শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী, সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে।

২০২২ সালের ২৪মার্চ এক শোকের দিন হিসাবে চিহ্ণিত হয়ে রইল। মাত্র ৫৭-তেই চিরবিদায় নিলেন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জল নক্ষত্র ছিলেন তিনি। একটা সময়ে অভিষেক চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের জুটিতে একের পর এক হিট ছবি উপহার পেয়েছেন দর্শকরা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের জুটিতেও বাংলা পেয়েছে একাধিক ছবি। কিন্তু একটা সময়ের পর আচমকাই ছবির জগৎ থেকে অনেকটাই ম্রিয়মাণ হয় যান তিনি। কী কারণ আচমকা এভাবে সরে আসার? উঠে আসে বিভিন্ন তর্ক-প্রতিতর্ক। সেই তর্কে যেমন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের তৎকালীন সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভের ইঙ্গিতও স্পষ্ট, তেমনই অভিনেতার নিজের বয়ানেই উঠে আসে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বিরূদ্ধেও স্বজনপোষণের অভিযোগ। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ জমেছিল দর্শকমহলেও, আর আজ সেই ক্ষোভই নেটমাধ্যমে উগরে দিলেন মানুষ। বন্ধুর মৃত্যুতে শোকাহত বুম্বাদা আজ বিকেল ৪.৫১ মিনিটে ট্যুইট করে লেখেন ‘ভাবতেই পারছি না অভিষেক আর নেই। কি বলব? কি লিখব…At a loss for words’ তোর বিকল্প হবে না কোনোদিন। ভালো থাকিস রে বন্ধু।’

এই ট্যুইট করামাত্র নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েছেন অভিনেতা, কমেন্টবক্সে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। কেউ বলছেন—’লবিবাজি করে বন্ধুর ক্যারিয়াটা নষ্ট করাও ঠিক নয়। নেপোটিজম-এর শিকার হয়েছেন অভিষেক, শ্রীলেখাসহ আরও অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী।’ কেউ বা লিখেছেন— ‘বন্ধুকে তো বাংলা সিনেমা থেকে বের করে দেওয়ার পেছনে আপনার অনেক হাত ছিল। সেটা কি কেউ কোনদিন ভুলতে পারবে?’ কেউ তো আবার সরাসরি বুম্বাদার শোকপ্রকাশকে ‘নাটক’ বলেই কটাক্ষ করেছেন।
বড়পর্দা থেকে বিদায় নেওয়ার পর ছোটপর্দাই আপন করে নিয়েছিল তাঁকে। প্রযোজক ও পরিচালক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করেছেন তার একাধিক ধারাবাহিকে। বর্তমানে তিনি ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করছিলেন। অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টলিজগৎ।

Skip to content