ফিরছে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’। সঞ্চালনা করবেন অমিতাভ বচ্চন। শুটিং পর্ব অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। দিন-রাত দফায় দফায় শুটিং চলতে থাকে। বেশির ভাগ দিনই অনেক রাত পর্যন্ত শুটিং চলে। কিন্তু এত ব্যস্ত রুটিনেও ৮০ বছরের অমিতাভ নিজেকে ফিট রেখেছেন। প্রত্যকের জীবনে একটা বয়সের পর অতিরিক্ত পরিশ্রম, ধকল শরীর নিতে পারে না। অথচ ৮০ বছর বয়েসেও দিন-রাত এক করে কাজ করছেন বিগ-বি।
অমিতাভ কী ভাবে এই ধকল সামলান? সম্প্রতি শাহেনশা নিজেই সে সম্পর্কে জানিয়েছেন। অমিতাভর কথায়, ‘‘পরিশ্রম তো হবেই। তবে যখন দেখি সেই পরিশ্রম সফল হয়েছে, দর্শককে আনন্দ দিতে পারছি, তখন সব ক্লান্তি উধাও হয়ে যায়।’’
যাঁদের নিয়মিত রাতের শিফটে কাজ করেন, তাঁরা বিষয়টি বেশি ভালো করে বুঝতে পারবেন। একটানা রাত জেগে কাজ করলে আমাদের শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি হয়। এদিকে কাজের জন্য রাত দু’চোখ এক করারও জো নেই। দীর্ঘ দিন এ ভাবে চললে একটা সময়ের পরে আমাদের শরীরও এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে তা সাময়িক। পরবর্তী কালে শরীরের উপর এর অনেক প্রভাব পড়ে। সে-কারণে এ নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। কী ভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন?
হালকা খাবার খেতে হবে
● খাবার খাওয়ার পরে রাতে কাজ শুরু করলেও আবার খিদে পেয়ে যায়। রাতে এই খিদে মেটাতে একদমই তেল-মশলা জাতিয় খাবার খাওয়া যাবে না। হালকা ও শুকনো জাতীয় খাবার খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিস্কুট খাওয়া যেতে পারে। বাদাম ও মাখনার মতো কিছু খাবারও সঙ্গে রাখতে পারেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খেতে হবে
● অনেকেই আছেন রাতে জেগে থাকার জন্য বার বার চা, কফি খান। এতে কী হয়, আমাদের শরীর ভিতর থেকে আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। তাই সমস্যা এড়াতে গরম পানীয়ের বদলে জল খেতে হবে বেশি করে। এতে শরীর যেমন সুস্থ থাকবে, তেমনি ক্লান্তিও দূর হবে। বাড়বে মনঃসংযোগও।
সময় পেলেই একটু ঘুমিয়ে নিন
● শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে রাতে ঘুমনো জরুরি। আর যদি রাতে কোনও ভাবেই ঘুমনো সম্ভব না হয়, তাহলে দিনের বেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়ে নিন। মনে রাখা দরকার, ঘুমের ঘাটতি আমাদের নানা শারীরিক সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে। প্রভাব পড়ে মনেও। দীর্ঘদিন এভাবে চললে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার প্রবল ঝুঁকি থাকে।