প্রয়াত পঙ্কজ উধাস।
চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন বিখ্যাত গজল গায়ক পঙ্কজ উধাস। মৃত্যুকালে তাঁর বয়েস হয়েছিল ৭২ বছর। শিল্পী দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তাঁর প্রয়াণের খবর জানিয়েছেন গায়কের কন্যা নায়াব উধাস। নায়াব জানান, ‘‘আমি গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি, পদ্মশ্রী শিল্পী পঙ্কজ উধাস ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার প্রয়াত হয়েছেন।’’
৮০-র দশককে একাধিক অনুষ্ঠান, অ্যালবাম, ছবির গানে পঙ্কজ উদাস সবাইকে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন। গায়কের গাওয়া কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গজল হল— ‘না কাজরে কি ধার’, ‘চান্দি জ্যায়সা রং’, ‘আহিস্তা’, নিকলো না বেনাকাব’, ‘থোড়ি থোড়ি প্যার করো’, ‘দিওয়ারো সে মিল কর রোনা’ ইত্যাদি। শিল্পীর গাওয়া সেই সব গান আজও শ্রোতাদের মনে রসদ জোগায়। পঙ্কজের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যালবামও রয়েছে। ‘নশা’, ‘পয়মানা’, ‘হসরত’, ‘হামসফর’ তার মধ্যে কয়েকটি।
আরও পড়ুন:
বিয়ে করছেন গায়ক অনুপম রায়, কবে বিয়ে? পাত্রী কে?
বৃষ্টির ধাক্কায় পারদপতন, সোমবারও বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে, বসন্তেই ফিরল শীত? কী বলছে হাওয়া দফতর?
পঙ্কজ উধাসের জন্ম ১৯৫১ সালের ১৭ মে গুজরাতের জেটপুরে। বাবা কেশুভাই উধাস ও মা জিতুবেন উধাস। তিন সন্তানের মধ্যে পঙ্কজ ছিলেন কনিষ্ঠ। পরিবারিক সূত্রেই সঙ্গীতে পঙ্কজের হাতেখড়ি। সঙ্গীতের প্রতি সন্তানের উৎসাহ দেখে বাবা কেশুভাই রাজকোটের সঙ্গীত অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করে দেন।
পঙ্কজ প্রথমে তবলার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। পরে তিনি গুলাম কাদির খানের কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেন। পরবর্তী সময়ে মুম্বই চলে আসেন পঙ্কজ। মায়ানগরী গোয়ালিয়র ঘরানার শিল্পী নবরং নাগপুরকরের কাছে তিনি তালিম নিতে শুরু করেন।
পঙ্কজ প্রথমে তবলার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। পরে তিনি গুলাম কাদির খানের কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেন। পরবর্তী সময়ে মুম্বই চলে আসেন পঙ্কজ। মায়ানগরী গোয়ালিয়র ঘরানার শিল্পী নবরং নাগপুরকরের কাছে তিনি তালিম নিতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন:
আমি বনফুল গো: তিনিই ছিলেন ভারতীয় ছবির প্রথম সিঙ্গিং সুপারস্টার/১
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৫২: সাগর কিনারে, দিল ইয়ে পুকারে…
পঙ্কজ উধাসের সিনেমার গানে অভিষেক হয় ‘হম তুম ওউর ওহ্’ ছবির মাধ্যমে। এর পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ছবিতে কাজ করে গিয়েছেন। ‘উৎসব’, ‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’র মতো ছবিতে গায়ক গান গেয়েছেন। তবে তাঁর গাওয়া ‘নাম’ ছবির ‘চিঠ্ঠি আয়ি হ্যয়’ গানটি সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ১৯৮৬ সালে ‘চিঠ্ঠি আয়ি হ্যয়’ গানটি পঙ্কজকে রাতারাতি জনপ্রিয়তা শিখরে পৌঁছে দেয়।
১৯৯১ সালে ‘সাজন’ ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘জিয়ে তো জিয়ে’ গানটিও সুপারহিট হয়। পঙ্কজ উধাসের সর্বকালের সেরা গানগুলির মধ্যে ‘চাঁদি জ্যায়সা রং’ গানটিও থাকবে। এ ছাড়াও ‘দিওয়ারো সে মিলকর রোনা অচ্ছা লগতা হ্যায়’, ‘অউর আহিস্তা কিজিয়ে বাতেঁ’র মতো আরও অনেক গান আছে যেগুলি গায়ককে আলাদা পরিচিত দিয়েছিল। এ হেন কিংবদন্তি শিল্পীর মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল বলে মনে করছেন অনুরাগীরা।
১৯৯১ সালে ‘সাজন’ ছবিতে তাঁর গাওয়া ‘জিয়ে তো জিয়ে’ গানটিও সুপারহিট হয়। পঙ্কজ উধাসের সর্বকালের সেরা গানগুলির মধ্যে ‘চাঁদি জ্যায়সা রং’ গানটিও থাকবে। এ ছাড়াও ‘দিওয়ারো সে মিলকর রোনা অচ্ছা লগতা হ্যায়’, ‘অউর আহিস্তা কিজিয়ে বাতেঁ’র মতো আরও অনেক গান আছে যেগুলি গায়ককে আলাদা পরিচিত দিয়েছিল। এ হেন কিংবদন্তি শিল্পীর মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল বলে মনে করছেন অনুরাগীরা।