রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


বীরু-বাসন্তী।

তখন বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত তারকা ধর্মেন্দ্র। তিনি ঘোরতর সংসারী। তবুও তখন তিনি হেমা মালিনীর সঙ্গেও চুটিয়ে প্রেম করছেন। এর মধ্যে হেমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। অভিনেত্রীর গর্ভে তখন ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে প্রথম সন্তান এষা। এই পরিস্থিতিতে ধর্মেন্দ্রর মা সতবন্ত কউরের সঙ্গে তাঁর এক দিন দেখা করতে এলেন। তার পর কী হয়েছিল?
বীরু-বাসন্তীর বিয়ে আর পাঁচটা বিয়ের মতো ধুমধাম করে হয়নি। তখন প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে ধর্মেন্দ্রের দাম্পত্য জীবনও অনেক পথ পেরিয়ে গিয়েছে। ধর্মেন্দ্র প্রকাশের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীনই হেমাকে বিয়ে করেছিলেন। উল্টো দিকে হেমা মালিনীও সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রেখে চলতেন প্রকাশ কৌরের পরিবারের সঙ্গে। অভিনেত্রী চাননি আগের সম্পর্ক শেষ করে ধর্মেন্দ্র অসুখী জীবন কাটান। এমনকি, হেমারই অনুরোধে ধর্মেন্দ্র প্রকাশের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত করেননি। তবে বীরু থাকতেন বাসন্তী অর্থাৎ হেমার সঙ্গেই।
আরও পড়ুন:

বলিউডে ৩১ বছর পার, কিন্তু শত চেষ্টা করেও কিছুতেই নিজেকে শুধরোতে পারছেন না: শাহরুখ

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪০: সে এক স্বর্গপুরীর ‘চিরকুমার সভা’

সম্প্রতি হেমার জীবনী ‘বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’ বইটি প্রকাশ্যে এসেছে। বইয়ের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে রয়েছে চমকের পর চমক। ‘বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’ বইটি লিখেছেন রামকমল মুখোপাধ্যায়। বইটিতে প্রথম বার ধর্মেন্দ্রর মায়ের সঙ্গে প্রথম দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছেন, সতবন্তের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ জীবনে বিশেষ স্মৃতি হয়ে আছে। ধর্মেন্দ্রর মা সতবন্ত কউর নিজেই হেমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। এমনকি, হেমা অন্তঃসত্ত্বা জানতে পেরেও অভিনেত্রীকে আশীর্বাদ করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:

অজানার সন্ধানে: ‘বঙ্গীয় বিশ্বকোষ’ প্রণেতা হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন রবীন্দ্রনাথের প্রিয়পাত্র

বিচিত্রের বৈচিত্র: মাই নেম ইজ গওহর জান—ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে অঘোষিত বিপ্লব এনেছিলেন এই শিল্পী

হেমার কথায়, “সতবন্ত খুব আন্তরিক এবং একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন। জুহুর একটি ডাবিং স্টুডিয়োতে তিনি আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তখন এষা আমার গর্ভে। পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়েই তিনি আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। আমি তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেছিলাম। আমাকে জড়িয়ে ধরে তিনি বলছিলেন, ‘তুমি সর্বদা হাসি-খুশি থেকো।’ ধর্মেন্দ্রর মায়ের সঙ্গে সেই সাক্ষাতে আমার মন ভরে উঠেছিল।”

ধর্মেন্দ্র ও তাঁর প্রথম স্ত্রীর প্রকাশের চার সন্তান। পুত্র সানি ও ববি এবং কন্যা বিজেতা ও অজিয়েতা। হেমা-ধর্মেন্দ্র বিয়ে করেন ১৯৮০ সালে। দেওল পরিবারের সঙ্গে অভিনেত্রীর সম্পর্কও স্বাভাবিক ছিল। ধর্মেন্দ্র পুত্র সানি সব সময়ই হেমার পাশে থেকেছেন।

Skip to content