‘সত্যপ্রেম কি কথা’ ছবিতে কার্তিক-কিয়ারা। ছবি: সংগৃহীত।
ভাষা: হিন্দি
পরিচালক: সমীর ভিদয়ান্স
কাহিনি চিত্রনাট্য: করণ শ্রীকান্ত শর্মা
অভিনয়: কার্তিক আরিয়ন, কিয়ারা আডবাণী, গজরাজ রাও, সুপ্রিয়া পাঠক, সিদ্ধার্থ রণদেরিয়া, অনুরাধা প্যাটেল, রাজপাল যাদব, শিখা তলসিয়ানি
সময়: ২ ঘণ্টা ২৩ মিনিট
ওটিটি রিলিজ: অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও
রেটিং: ৭/ ১০
ছবি তৈরি দুনিয়ায় প্রযোজকরা একটা কথা খুব বলেন, ফ্রেশ গল্প চাই। তরতাজা ঝরঝরে। তাতে একটা সোশ্যাল মেসেজ থাকলে ভালো। নাচ গান থাকবে। কষ্ট থাকবে, খুশি থাকবে—সর্বোপরি একটা ‘ট্রু লাভ স্টোরি’ হবে। ‘সত্যপ্রেম কি কথা’ ছবিতে এই সবকিছু আছে, কিন্তু এত পরিমিত, সহজ ও স্বাভাবিকভাবে আছে যে, মিশেলটা হয়েছে লা জবাব। আলাদা আলাদা করে এই উপকরণ কেউ মেশাতে বসেননি। একটা সহজ সরল স্বাভাবিক প্রেমের গল্প বলতে গিয়ে গল্পের অনুসারে এসব উপকরণ এসে গিয়েছে, মিশে গিয়েছে। আর তাই যে বাজারে তথাকথিত সুপারস্টারদের ছবির পা মচকে যাচ্ছে—কিয়ারা আডবাণী এবং কার্তিক আরিয়ান জুটির ৬০ কোটি টাকায় বানানো ছবি ১১৭.৭৭ কোটি টাকা তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
কে এই কিয়ারা আদবানি? যিনি আমাদের ‘চেনামুখ নায়িকাদের’ ভিড় থেকে প্রায় হঠাৎ বক্স অফিসের মাথায় চড়ে বসলেন! বয়স ৩২। সম্প্রতি অভিনেতা সিদ্ধার্থ মলহোত্রার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। আশ্চর্যের বিষয় কেরিয়ারের কথা ভেবে যখন নায়িকারা বিয়ে করতে ভয় পান, তখন বিয়ের পর কিয়ারার কেরিয়ার গ্রাফ আরও উর্ধ্বমুখী। সুচিত্রা সেনের মতো হাসিটি, বৈজন্তীমালার মতো চোখ, সাইজ জিরো গড়ন। মুম্বইয়ের ফিল্মি পরিবারের কেউ? না, এর কোনওটাই নয়।
অশোককুমার এবং সৈয়দ জাফরির সঙ্গে একটা দূরসম্পর্কের ক্ষীণ পারিবারিক যোগাযোগ আছে। আর কিয়ারাকে দেখতে কিয়ারার মতো। মুখশ্রী বা চেহারার মধ্যে একটা স্নিগ্ধ ভারতীয়ত্ব রয়েছে। কিন্তু এক নিমিষে ওয়েস্টার্ন আউটফিটে মানিয়ে যান। কিয়ারাকে নিয়ে সমসাময়িক-সহ নায়ক ভিকি কৌশলে তাঁদের ছবি ‘গোবিন্দ নাম মেরা’র প্রমোশনে এসেছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় কপিল শর্মা শো-তে। ছবির নানা কথার মধ্যে ভিকি জানালেন, সহনায়িকা কিয়ারার সবচেয়ে বড় গুণ হল যে কোনও বিষয়ের ছবিতে যেকোনও চরিত্রে নিজেকে অদ্ভুতভাবে মানিয়ে নিতে জানেন এই অভিনেত্রী।
কে এই কিয়ারা আদবানি? যিনি আমাদের ‘চেনামুখ নায়িকাদের’ ভিড় থেকে প্রায় হঠাৎ বক্স অফিসের মাথায় চড়ে বসলেন! বয়স ৩২। সম্প্রতি অভিনেতা সিদ্ধার্থ মলহোত্রার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। আশ্চর্যের বিষয় কেরিয়ারের কথা ভেবে যখন নায়িকারা বিয়ে করতে ভয় পান, তখন বিয়ের পর কিয়ারার কেরিয়ার গ্রাফ আরও উর্ধ্বমুখী। সুচিত্রা সেনের মতো হাসিটি, বৈজন্তীমালার মতো চোখ, সাইজ জিরো গড়ন। মুম্বইয়ের ফিল্মি পরিবারের কেউ? না, এর কোনওটাই নয়।
অশোককুমার এবং সৈয়দ জাফরির সঙ্গে একটা দূরসম্পর্কের ক্ষীণ পারিবারিক যোগাযোগ আছে। আর কিয়ারাকে দেখতে কিয়ারার মতো। মুখশ্রী বা চেহারার মধ্যে একটা স্নিগ্ধ ভারতীয়ত্ব রয়েছে। কিন্তু এক নিমিষে ওয়েস্টার্ন আউটফিটে মানিয়ে যান। কিয়ারাকে নিয়ে সমসাময়িক-সহ নায়ক ভিকি কৌশলে তাঁদের ছবি ‘গোবিন্দ নাম মেরা’র প্রমোশনে এসেছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় কপিল শর্মা শো-তে। ছবির নানা কথার মধ্যে ভিকি জানালেন, সহনায়িকা কিয়ারার সবচেয়ে বড় গুণ হল যে কোনও বিষয়ের ছবিতে যেকোনও চরিত্রে নিজেকে অদ্ভুতভাবে মানিয়ে নিতে জানেন এই অভিনেত্রী।
২০১৪ সালে ২৩ বছর বয়সে প্রথম ছবি ‘ফাগলি’ ব্যবসায়িক সাফল্য না পেলেও কিয়ারা সমালোচকদের নজর কেড়েছিলেন। ছবিতে আসার আগে নাম ছিল আলিয়া। প্রথম ছবির আগে সলমন খানের পরামর্শ মেনে ‘অঞ্জানা-অঞ্জানি’ ছবিতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনীত চরিত্রের নাম অনুযায়ী নাম থাকলো কিয়ারা। ২০১৬-তে ‘এমএস ধোনি-দ্য আনটোলড স্টোরি’-তে ধোনির চরিত্রে সুশান্ত সিং রাজপুত-এর অবিস্মরণীয় অভিনয়ের পাশে একরাশ স্নিগ্ধতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন কিয়ারা। হোটেল ম্যানেজার সাক্ষী রাওয়াতের ভূমিকায়। পরবর্তীকালে যিনি মহেন্দ্র সিং ধোনির স্ত্রী সাক্ষী ধোনি।
দ্বিতীয় ছবিতেই ২১৬ কোটি টাকার সাফল্যে সক্রিয় অংশীদারত্ব। এরপর নেটফ্লিক্সের ‘লাস্ট স্টোরি’তে করণ জোহরের স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে ভিকি কৌশলের (পরশ) সঙ্গে জুটি বেঁধে মেঘার ভূমিকায় সকলকে চমকে দিয়েছিলেন কিয়ারা। পরের বছর তেলেগু সুপারস্টার মহেশ বাবুর সঙ্গে ‘ভারতনে নেনু’ (আমিই ভারত) ২২৫ কোটি টাকার ব্যবসা করল। ২০১৯-এ শাহিদ কাপুরের সঙ্গে “কবীর সিং” সুপার-ডুপার হিট। ৩৭৮ কোটি টাকার ব্যবসা।
দ্বিতীয় ছবিতেই ২১৬ কোটি টাকার সাফল্যে সক্রিয় অংশীদারত্ব। এরপর নেটফ্লিক্সের ‘লাস্ট স্টোরি’তে করণ জোহরের স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে ভিকি কৌশলের (পরশ) সঙ্গে জুটি বেঁধে মেঘার ভূমিকায় সকলকে চমকে দিয়েছিলেন কিয়ারা। পরের বছর তেলেগু সুপারস্টার মহেশ বাবুর সঙ্গে ‘ভারতনে নেনু’ (আমিই ভারত) ২২৫ কোটি টাকার ব্যবসা করল। ২০১৯-এ শাহিদ কাপুরের সঙ্গে “কবীর সিং” সুপার-ডুপার হিট। ৩৭৮ কোটি টাকার ব্যবসা।
আরও পড়ুন:
রিভিউ: ‘ঘুমর’ আসলে জীবনকে ফিরে পাওয়ার গল্প
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪৮: খেলার ছলে এসেছিনু যেথা ‘হারজিৎ’-র পর্ব রাখিনু সেথা
কিয়ারার কেরিয়ার তখন মাত্র পাঁচ বছরের পুরনো। সেই বছরেই এল একজোড়া দম্পতির কমেডি ছবি ‘গুড নিউজ’, অক্ষয় কুমার, কারিনা কাপুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করলেন কিয়ারা এবং দিলজিৎ দোসাঞ্জর জুটি। ছবি ২০০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করে ফেলল। ২০২০-তে নেটফ্লিক্সে ‘গিলটি’ ছবিতে নজরকাড়া অভিনয়। ২০২০-তেই অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘লক্ষ্মী বম্ব’ এবং প্রায় একক উপস্থিতিতে ‘ইন্দু কি জওয়ানি’ কিন্তু ফ্লপ।
'গোবিন্দা নাম মেরা' ছবিতে কিয়ারা আডবাণী এবং ভূমি পেড়নেকরের সঙ্গে ভিকি।
কিয়ারার কেরিয়ার তখন মাত্র পাঁচ বছরের পুরনো। সেই বছরেই এল একজোড়া দম্পতির কমেডি ছবি ‘গুড নিউজ’, অক্ষয় কুমার, কারিনা কাপুরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করলেন কিয়ারা এবং দিলজিৎ দোসাঞ্জর জুটি। ছবি ২০০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করে ফেলল। ২০২০-তে নেটফ্লিক্সে ‘গিলটি’ ছবিতে নজরকাড়া অভিনয়। ২০২০-তেই অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘লক্ষ্মী বম্ব’ এবং প্রায় একক উপস্থিতিতে ‘ইন্দু কি জওয়ানি’ কিন্তু ফ্লপ।
আরও পড়ুন:
অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-৮: আমি শুনি গো শুনি তোমারে…
ফেলে আসা স্মৃতি: সুরসম্রাজ্ঞী দীপালি নাগ, পর্ব-৩: সেই প্রথম হল শোনা ‘আমার মনের বেদনা’
কার্তিক আরিয়ানের আত্মপ্রকাশ ২০১১ সালে। নাম ছিল কার্তিক তিওয়ারি। প্রথম ছবিতে কার্তিক আরিয়ান রূপে সামনে এলেন। নবি মুম্বই-এর নেরুলের ডি ওয়াই পাটিল কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্রের থার্ড ইয়ারে মুক্তি পেল চুপিচুপি করা ফিল্ম ক্যারিয়ারের প্রথম প্রয়াস পরিচালক লভ রঞ্জনের কমেডি ‘প্যায়ার কা পঞ্চনামা’। নায়িকা নুসরত ভারুচা। প্রথম ছবি মোটামুটি সফল। এখন কার্তিকের বয়সও ৩২ বছর। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আকাশ ভানি’ ও ২০১৪-তে ‘কাঞ্চি’ ফ্লপ। ২০১৭ সালে পরেশ রাওয়ালের সঙ্গে কমেডি ছবি ‘গেস্ট ইন লন্ডন’ চলল না। ২০১৮ আবার পরিচালক লভ রঞ্জন ও নায়িকা নুসরত ভারুচাকে নিয়ে ‘প্যায়ার কি পঞ্চনামা-২’। প্রায় ১৫৮ কোটি টাকার ব্যবসা করল।
২০১৯ -এ কৃতি শ্যাননের সঙ্গে লিভ ইন রিলেশন নিয়ে কমেডি ‘লুকাচুপ্পি’ আর ভূমি পেডনেকর, কার্তিক আরিয়ান ও অনন্যা পাণ্ডে অভিনীত ‘পতি পত্নি অউর উয়ো’। দুটি ছবিই ১০৮ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলল। মধ্যে মুভিমোগল করণ জোহরের সঙ্গে মনোমালিন্যের জন্য প্রায় ২০দিন কাজ করার পর ‘দোস্তানা-২’ ছবি থেকে কার্তিক আরিয়ানকে বাদ দেওয়া হল। ২০২২-তে এল তব্বু, কিয়ারা আদবাণীর সঙ্গে ‘ভুল্ভুলাইয়া-২’। তারপর আর ফিরে তাকাননি কার্তিক। এ বার সত্যপ্রেম কি কথা। অপেক্ষায় আরও ভালো ভালো ছবি।
২০১৯ -এ কৃতি শ্যাননের সঙ্গে লিভ ইন রিলেশন নিয়ে কমেডি ‘লুকাচুপ্পি’ আর ভূমি পেডনেকর, কার্তিক আরিয়ান ও অনন্যা পাণ্ডে অভিনীত ‘পতি পত্নি অউর উয়ো’। দুটি ছবিই ১০৮ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলল। মধ্যে মুভিমোগল করণ জোহরের সঙ্গে মনোমালিন্যের জন্য প্রায় ২০দিন কাজ করার পর ‘দোস্তানা-২’ ছবি থেকে কার্তিক আরিয়ানকে বাদ দেওয়া হল। ২০২২-তে এল তব্বু, কিয়ারা আদবাণীর সঙ্গে ‘ভুল্ভুলাইয়া-২’। তারপর আর ফিরে তাকাননি কার্তিক। এ বার সত্যপ্রেম কি কথা। অপেক্ষায় আরও ভালো ভালো ছবি।
আরও পড়ুন:
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-১৫: আর যাহা খায় লোকে স্বদেশে ও বিদেশে / খুঁজে পেতে আনি খেতে-নয় বড় সিধে সে!…
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৮: চল্লিশ পার হলেই নিরামিষ?
এই সময়ের কিয়ারা আদবাণী, কার্তিক আরিয়ান বা কৃতি শ্যানন কাকতালীয়ভাবে তিনজনের নামের আদ্যক্ষর ‘ক’ হলেও এদের কারও নামের সঙ্গে ভূতপূর্ব বলিউড শাসকদের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু আজ তারা পরিশ্রম উদ্যম আর বুদ্ধির জোরে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছেন। একের পর এক হিট ছবির সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করে ফেলেছেন।
প্রথম দেখাতেই সত্যু প্রেমে পড়ল কথা’র। কিন্তু কথার বাবা বিরাট গণ্যমান্য ব্যবসায়ী, সে শিক্ষিতা এবং অত্যন্ত সফল আরেক ব্যবসায়ীর বাগদত্তা। তাই সত্যুর প্রেম সত্য হলেও এ’ সম্পর্ক অসম্ভব। কথার বাড়ি থেকে সত্যুকে অপমান করে দূর করে দেওয়ার কথা। অন্তত শ-দুয়েক বাংলা হিন্দি ছবিতে আমরা এ গল্প দেখেছি। কিন্তু ঘটনা পরম্পরায় কথার বাবা-মা নিজেরা এসে সত্যুদের বাড়িতে কথা’র বিবাহ প্রস্তাব দিলেন।
হঠাৎ কি এমন ঘটল? না, কথার প্রেমিক তপনের সঙ্গে তার ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছে, মেয়ে মনের দুঃখে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল। ভাগ্যক্রমে সত্যু তাকে বাঁচায়। বাবা ঠিক করে ফেললেন এই ছেলেই হবে তাঁর মেয়ের যোগ্য পাত্র। সত্যপ্রেমের প্রেমকে মর্যাদা দিয়ে তিনি নিজের ব্যবসায় নিয়ে নিলেন, যৌতুকে গাড়ি দিলেন। মনের দুঃখ মনে চেপে মেয়ে কথা এ বিয়ে মেনে নিলেও সত্যুকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে চায় না। কিন্তু এ গল্পও তো আমরা অনেকবার দেখেছি। তাই কাহানি মে টুইস্ট। আর এই ছবিটা শেষ পর্যন্ত দেখার স্বার্থে সেই সাংঘাতিক টুইস্ট কিছুতেই খোলা যাবে না।
প্রথম দেখাতেই সত্যু প্রেমে পড়ল কথা’র। কিন্তু কথার বাবা বিরাট গণ্যমান্য ব্যবসায়ী, সে শিক্ষিতা এবং অত্যন্ত সফল আরেক ব্যবসায়ীর বাগদত্তা। তাই সত্যুর প্রেম সত্য হলেও এ’ সম্পর্ক অসম্ভব। কথার বাড়ি থেকে সত্যুকে অপমান করে দূর করে দেওয়ার কথা। অন্তত শ-দুয়েক বাংলা হিন্দি ছবিতে আমরা এ গল্প দেখেছি। কিন্তু ঘটনা পরম্পরায় কথার বাবা-মা নিজেরা এসে সত্যুদের বাড়িতে কথা’র বিবাহ প্রস্তাব দিলেন।
হঠাৎ কি এমন ঘটল? না, কথার প্রেমিক তপনের সঙ্গে তার ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছে, মেয়ে মনের দুঃখে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল। ভাগ্যক্রমে সত্যু তাকে বাঁচায়। বাবা ঠিক করে ফেললেন এই ছেলেই হবে তাঁর মেয়ের যোগ্য পাত্র। সত্যপ্রেমের প্রেমকে মর্যাদা দিয়ে তিনি নিজের ব্যবসায় নিয়ে নিলেন, যৌতুকে গাড়ি দিলেন। মনের দুঃখ মনে চেপে মেয়ে কথা এ বিয়ে মেনে নিলেও সত্যুকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে চায় না। কিন্তু এ গল্পও তো আমরা অনেকবার দেখেছি। তাই কাহানি মে টুইস্ট। আর এই ছবিটা শেষ পর্যন্ত দেখার স্বার্থে সেই সাংঘাতিক টুইস্ট কিছুতেই খোলা যাবে না।
‘সত্যপ্রেম কি কথা’ ছবির একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
নায়ক নায়িকার কথা বলবার আগে আমি বলব তিন পার্শ্বচরিত্রের কথা। বাবা মা আর বোনের অনবদ্য চরিত্রায়নে যথাক্রমে গজরাজ রাও, সুপ্রিয়া পাঠক আর শিখা তলসিয়ানি। গজরাজ এবং সুপ্রিয়া দু’ জনেই বহু সার্থক চরিত্রের কৃতি অভিনেতা অভিনেত্রী। কিন্তু এই দুই পাওয়ার হাউসের মধ্যে নিজেকে সংযত রেখে শিখা তলসিয়ানি যে অভিনয় করেছেন তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। কিয়ারার মায়ের চরিত্রে বহু দিন বাদে অনুরাধা প্যাটেলকে খুব ভালো লাগল। এখনও তিনি তাঁর মেদুর সৌন্দর্যে অভিজাত। কিয়ারার মতো তাঁরও রূপ-লাবণ্যে প্রগলভতা নেই। কিয়ারাকে আগে আমরা রোম্যান্টিক এবং কমেডি চরিত্রে দেখেছি। কিয়ারার কমেডি টাইমিং ভীষণ ভালো এবং অত্যন্ত বুদ্ধি দিয়ে নিজের চরিত্রকে বিশ্লেষণ করতে জানেন।
অন্যদিকে কার্তিক আরিয়ানের কমেডি অভিনয়ের মধ্যে একটা ধার আছে। রোম্যান্টিক হিরো হিসেবেও দারুণ সফল। কিন্তু দুজনের জন্যই এই ছবিটা ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। কারণ আপাত-রোম্যান্টিক ছবি হলেও এর মধ্যে ছিল একটা ভয়ংকর মানসিক টানাপোড়েন, যেখানে বাড়াবাড়ি বা অতি অভিনয়ের সম্ভাবনা প্রবল। দুজনের চরিত্রকেই তাই সেই সব দৃশ্যে নিজেদের স্বাভাবিক রেখে অত্যন্ত সংযত অভিনয় করতে হয়েছে এবং দুজনেই সেক্ষেত্রে দারুণভাবে সফল। আর ওদের অভিনয়ের সাফল্যই মূলত এ ছবির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠা নিয়ে এসেছে।
নারী পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক গভীর গোপন জটিলতাকে এই ধরনের এক রোম্যান্টিক কমেডির মাধ্যমে উপস্থাপনা করে ব্যবসায়িক ছবিতেও পরিচালক সমীর ভিদওয়ান ও কাহিনি চিত্রনাট্যকার করণ শ্রীকান্ত শর্মা তাঁদের সৃষ্টিশীলতার পরিচয় রেখেছেন।
অন্যদিকে কার্তিক আরিয়ানের কমেডি অভিনয়ের মধ্যে একটা ধার আছে। রোম্যান্টিক হিরো হিসেবেও দারুণ সফল। কিন্তু দুজনের জন্যই এই ছবিটা ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। কারণ আপাত-রোম্যান্টিক ছবি হলেও এর মধ্যে ছিল একটা ভয়ংকর মানসিক টানাপোড়েন, যেখানে বাড়াবাড়ি বা অতি অভিনয়ের সম্ভাবনা প্রবল। দুজনের চরিত্রকেই তাই সেই সব দৃশ্যে নিজেদের স্বাভাবিক রেখে অত্যন্ত সংযত অভিনয় করতে হয়েছে এবং দুজনেই সেক্ষেত্রে দারুণভাবে সফল। আর ওদের অভিনয়ের সাফল্যই মূলত এ ছবির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠা নিয়ে এসেছে।
নারী পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক গভীর গোপন জটিলতাকে এই ধরনের এক রোম্যান্টিক কমেডির মাধ্যমে উপস্থাপনা করে ব্যবসায়িক ছবিতেও পরিচালক সমীর ভিদওয়ান ও কাহিনি চিত্রনাট্যকার করণ শ্রীকান্ত শর্মা তাঁদের সৃষ্টিশীলতার পরিচয় রেখেছেন।
* বসুন্ধরা এবং… দ্বিতীয় খণ্ড (Basundhara Ebong-Novel Part-2) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।