শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


সোহিনী ও সমদর্শী

২০০৮ সাল। নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জুটির পরিচালনার ছবি ‘ইচ্ছে’। এবছর ‘ইচ্ছে’র ১১তম বছর পূর্ণ হল। নন্দিতা-শিবু পর্দায় তুলে ধরেছিলেন মা-ছেলের গল্প। তাকে জীবন্ত রূপ দিয়েছিলেন সোহিনী সেনগুপ্ত এবং সমদর্শী দত্ত। ১১ বছর পরেও এই প্রজন্ম ‘ইচ্ছে’ নিয়ে সমান আগ্রহী। সোহিনী তার কিছু দিন আগেই ‘পারমিতার একদিন’ ছবিতে ‘খুকু’র চরিত্রে অভিনয় করে অভিনয় জগতে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। তার পরেই তাঁকে আমরা দেখতে পাই সমদর্শীর মতো এক যুবকের মায়ের চরিত্রে!
সোহিনীর কথায়, কাজই তো অভিনয়। আর নন্দিতাদি-শিবুর ছবিতে নতুন করে নিজেকে প্রমাণ করার মতো কিছুই থাকে না! তাঁদের সঙ্গে কাজ করা একটা আলাদা অনুভূতি। ফলে, অনুরোধ ফেলতে তিনি পারেননি। তিনি এও বলেন, ‘ইচ্ছে’য় তিনি মা হয়েছেন সম্পূর্ণ তাঁর নিজের ইচ্ছেয়। সোহিনীকে এরপরেও নন্দিতা-শিবুর ‘অলীক সুখে’ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে।
‘ইচ্ছে’র পর সমদর্শীকে উইনডোজ প্রযোজনা সংস্থার আর কোনও ছবিতে দেখা যায়নি! সমদর্শীর দাবি, এই উত্তর তাঁর কাছেও অজানা। ‘ইচ্ছে’র পর তিনি তাঁর মতো করে এগোনোর চেষ্টা করেছেন। নন্দিতা-শিবু দর্শকদের একের পর এক ভালো ছবি উপহার দিয়ে গিয়েছেন। তবে সমদর্শী একেবারেই আশাহত নন। কোনও একটি কাজে নিশ্চয়ই আবার ডাক পাবেন তিনি বলে তাঁর আশা। ‘ইচ্ছে’তে প্রথম অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। তাই আর অন্য কোনও কাজ না করলেও এই একটি ছবির কারণে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন তিনি নন্দিতাদি-শিবুদার কাছে।
সমদর্শী অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনাও করেছেন। বলা যায়, তাঁর পরিচালিত সিরিজ ‘গাঙ্গুলি ওয়েড গুহজ’-এ নন্দিতা-শিবুর ঘরানার ছায়া। মাত্র একটি ছবিতে অভিনয় করেই কী করে এই বিশেষ ধারা রপ্ত করে ফেললেন তিনি? সমদর্শীর কথায়, অভিনয় করতে করতে পরিচালনার দিকটাও নজর দিতেন তিনি। যে ছবি পরিবারেরর সঙ্গে বসে দেখা যায়, তেমন ছবিই বানানর পরিকল্পনা ছিল তাঁর।

Skip to content