আমূল-কন্যা ও সিলভেস্টার দকুনহা।
আমূল-কন্যার স্রষ্টা সিলভেস্টার দকুনহা প্রয়াত হয়েছেন। একটা সময় ছিল সংবাদপত্র বা টেলিভিশন খুললেই একটি দুষ্টি-মিষ্টি বালিকার ছবি দেখা যেত। তাকে দেখা যেত আমূলের মাখনের বিজ্ঞাপনে। সিলভেস্টার দকুনহা ওই দুষ্টি-মিষ্টি বালিকাকে তৈরি করেছিলেন। প্রয়াত সিলভেস্টার বহু বছর ধরেই বিজ্ঞাপন জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
সিলভেস্টারের সঙ্গী ছিলেন শিল্প-পরিচালক ইউস্টাস ফার্নানডেজ। অনেকেই হয়তো জানেন না, আমূলের ‘আটারলি বাটারলি ডিলিশাস’ ভারতে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চলা একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন। শুরু হয়েছে ষাটের দশকে, যা এখনও চলছে। বুধবার সমাজমাধ্যমে আমূল-কন্যার স্রষ্টার সিলভেস্টার দকুনহা মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। শোকপ্রকাশ করেছেন আমূলের জেনারেল ম্যানেজার পবন সিংহ।
আরও পড়ুন:
সমালোচনায় তাঁরও খারাপ লাগে, তবে ছবি ফ্লপ হলে দমে যান না, ফের ঝুলিভর্তি কাজ নিয়ে আসছেন অক্ষয়
গুজরাতের আনন্দের দুধ ও দুগ্ধজাত প্রডাক্ট প্রস্তুতকারী কোঅপারেটিভ ১৯৬৬ সালে সিদ্ধান্ত নেয়, আমূলের বিজ্ঞাপনের জন্য একটি স্বতন্ত্র সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। সেই মতো বিজ্ঞাপন তৈরির জন্য দায়িত্ব যায় ‘অ্যাডভারটাইজিং অ্যান্ড সেলস প্রোমোশন’ (এএসপি)-র হাতে।
গরম পড়তেই মুখ ভর্তি ব্রণ? কোন তেলে লুকিয়ে আছে সমাধান?
এএসপি-র তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. কুরিয়ন একটি দুষ্টু-মিষ্টি মেয়ের ম্যাস্কট তৈরির পরামর্শ দেন। সেই মতো কাজ শুরু করে দেন এএসপি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিলভেস্টার। সৃষ্টি হয় সেই দুষ্টু-মিষ্টি বালিকার। যার পরনে লাল ববি প্রিন্টের ফ্রক, মাথায় ঝুঁটি বাঁধা। যে খুব সুন্দর ভঙ্গিতে মাখন খায়। বাকিটা ইতিহাস।