণু মুখার্জি মঞ্চে থাকছে দুটি নাটক— অমিত ভট্টাচার্যর কাহিনি অবলম্বনে ‘রাসমণির স্বগ্গ’ ও পার্থ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘দ্রোহপর্ব’ এবং ২৯ মার্চ রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ‘বিসর্জন’। থে স্ পি য়া ন্ স্ প্রযোজিত এই তিনটি নাটকের নির্দেশনার দায়িত্বেও আছেন পার্থ মুখোপাধ্যায়।
উৎসবের পরবর্তী পর্যায়ে ২৭ মার্চ লেডি রাণু মুখার্জি মঞ্চে থাকছে দুটি নাটক— অমিত ভট্টাচার্যর কাহিনি অবলম্বনে ‘রাসমণির স্বগ্গ’ ও পার্থ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘দ্রোহপর্ব’ এবং ২৯ মার্চ রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ‘বিসর্জন’। থে স্ পি য়া ন্ স্ প্রযোজিত এই তিনটি নাটকের নির্দেশনার দায়িত্বেও আছেন পার্থ মুখোপাধ্যায়।